ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভূমিক্ষয় ও মরুকরণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে….পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২
  • / ৩০২ বার পড়া হয়েছে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ভূমিক্ষয় ও মরুকরণ প্রতিরোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।  ভূমিক্ষয় এবং মরুকরণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে জাতীয় পরিবেশ নীতি সংশোধন করা হয়েছে।  মরুকরণ, ভূমি অবক্ষয় এবং খরা মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাকশন প্রোগ্রাম ২০১৫-২০২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৫.৩ এবং কপ-১৩ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ভূমির অবক্ষয় নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ স্বেচ্ছায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

পরিবেশমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে আইভরি কোস্টের রাজধানী আবিদজানে অনুষ্ঠানরত জাতিসংঘ মরুকরণ প্রতিরোধ বিষয়ক ১৫তম সম্মেলনের ‘ল্যান্ড রিস্টোরেশন: এ পাথ টু সাসটেইনেবল পোস্ট প্যানডেমিক রিকভারি’ শীর্ষক ২য় রাউন্ড টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ, উপকূলীয় বনায়ন এবং সামাজিক বনায়ন হচ্ছে বাংলাদেশের সফল ভূমি-ভিত্তিক অভিযোজন কার্যক্রমের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।  আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, মরুকরণ প্রতিরোধ এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যানন-২১০০ প্রণয়ন করেছি এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান আছে।  আমরা দ্রুত বর্ধনশীল ফসল, শাকসবজি এবং ফলের জন্য টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির সর্বোত্তম চর্চা চালু করেছি।  টেকসই ভূমি ব্যবস্থা চালু করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বরেন্দ্র অঞ্চলকে সবুজ এলাকায় পরিণত করা হয়েছে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৬৯,০০০ হেক্টর জমি হারাচ্ছে যা ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।  দেশের এক-তৃতীয়াংশ উপকূল রয়েছে যেখানে জোয়ারের পানির সংস্পর্শে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  প্রতিবেশী দেশ থেকে আমাদের দেশে এক মিলিয়ন লোকের জোরপূর্বক অভিবাসন আমাদের ভূমি, জীবন, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, বন ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য বিরাট হুমকি সৃষ্টি করেছে।  মাটি, উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত এবং বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি কোভিড-১৯ এবং ইবোলার মতো অভিনব রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।  বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল মরুকরণের হুমকিতে রয়েছে।  ভূমি পুনরুদ্ধার সবুজ পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে পারে। মরুকরণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ইউএনসিসিডি সচিবালয়ের পাশাপাশি গ্লোবাল মেকানিজমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করে।

উল্লেখ্য, এরআগে পরিবেশমন্ত্রী আইভরি কোস্টের রাজধানী আবিদজানে চলমান সম্মেলনের  ‘হাই লেভেল ইন্টারেক্টিভ ডায়লগ অন ফিউচার প্রুফিং ল্যান্ড ইউজঃ শিফটিং প্যাটার্নস ইন প্রোডাকশন এন্ড কনজাম্পশন’ শীর্ষক অধিবেশনে যোগদান করে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভূমিক্ষয় ও মরুকরণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে….পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:২৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ভূমিক্ষয় ও মরুকরণ প্রতিরোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।  ভূমিক্ষয় এবং মরুকরণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে জাতীয় পরিবেশ নীতি সংশোধন করা হয়েছে।  মরুকরণ, ভূমি অবক্ষয় এবং খরা মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাকশন প্রোগ্রাম ২০১৫-২০২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৫.৩ এবং কপ-১৩ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ভূমির অবক্ষয় নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ স্বেচ্ছায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

পরিবেশমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে আইভরি কোস্টের রাজধানী আবিদজানে অনুষ্ঠানরত জাতিসংঘ মরুকরণ প্রতিরোধ বিষয়ক ১৫তম সম্মেলনের ‘ল্যান্ড রিস্টোরেশন: এ পাথ টু সাসটেইনেবল পোস্ট প্যানডেমিক রিকভারি’ শীর্ষক ২য় রাউন্ড টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ, উপকূলীয় বনায়ন এবং সামাজিক বনায়ন হচ্ছে বাংলাদেশের সফল ভূমি-ভিত্তিক অভিযোজন কার্যক্রমের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।  আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, মরুকরণ প্রতিরোধ এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যানন-২১০০ প্রণয়ন করেছি এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান আছে।  আমরা দ্রুত বর্ধনশীল ফসল, শাকসবজি এবং ফলের জন্য টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির সর্বোত্তম চর্চা চালু করেছি।  টেকসই ভূমি ব্যবস্থা চালু করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বরেন্দ্র অঞ্চলকে সবুজ এলাকায় পরিণত করা হয়েছে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৬৯,০০০ হেক্টর জমি হারাচ্ছে যা ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।  দেশের এক-তৃতীয়াংশ উপকূল রয়েছে যেখানে জোয়ারের পানির সংস্পর্শে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  প্রতিবেশী দেশ থেকে আমাদের দেশে এক মিলিয়ন লোকের জোরপূর্বক অভিবাসন আমাদের ভূমি, জীবন, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, বন ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য বিরাট হুমকি সৃষ্টি করেছে।  মাটি, উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত এবং বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি কোভিড-১৯ এবং ইবোলার মতো অভিনব রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।  বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল মরুকরণের হুমকিতে রয়েছে।  ভূমি পুনরুদ্ধার সবুজ পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে পারে। মরুকরণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ইউএনসিসিডি সচিবালয়ের পাশাপাশি গ্লোবাল মেকানিজমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করে।

উল্লেখ্য, এরআগে পরিবেশমন্ত্রী আইভরি কোস্টের রাজধানী আবিদজানে চলমান সম্মেলনের  ‘হাই লেভেল ইন্টারেক্টিভ ডায়লগ অন ফিউচার প্রুফিং ল্যান্ড ইউজঃ শিফটিং প্যাটার্নস ইন প্রোডাকশন এন্ড কনজাম্পশন’ শীর্ষক অধিবেশনে যোগদান করে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।