ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে ১৬৫টি চা বাগানে তিন দিনের কর্মবিরতি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে চা শ্রমিকের মজুরী ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে ১৬৫টি চা বাগানে তিন দিনের (প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১১টা) কর্মবিরতি চলবে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ভ্যালীর যৌথ সিদ্ধান্তে এ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। উক্ত কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে জুড়ী ভ্যালীতে গত দুই দিনে ৩৪টি চা বাগান পঞ্চায়েতের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, জুড়ী ভ্যালীর সভাপতি কমল বোনার্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি।

বক্তব্য রাখেন- জুড়ী ভ্যালীর সহ-সভাপতি শ্রীমতি বাউরী, সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার পাল ও বিভিন্ন পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ-বিদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে নুন্যতম মানবাধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। চা শ্রমিকের হাজিরা ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবি অনেক দিনের। মালিকপক্ষ ইতিমধ্যে ১৪ টাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। ১৪ টাকা বৃদ্ধি হলে একজন শ্রমিকের মজুরী হবে ১৩৪ টাকা। এই ১৩৪ টাকা দিয়ে কীভাবে একজন শ্রমিকের জীবন চলবে? সারাদিন পরিশ্রম করে এক লিটার পেট্রোলের দামও হবে না।

বক্তারা বলেন, মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বেঁধে দেয়া এক সপ্তাহের সময় সোমবার শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখনো দাবী মানা হয়নি। তাই আমাদের ঘোষিত কর্মবিরতি চলবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে ১৬৫টি চা বাগানে তিন দিনের কর্মবিরতি

আপডেট সময় ০৪:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সংগতি রেখে চা শ্রমিকের মজুরী ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে ১৬৫টি চা বাগানে তিন দিনের (প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১১টা) কর্মবিরতি চলবে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ভ্যালীর যৌথ সিদ্ধান্তে এ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। উক্ত কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে জুড়ী ভ্যালীতে গত দুই দিনে ৩৪টি চা বাগান পঞ্চায়েতের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, জুড়ী ভ্যালীর সভাপতি কমল বোনার্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি।

বক্তব্য রাখেন- জুড়ী ভ্যালীর সহ-সভাপতি শ্রীমতি বাউরী, সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার পাল ও বিভিন্ন পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ-বিদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে নুন্যতম মানবাধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। চা শ্রমিকের হাজিরা ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবি অনেক দিনের। মালিকপক্ষ ইতিমধ্যে ১৪ টাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। ১৪ টাকা বৃদ্ধি হলে একজন শ্রমিকের মজুরী হবে ১৩৪ টাকা। এই ১৩৪ টাকা দিয়ে কীভাবে একজন শ্রমিকের জীবন চলবে? সারাদিন পরিশ্রম করে এক লিটার পেট্রোলের দামও হবে না।

বক্তারা বলেন, মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বেঁধে দেয়া এক সপ্তাহের সময় সোমবার শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখনো দাবী মানা হয়নি। তাই আমাদের ঘোষিত কর্মবিরতি চলবে।