ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বিআরডিবির চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময় সভা আজ সংগীতশিল্পী জয়দ্বীপ রায় রাজুর জন্মদিন মৌলভীবাজার-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনঃবিবেচনার দাবি রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি সংবাদ সম্মেলনে কমলগঞ্জে মণিপুরি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে বিদায়ী শিক্ষককে সংরবর্ধনা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান মৌলভীবাজারে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন কমলগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মুজিবের শুভেচ্ছা বিনিময় কমলগঞ্জ চা শ্রমিক নিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় মহসিন মিয়া মধুর মতবিনিময় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক মাধ্যমিক ও কেজি স্কুলের মেধা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ৮ নভেম্বর বিল্পব সংহতি দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশ

মহানবী (সা) অন্ধকার দূরীভূত করে সত্য-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেন: তারেক রহমান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৭৫ বার পড়া হয়েছে

হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার বলে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মানবজাতি তাঁর আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়।

 

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

 

সেখানে তিনি লিখেছেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মহিমান্বিত সত্ত্বার আবির্ভাব ঘটে এই পৃথিবীতে। এই দিনটি শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানের মাঝে পালিত একটি উৎসব। সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্ব নবীর মতো এ মহান নেয়ামতের আগমন দিবস কতই না মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ, কতই না আনন্দের তা সহজেই অনুমেয়।

 

তারেক রহমান আরও লেখেন, আজ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন। আল্লাহ তায়াআলা তাঁর মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। মানবজাতি তাঁর আগমণে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অত্যাচার—অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব—সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিস্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।

 

মহানবী (সা.) মানব জাতির জন্য এক অত্যুজ্জ্বল অনুকরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল—কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান অনাচার, মানুষে মানুষে হানাহানি, যুগের পর যুগ যুদ্ধ—বিগ্রহ, নিজ কন্যাকে জীবন্ত কবর, ব্যভিচার, মদ ও জুয়া ছিল সমাজে উচ্চস্তরের নিত্যদিনের কাজ। এই সময় যাঁর আগমণ হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামীন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে সত্য ও ইনসাফ নিশ্চিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।

 

আমি আল্লাহ রাব্বুল আল—আমিনের নিকট প্রার্থনা করি, মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই—বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

 

আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মহানবী (সা) অন্ধকার দূরীভূত করে সত্য-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেন: তারেক রহমান

আপডেট সময় ০৩:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার বলে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মানবজাতি তাঁর আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়।

 

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

 

সেখানে তিনি লিখেছেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মহিমান্বিত সত্ত্বার আবির্ভাব ঘটে এই পৃথিবীতে। এই দিনটি শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানের মাঝে পালিত একটি উৎসব। সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্ব নবীর মতো এ মহান নেয়ামতের আগমন দিবস কতই না মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ, কতই না আনন্দের তা সহজেই অনুমেয়।

 

তারেক রহমান আরও লেখেন, আজ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন। আল্লাহ তায়াআলা তাঁর মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। মানবজাতি তাঁর আগমণে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অত্যাচার—অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব—সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিস্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।

 

মহানবী (সা.) মানব জাতির জন্য এক অত্যুজ্জ্বল অনুকরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল—কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান অনাচার, মানুষে মানুষে হানাহানি, যুগের পর যুগ যুদ্ধ—বিগ্রহ, নিজ কন্যাকে জীবন্ত কবর, ব্যভিচার, মদ ও জুয়া ছিল সমাজে উচ্চস্তরের নিত্যদিনের কাজ। এই সময় যাঁর আগমণ হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামীন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে সত্য ও ইনসাফ নিশ্চিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।

 

আমি আল্লাহ রাব্বুল আল—আমিনের নিকট প্রার্থনা করি, মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই—বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

 

আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।