মানষিক প্রতিবন্ধী রুবেলের বড় ভাই রাসেল ও থানার অভিযোগ ও ভোক্তভোগী জীবানের কাছ থেকে জানাযায়, গতকাল বুধবার(১৯ জুলাই) বিকেলে মধ্য রবিরবাজার সফিক স্যিারের মার্কেটে বেঙ্গল ফুডের শোরুমের মালামাল গাড়ি থেকে সামানোর কথা বলেন রুমেল। প্রতিবন্ধী ছেলে রুবেল ও জীবান গাড়ি থেকে মালামাল নামানোর পরে প্রতিবন্ধী রুবেল টাইগারের একটি বোতল তার নিজের আয়ত্বে নিয়ে গেলে রুমেল ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে তার দোকানের কর্মচারীসহ রুবেলকে ও রাস্তা থেকে জীবারকে ধরে এনে দু’তলায় তার এ আর জীম সেন্টারে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেঁধে অমানবিকভাবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মারপিট করে জখম করে। পরে রাতে ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে নিয়ে গেলে প্রতিবন্ধী ছেলের বড় ভাই সাদা কাগজে দস্তখত দিয়ে তাদের ছুটিয়ে নিয়ে আসে। এসময় খলিল মিয়া ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিবন্ধী ছেলেটি ও জীবান তাদের পরিবারের কাছে জানালে তারা দেখতে পান তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ। তারা পরে তাদের দু’জনকেই কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।
বৃহস্পতিবার কুলাউড়া থানায় প্রতিবন্ধী রুবেলের বড় ভাই বাদী হয়ে বেঙ্গলের স্বত্বাধীকারী খালিদ হাসান রুমেলকে প্রধান আসামী করে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে অভিযোগ দায়ের করলে কুলাউড়া থানার এসআই হারুন খালিদ হাসান রুমেলকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
প্রতিবন্ধী রুবেলের বড় ভাই রাসেল জানায়, তার ভাই একজন মানষিক প্রতিবন্ধী। তাকে দিয়ে কাজ করিয়ে কিছু না দেয়ায় সে একটি টাইগারের বোতল নিয়ে যেতে চাইলে খালিদ হাসান রুমেল তার ভাইকে ও জীবানকে ধরে অন্যদের সহযোগীতায় দু’তলায় এ আর ফিটনেস সেন্টারে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়।
এসময় প্রতিষ্ঠানের মালিক রবিরবাজার ব্যবসায়ী সমিতির ক্যাশিয়ার খলিল মিয়াও তাদের দু’জনকে লাথি মারেন ও পিঠান। মামলায় খলিল মিয়ার নাম না থাকার বিষয়ে জিঙ্গেসে করলে তিনি বলেন, বাজারের অনেক ব্যবসায়ী অনুরোধ করেছেন তার নাম না দিতে। তিনি আরও বলেন রাতে বাজার কমিটির সেক্রেটারীসহ ব্যবসায়ী কল্যাণ অফিসে নিয়ে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে দস্তখত নিয়ে তার ভাই ও জীবানকে ছাড়িয়েছেন। এসময় তাদের মারপিট নিয়ে কেহ কোনও কথা বলেনি। রাসেল ও জীবান একে অপরের চাচাত ভাই। তাদের বাড়ি কর্মধা ইউনিয়নের বারুয়াকান্দি গ্রামে, রাসেলের পিতার নাম রইছ আলী ও জীবানের পিতার নাম রকিব আলী।
এবিষয়ে নির্যাতীত জীবান এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলরে তিনি জানান, ক্যাশিয়ার ও তার ছেলে মিলে রড দিয়ে তাদের দুই জনকে জিম সেন্টারে নিয়ে হাত পা বেঁধে রড দিয়ে বেদড়ক পিটিয়েছেন। সে আরও বলে বাজারের ক্যাশিয়ার সাহেব তাদেরকে সজোরে লাথি মেরেছেন।
এবিষয়ে রবিরবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ক্যাশিয়ার খলিল মিয়ার সাথে কথা বললে, তিনি জানান, তার নাম খামাখা জড়ানো হচ্ছে, তিনি মারামারি করেননি। তবে তিনি বলেন, তার ছেলে হয়তো মারামারি করেছেন তবে প্রথমে তিনি জানতেন না। তিনি স্বীকার করেন যে সাদা কাগজে দস্তখত নিয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে বাজার কমিটির অফিস থেকে সমঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি প্রথমে বাড়িতে ছিলেন, তাকে ফোন করে তার ছেলে বলেছে দোকানে চুর ধরা হয়েছে।
এবিষয়ে রবিরবাজারব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি চেরাগ আলী গোলাপের সাথে কথা ভরলে, তিনি জানান, বিষয়টি অমানবিক। তিনি গতকাল রাতে অফিসে ছিলেননা। তবে তিনি ছেলেটিকে দেখেছেন এভাবে মারধোর করা ঠিক হয়নি বলেও জানান।
তবে এবিষয়ে রবিরবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক বদরুল ইসলামের মুঠোফোনে(০১৭১৭৬৮১৫৯৮) নাম্বারে বারবারফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করাতে তার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এবিষয়ে কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক(এসআই) হারুন বলেন, আসামী খালিদ হাসান রুমে কে আটক করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এবিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহ রয়েছে।
এবিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুস ছালেক জানান, মারামারির বিষয়ে মামলা নেয়া হয়েছে এবং আসামীকে এরেস্ট করা হয়েছে।