ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জুড়ী মানবিক সোসাইটির উদ্যোগে ছাদিছ জামাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত সময় ও সম্পদের কুরবানী দিতে রুকনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। -মাওলানা হাবিবুর রহমান দুর্গাপুরে ফেসবুকে মানহানিকর ভিডিও ছড়ানো নিয়ে সংবাদ সম্মেলন কোটচাঁদপুর সাংবাদিকদের সাথে  মতবিনিময় করেন ব্যারিস্টার কাজল মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় আবু ওবায়দা মো. মাসরুর খানের রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন মানবতার গান-সুরের ভেলায় কমলগঞ্জে লালনকে স্মরণ শেরপুর ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রে ফ তা র কোটচাঁদপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত  বাজারে বাজারে জনসংযোগে নাসের রহমান বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি,জনতার ঢল মহাসড়ক সংস্কারসহ ৪’দফা দাবীতে মৌলভীবাজার মানববন্ধন

মানুষের অস্তিত্বের স্বার্থেই বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে- পরিবেশ ও বনমন্ত্র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৬২৮ বার পড়া হয়েছে
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন এবং বন্যপ্রাণীকুল বিপন্ন হলে মানবসভ্যতাও বিপর্যস্ত হবে, তাই মানব সভ্যতার অস্তিত্বের স্বার্থেই বন এবং বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমকে সফল করতে সকলে সম্মিলিতভাবে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণে কাজ করতে হবে।  তিনি এসময় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
রবিবার বন অধিদপ্তরে ‘সকলের অংশগ্রহণ, বন্যপ্রাণী হবে সংরক্ষণ’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার; সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং  আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমদ প্রমুখ।

বনমন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকার বিভিন্ন যুগোপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এলক্ষ্যে, সংবিধানে ১৮ক অনুচ্ছেদ সন্নিবেশন করা হয়েছে, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এবং বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন, ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার দেশে ২৪ টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ১৯টি জাতীয় উদ্যান, ২টি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, ৩টি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া, ১টি উদ্ভিদ উদ্যান, ৩টি ইকোপার্ক, ২টি শকুন নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করেছে। এছাড়াও, ২টি রামসার সাইট ও ৬টি ফ্লাইওয়ে সাইট রয়েছে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ উদঘাটনে (তথ্য প্রদানকারী) পুরস্কার প্রদান বিধিমালা’র আওতায় তথ্যদাতাদেরকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। ‘বন্যপ্রাণীর আক্রমণে জানমালের ক্ষতিপূরণ বিধিমালা-২০২১’ অনুযায়ী নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৩ লক্ষ এবং আহত ব্যক্তির পরিবারকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে। বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিতদের জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১২’ নীতিমালা অনুযায়ী পুরস্কৃত করা হচ্ছে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছে।  সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ফান্ড প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশে হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণে একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন এবং এগুলোর বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে নন-ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস তৈরি করা হয়েছে। দেশে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা, প্রকৃতিতে তাদের অবস্থা ও আবাসস্থলের হুমকিসমূহ জানার জন্য ‘রেড লিস্ট অব বাংলাদেশ ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপকবৃন্দ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ; সাংবাদিকবৃন্দ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিজ নিজ ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মানুষের অস্তিত্বের স্বার্থেই বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে- পরিবেশ ও বনমন্ত্র

আপডেট সময় ১২:৪৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন এবং বন্যপ্রাণীকুল বিপন্ন হলে মানবসভ্যতাও বিপর্যস্ত হবে, তাই মানব সভ্যতার অস্তিত্বের স্বার্থেই বন এবং বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমকে সফল করতে সকলে সম্মিলিতভাবে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণে কাজ করতে হবে।  তিনি এসময় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
রবিবার বন অধিদপ্তরে ‘সকলের অংশগ্রহণ, বন্যপ্রাণী হবে সংরক্ষণ’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার; সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং  আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমদ প্রমুখ।

বনমন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকার বিভিন্ন যুগোপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এলক্ষ্যে, সংবিধানে ১৮ক অনুচ্ছেদ সন্নিবেশন করা হয়েছে, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এবং বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন, ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার দেশে ২৪ টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ১৯টি জাতীয় উদ্যান, ২টি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, ৩টি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া, ১টি উদ্ভিদ উদ্যান, ৩টি ইকোপার্ক, ২টি শকুন নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করেছে। এছাড়াও, ২টি রামসার সাইট ও ৬টি ফ্লাইওয়ে সাইট রয়েছে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ উদঘাটনে (তথ্য প্রদানকারী) পুরস্কার প্রদান বিধিমালা’র আওতায় তথ্যদাতাদেরকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। ‘বন্যপ্রাণীর আক্রমণে জানমালের ক্ষতিপূরণ বিধিমালা-২০২১’ অনুযায়ী নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৩ লক্ষ এবং আহত ব্যক্তির পরিবারকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে। বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিতদের জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১২’ নীতিমালা অনুযায়ী পুরস্কৃত করা হচ্ছে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছে।  সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ফান্ড প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশে হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণে একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন এবং এগুলোর বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে নন-ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস তৈরি করা হয়েছে। দেশে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা, প্রকৃতিতে তাদের অবস্থা ও আবাসস্থলের হুমকিসমূহ জানার জন্য ‘রেড লিস্ট অব বাংলাদেশ ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপকবৃন্দ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ; সাংবাদিকবৃন্দ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিজ নিজ ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।