ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে ৬৬ লক্ষ টাকা লুট,ঘটনা রহস্যজনক স্বৈরাচার হাসিনা সরকার মানুষের অধিকার এতোটাই হরণ করেছিল যে ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে পর্যন্ত দেয়নি – এম নাসের রহমান খেলার মাঠ থেকে মসজিদ পর্যন্ত এমন কোন জায়গা ছিল না, যেখানে দলীয় করণ ছিল না – জিকে গউস বিএনপি এখন বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক শক্তি,তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই – এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে পঞ্চকবি’র সাংস্কৃ‌তিক আয়োজন শনিবার মৌলভীবাজারে প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা কুলাউড়ায় সরকারি জমি উদ্ধার গ্রে ফ তা র হতে নিজেই আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন জামায়াত আমির শ্রীমঙ্গল অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে নারীসহ আটক- ৪ মৌলভীবাজার পৌর শাখার ৪ নং ওয়ার্ড এর কমিটি গঠন

মিথ্যা মামলা ও ছোট্ট বোনের নিরাপত্তা চেয়ে নির্যাতিত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধায় মিথ্যা মামলা ও ছোট্ট বোনের নিরাপত্তা চেয়ে নির্যাতিত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন  গাইবান্ধায় মিথ্যা মামলা ও ছোটবোনের নিরাপত্তা চেয়ে নির্যাতিত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।

 

শনিবার দুপুরে জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্য ফাতেমা তুজ জোহরা।  এসময় উপস্থিত ছিলেন  মা ফাইমা বেগম ও ছোট দুই বোন খাদিজা তুজ তাহেরা ও উম্মে হাবিবা।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০১৮ সালের ৬ আগষ্ট  শহরের পশু হাসপাতাল রোডের আমজাদ হোসেনের ছেলে আসিফ ফয়সাল লেলিনের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য লেলিন তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো। ওই বছরের ১৩  সেপ্টেম্বর  বাবা মারা গেলে আমার বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

 

আমার সুখের জন্য মা বিভিন্ন সময়ে লেলিনকে ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেয়। আবারো নতুন ব্যবসা খোলার কথা বলে আমার বাবার পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করা আরো ২০ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্ত কোন ব্যবসা কিংবা দোকান না দেখতে পেয়ে আমি তার কাছে টাকা কোথায় জানতে চাইলে লেলিন আমাকে মারধর করে এবং আমি ও আমার ছোট দুই বোনকে হত্যার হুমকি দেয়। এম তাবস্থায় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আমার খালুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। এবং লেলিনকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠাই। গত ৮ জানুয়ারি শহরের গোরস্থান পাড়ায় আমার দাদুর মরদেহ দেখে ফেরার পথে  লেলিন  তার লোকজন নিয়ে আমার ছোট দুই বোনকে মারধোর করে  আমাকে জোর পুর্বক তুলে নিয়ে যায়।

 

পর  সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে এবং লেলিনকে আটক করে। এরপর থেকে লেলিনের পরিবার আমার ছোট দুই বোনসহ আমার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে সে আরো বলেন খালু, মা ও আঙ্কেলের নামে ঢাকার সাভারে বাসা ভাড়া নিয়ে একটি মামলা করে ও একের পর এক মামলা করতে থাকে।

 

গাইবান্ধায় মোট চারটি মামলা দেয় সে।দ্রুত এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও  হয়রাণি বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।  সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফাতেমা তুজ জোহরার মা কাহিসা বেগম,দুই ছোট বোন খাদিজা হাবিবাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মিথ্যা মামলা ও ছোট্ট বোনের নিরাপত্তা চেয়ে নির্যাতিত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৯:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

গাইবান্ধায় মিথ্যা মামলা ও ছোট্ট বোনের নিরাপত্তা চেয়ে নির্যাতিত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন  গাইবান্ধায় মিথ্যা মামলা ও ছোটবোনের নিরাপত্তা চেয়ে নির্যাতিত পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।

 

শনিবার দুপুরে জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্য ফাতেমা তুজ জোহরা।  এসময় উপস্থিত ছিলেন  মা ফাইমা বেগম ও ছোট দুই বোন খাদিজা তুজ তাহেরা ও উম্মে হাবিবা।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০১৮ সালের ৬ আগষ্ট  শহরের পশু হাসপাতাল রোডের আমজাদ হোসেনের ছেলে আসিফ ফয়সাল লেলিনের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য লেলিন তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো। ওই বছরের ১৩  সেপ্টেম্বর  বাবা মারা গেলে আমার বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

 

আমার সুখের জন্য মা বিভিন্ন সময়ে লেলিনকে ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেয়। আবারো নতুন ব্যবসা খোলার কথা বলে আমার বাবার পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করা আরো ২০ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্ত কোন ব্যবসা কিংবা দোকান না দেখতে পেয়ে আমি তার কাছে টাকা কোথায় জানতে চাইলে লেলিন আমাকে মারধর করে এবং আমি ও আমার ছোট দুই বোনকে হত্যার হুমকি দেয়। এম তাবস্থায় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আমার খালুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। এবং লেলিনকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠাই। গত ৮ জানুয়ারি শহরের গোরস্থান পাড়ায় আমার দাদুর মরদেহ দেখে ফেরার পথে  লেলিন  তার লোকজন নিয়ে আমার ছোট দুই বোনকে মারধোর করে  আমাকে জোর পুর্বক তুলে নিয়ে যায়।

 

পর  সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে এবং লেলিনকে আটক করে। এরপর থেকে লেলিনের পরিবার আমার ছোট দুই বোনসহ আমার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে সে আরো বলেন খালু, মা ও আঙ্কেলের নামে ঢাকার সাভারে বাসা ভাড়া নিয়ে একটি মামলা করে ও একের পর এক মামলা করতে থাকে।

 

গাইবান্ধায় মোট চারটি মামলা দেয় সে।দ্রুত এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও  হয়রাণি বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।  সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফাতেমা তুজ জোহরার মা কাহিসা বেগম,দুই ছোট বোন খাদিজা হাবিবাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।