ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের হাসপাতাল ও একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর চা বাগান লেক থেকে বৃদ্ধার লা/শ উ/দ্ধা/র অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী মৌলভীবাজারে মৎস্যজীবী দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত জুড়ীতে দক্ষিণ বড়ধামাইয়ের একমাত্র সড়ক এখন মরণফাঁদ — দুর্ভোগে শতাধিক পরিবা মামুনুল হক’কে নিয়ে উস্কানীমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে খেলাফত যুব মজলিস বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির আহমেদ শাহীনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তরুণ প্রজন্ম দল রাগীব আলীর মেয়ের কাণ্ড তরুণ প্রজন্ম দলের সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হলেন শেখ সুমন কোনো দলের প্রতি সেনাবাহিনীর আলাদা নজর নেই

মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫৬৬ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার শহরে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে তাণ্ডব চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা।

 

গত সোমবার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবরে শহরে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

 

দুর্বৃত্তরা একের পর এক বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ করে। তারা সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর শহরের বেরিপাড়স্থ বাড়ি, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বাসা ও তার গাড়িত আগুন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ এম এ রহিম শহীদ সিআইপি’র বাসা ও বাণিজ্যিক মার্কেট, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুমেল আহমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সমরেশ দাস জিশু’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ম্যানেজার স্টল ও রাধিকা স্টল, যুবলীগ নেতা আকাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মামার বাড়ি রেস্টুরেন্ট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অজয় সেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনির বাসা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, মৌলভীবাজার মডেল থানাসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।

স্থানীয় লোকজন জানান কয়েকশ’ দুর্বৃত্ত একইসঙ্গে এই অপকর্ম চালায়। তাদেরকে বাধা দিয়ে কোনো ভাবেই নিবৃত্ত করা যাচ্ছিল না। তারা বেশির ভাগই স্থানীয় নয়। তারা সবাই ছিল অপরিচিত। তারা জানান হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর তারা বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়ে সবকিছুই পুড়িয়ে ফেলে। তবে এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা নিজ বাসাবাড়িতে ছিলেন না। এমনকি এ সময় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ছিল বন্ধ। ওইদিন রাত ও মঙ্গলবার নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন ছিলেন সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগ ঘরানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়। কিছু উচ্ছৃঙ্খল দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর চালানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে এমন উদ্বিগ্নতা বাড়ে। এমতাবস্থায় মৌলভীবাজার শহরের সর্বস্তরের বাসিন্দাদের ভয়ভীতি কাটাতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সকলের দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শহর জুড়ে মাইকিং করান সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি এম নাসের রহমান। সেই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দায়িত্বশীল প্রহরীর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন।

 

এম নাসের রহমানের এমন উদ্যোগ জেলা শহরের আইনশৃঙ্খলা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার এমন মাইকিং ও নির্দেশনার পর থেকে দলের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বাসাবাড়ি, সংখ্যালঘুদের বাসাবাড়ি ও ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষায় সক্রিয় হন।

 

এ ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকেই পাহারায় নিয়োজিত হন। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট

আপডেট সময় ১২:১৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার শহরে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে তাণ্ডব চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা।

 

গত সোমবার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবরে শহরে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

 

দুর্বৃত্তরা একের পর এক বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ করে। তারা সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর শহরের বেরিপাড়স্থ বাড়ি, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বাসা ও তার গাড়িত আগুন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ এম এ রহিম শহীদ সিআইপি’র বাসা ও বাণিজ্যিক মার্কেট, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুমেল আহমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সমরেশ দাস জিশু’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ম্যানেজার স্টল ও রাধিকা স্টল, যুবলীগ নেতা আকাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মামার বাড়ি রেস্টুরেন্ট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অজয় সেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনির বাসা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, মৌলভীবাজার মডেল থানাসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।

স্থানীয় লোকজন জানান কয়েকশ’ দুর্বৃত্ত একইসঙ্গে এই অপকর্ম চালায়। তাদেরকে বাধা দিয়ে কোনো ভাবেই নিবৃত্ত করা যাচ্ছিল না। তারা বেশির ভাগই স্থানীয় নয়। তারা সবাই ছিল অপরিচিত। তারা জানান হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর তারা বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়ে সবকিছুই পুড়িয়ে ফেলে। তবে এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা নিজ বাসাবাড়িতে ছিলেন না। এমনকি এ সময় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ছিল বন্ধ। ওইদিন রাত ও মঙ্গলবার নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন ছিলেন সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগ ঘরানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়। কিছু উচ্ছৃঙ্খল দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর চালানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে এমন উদ্বিগ্নতা বাড়ে। এমতাবস্থায় মৌলভীবাজার শহরের সর্বস্তরের বাসিন্দাদের ভয়ভীতি কাটাতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সকলের দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শহর জুড়ে মাইকিং করান সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি এম নাসের রহমান। সেই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দায়িত্বশীল প্রহরীর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন।

 

এম নাসের রহমানের এমন উদ্যোগ জেলা শহরের আইনশৃঙ্খলা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার এমন মাইকিং ও নির্দেশনার পর থেকে দলের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বাসাবাড়ি, সংখ্যালঘুদের বাসাবাড়ি ও ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষায় সক্রিয় হন।

 

এ ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকেই পাহারায় নিয়োজিত হন। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।