মৌলভীবাজারে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার, ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার

- আপডেট সময় ০৩:৪৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে একটি রয়েল এনফিল্ডসহ মোট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, যা বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা হয়েছিল।
গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার শহরের গীর্জাপাড়া এলাকা থেকে জনৈক মাহবুব হাসানের ভাড়াবাসা থেকে একটি রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল চুরি হয়। এঘটনায় বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। (মামলা নং-৪২(৮)২৫)
চুরির ঘটনার পর পরই মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম,কে,এইচ,জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম -সেবার নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খয়েরের তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু করে পুলিশ।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই জয়ন্ত সরকার, এসআই হিরন কুমার বিশ্বাস, এসআই উৎপল সাহাসহ একটি টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তকালে পুলিশের এই বিশেষ টিম প্রায় ৪৭টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চক্রের মূলহোতাসহ সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে।
সদর থানার টিম গত ২৮ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানাধীন চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগর (৩৫), পিতা—ছানা বাবু ওরফে অজিত দাস, মাতা—মিতা রানী দাস, স্থায়ী ঠিকানা—আগরপুর পূর্বপাড়া, ডাকঘর সরাসচর, থানা কুলিয়ারচর, জেলা কিশোরগঞ্জকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই আসামি তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জল হোসেন এবং মো. বাবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় মো. বাবুল হোসেনের হেফাজত থেকে একটি চোরাই পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন পটলের ছেলে সোহানের বাড়ি থেকে মামলার চোরাই যাওয়া রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলসহ আরও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আসামিদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই স্থান (ভৈরব, পলতাকান্দা) থেকে আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো: মাহবুবুর রহমান জানান, ‘এ পর্যন্ত মোট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের সোহানের কাছে বিক্রি করে আসছিল। আমরা তাকে গ্রেফতারে কাজ করছি।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন,বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগর (৩৫), পিতা—ছানা বাবু ওরফে অজিত দাস, মাতা—মিতা রানী দাস, স্থায়ী ঠিকানা—আগরপুর পূর্বপাড়া, ডাকঘর সরাসচর, থানা কুলিয়ারচর, জেলা কিশোরগঞ্জ। বর্তমানে সে বসবাস করছিল চান্দুরা (দাসপাড়া), মহাদেব মন্দিরের পাশে, থানা বিজয়নগর, জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জুল হোসেন,পিতা- আমির হোসেন, সাং- জালালপুর, থানা- বিজয়নগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাজার।মো: বাবুল হোসেন, পিতা- মো. সামসু মিয়া, সাং- সাতগাঁও, চান্দুরা, থানা- বিজয়নগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাজার।
