মৌলভীবাজারে এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ এর ইফতার দোয়া মাহফিল

- আপডেট সময় ১২:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
- / ১ বার পড়া হয়েছে

প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের বড় ছেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, দেশে আগামীতে যখন নির্বাচনে যাবে তখন জনগনতো দেখবে না, যে তুমি পার্লামেন্টে কোন বিল পাশ করেছ,না করনি। এসমস্ত রিফর্ম টিফর্ম না দেখে তুমি আমার এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কতটুকু করছে কি না,স্কুল করেছ কি না,হেলথের উন্নয়নে কাজ করেছ কী না, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে কি না এসব বিচার বিশ্লেষন করে মানুষ ভোট দিতে যাবে।
শনিবার (১৪ মার্চ) এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ,বাংলাদেশ এর আয়োজনে দুসাই রিসোর্টে ইফতারপূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কারণ দেশে সম্প্রতি এই যে একটা জরিপ উঠে এসেছে,দেশের মানুষের কী প্রত্যাশা। এই জরিপের মধ্যে মানুষের নাম্বার ওয়ান অ্যাফেক্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্দি ৭১ পারসেন্ট,আইনশৃঙ্খলার অবনতি ৪২ পারসেন্ট। এভাবে করতে করতে ইলেক্টোরেল রির্ফম হচ্ছে ৮ নাম্বারে। মানে জনগনের কথা হচ্ছে, এসমস্ত রিফর্মের দরকার নেই। তোমার রিফর্ম কী করবে, তোমরা দেখ। জরিপে প্রায়োরেটি দশটার মধ্যে ৮ নম্বরে হলো যেটি নিয়ে দেশের মধ্যে এত মারা মারি, কাটাকাটি, চিল্লচিল্ল করা হচ্ছে, আর এটাই জরিপের ৮ নম্বর সাবজেক্টে রিফর্ম। যেটি ইলেক্টোরেল রিফর্ম বলে যোগ করেন তিনি।
নাসের রহমান মনে করেন,একটা রিফর্ম বাদ পরে গেছে যেটি,পার্লামেন্টের মেম্বারদের রিফর্ম এসেন্সিয়াল। হোয়াট অ্যা মেম্বার অফ পার্লামেন্ট রিফর্ম টু। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৩০০ এমপির মধ্যে ২৮০ জনেরই একটা বিল নিয়ে আলোচনা করার সক্ষমতা নেই। এটা শুধু বাংলাদেশ না ইন্ডিয়া,পাকিস্তানেও সেইম অবস্থা। এই লেজিসলেটিভ নিয়ে বুঝারই সক্ষমতা অধিকাংশেরই নেই। কেউ স্টাডিও করেন না। আমি দেখেছি,আমার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতায়। একটা বিল নিয়ে আলোচনা কিভাবে করতে হবে,এটা আলোচনা করারও সক্ষমতা নেই।
নাসের বলেন, এদেশের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যেমন,উপজেলা চেয়ারম্যান যেমন, এমপিও একই রকমের। আমার মনে হয়, পার্লামেন্ট মেম্বারদের রুলের ওপর একটা রিফর্ম হওয়া দরকার। যেমন,পাকিস্তানে আছে,মিনিমাম গ্র্যাজুয়েশন ছাড়া এমপি হওয়া যায় না।
এতে এম সাইফুর রহমানের চাচাতো ভাই মো.ফয়সল আহমেদ রহমান,মামোতা ভাই মো.বদরুল আলম,এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সৈয়দ তৌফিক আহমদ,সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.ড.মো.আব্দুল মতিন চৌধুরী,মৌলভীবাজার জেলা বারের আহবায়ক অ্যাড.মুজিবুর রহমান মুজিব,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারী মো.ইয়ামীর আলী,মৌলভীবাজার জজকোর্টের জিপি আ্যাড.মামুনুর রশিদ,নারী শিশুর পিপি অ্যাড.জুবের আহমদ চৌধুরী, বিভিন্ন রাজনৈতিকদল,পেশাজীবি,সাংবাদিক ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।
