ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং, জনজীবনে চরম ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার পুরো জেলায় চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ।আর এই প্রচন্ড দাবদাহের মাঝেও চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং।

রাতে থেকে শুরু হওয়া এই লোডশেডিং জেলার ৭ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় চলছে। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ। এতে সব শ্রেণীর মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। জেলার ক্ষুদ্র মাঝারি কল কারখানা সহ চায়ের বাগানগুলোতে উৎপাদন চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ অসন্তোষ।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেলারেল ম্যানেজার জিএম ইঞ্জিনিয়ার সানোয়ার হোসেন জানান, মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলার গ্রাহক সাড়ে ৪ লাখের বেশি। ১৮ টি সাব স্টেশনের মাধ্যমে এই গ্রাহদের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আর সোর্স লাইন কুলাউড়া ফেঞ্চুগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল।

তিনি জানান,চাহিদা ছিলো ৬৬ মেগাওয়াট। পেয়েছেন মাত্র ৪০ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে ঘন্টায় একবার সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সরবরাহ এবং বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খারাপ স্বীকার করে বলেন, চাহিদা ১৫ মেঘাওয়াটের মতো। অথচ বরাদ্দ পেয়েছি সাড়ে ৮ মেঘাওয়াটের মতো। ফলে বাধ্য হয়ে এক ঘন্টা পর পর রেশনিং করে সরবরাহ করতে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, মৌলভীবাজার জেলায় সদর, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার পিডিবির গ্রাহক সংখ্যা ৮৭ হাজারের মতো। সদর উপজেলার সর্স লাইন শ্রীঙ্গল ও ফেঞ্চুগঞ্জ গ্রিড স্টেশন। সকালে ঢাকা থেকে জানানো হয়েছে আজ নির্দেশনা মোতাবেক লোডশেডিং করার জন্য । এতে মনে হচ্ছে আজকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নাজুক।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং, জনজীবনে চরম ভোগান্তি

আপডেট সময় ১০:০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার পুরো জেলায় চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ।আর এই প্রচন্ড দাবদাহের মাঝেও চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং।

রাতে থেকে শুরু হওয়া এই লোডশেডিং জেলার ৭ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় চলছে। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ। এতে সব শ্রেণীর মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। জেলার ক্ষুদ্র মাঝারি কল কারখানা সহ চায়ের বাগানগুলোতে উৎপাদন চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ অসন্তোষ।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেলারেল ম্যানেজার জিএম ইঞ্জিনিয়ার সানোয়ার হোসেন জানান, মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলার গ্রাহক সাড়ে ৪ লাখের বেশি। ১৮ টি সাব স্টেশনের মাধ্যমে এই গ্রাহদের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আর সোর্স লাইন কুলাউড়া ফেঞ্চুগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল।

তিনি জানান,চাহিদা ছিলো ৬৬ মেগাওয়াট। পেয়েছেন মাত্র ৪০ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে ঘন্টায় একবার সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সরবরাহ এবং বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খারাপ স্বীকার করে বলেন, চাহিদা ১৫ মেঘাওয়াটের মতো। অথচ বরাদ্দ পেয়েছি সাড়ে ৮ মেঘাওয়াটের মতো। ফলে বাধ্য হয়ে এক ঘন্টা পর পর রেশনিং করে সরবরাহ করতে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, মৌলভীবাজার জেলায় সদর, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার পিডিবির গ্রাহক সংখ্যা ৮৭ হাজারের মতো। সদর উপজেলার সর্স লাইন শ্রীঙ্গল ও ফেঞ্চুগঞ্জ গ্রিড স্টেশন। সকালে ঢাকা থেকে জানানো হয়েছে আজ নির্দেশনা মোতাবেক লোডশেডিং করার জন্য । এতে মনে হচ্ছে আজকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নাজুক।