ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
হাজীপুরে জব্দ করা ১৩ কোটি টাকার বালু প্রকাশ্য নিলাম স্থগিত জুড়ী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন সভাপতি রেজা, সম্পাদক মতিউর সিলেটে জিপিস্টার পার্টনারদের স্বীকৃতি দিলো গ্রামীণফোন বিএনপি যদি রাস্ট্র ক্ষমতায় যায় তাহলে আমরা এই পুলিশ কে বিএনপির পুলিশ বানাবো না – জি কে গউছ সিলেটে পাথর লু ট,প্রশাসনের বি রু দ্ধে শুরু হচ্ছে অ্যাকশন ডাক্তারদের চেম্বারে ওষুধ কোম্পানির দৌরাত্ম্য: ভুক্তভোগী রোগীরা বাংলাদেশে সব সময়ই হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে — এম নাসের রহমান জনগণ কে নিয়ে চলার দল বিএনপি। বিএনপি পেছন দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ায় বিশ্বাস করে না: বড়লেখায় ডা: জাহিদ বিশ্বের ১০ সুন্দরী চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার, গ্রে/ফ/তা/র – ১

মৌলভীবাজারে চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুৎ,চরম ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৮২৩ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: 

মৌলভীবাজার পৌর ও শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)। আর জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু শহরতলি এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার জেলার ও শহরতলির প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মৌলভীবাজার চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে রাত-দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মিলিয়ে ৮ -১১ ঘণ্টাও বিদ্যৎ পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। এতে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত পাশাপাশি নিদারুন কষ্টে আছেন তারা। বিঘ্ন ঘটছে অফিস-আদালতের কার্যক্রমেও।

একদিকে রমজান, অন্যদিকে গরমের উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ থাকছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইফতারের সময় যেমন বিদ্যুৎ চলে যায় তেমনি রাতে সেহেরির সময়ও হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। দিন রাত মিলিয়ে ৮-১১ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না । এতে চরম ভোগান্তিতে আছেন মৌলভীবাজারের মানুষ।

মৌলভীবাজার  বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড  নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার জানান- ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে ৭ মেগা.। ঘাটতি ৫ মেগা.। ফলে বিক্রয় ও বিতরণ ফেঞ্চুগঞ্জ ৩৩ কেভি লাইন এর অওতাভুক্ত এলাকায় অনির্ধারিত লোডশেডিং হচ্ছেই। আর সরবরাহ কম থাকায় গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

মৌলভীবাজার শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। আর মৌলভীবাজার জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতের চাইতে পিডিবিকে কম দেওয়া হচ্ছে। পিডিবির চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তারা।

এদিকে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন- হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট এবং ঈদের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়াও বিদ্যুৎহীনতার কারণ।  গরমের কারণে বাসা বাড়ি, মার্কেট, অফিস পাড়ায় এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে। আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোতে দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে। পাশাপাশি এখনো অফিস আদালত, কলকারখানা বন্ধ হয়নি তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবস্থা আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে। এর পরে অফিস আদালত কল কারখানাতে ঈদের বন্ধ হয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং সমস্যা এরকম থাকবে না।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুৎ,চরম ভোগান্তি

আপডেট সময় ১০:০০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: 

মৌলভীবাজার পৌর ও শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)। আর জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু শহরতলি এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে মৌলভীবাজার জেলার ও শহরতলির প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মৌলভীবাজার চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে রাত-দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব মিলিয়ে ৮ -১১ ঘণ্টাও বিদ্যৎ পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। এতে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত পাশাপাশি নিদারুন কষ্টে আছেন তারা। বিঘ্ন ঘটছে অফিস-আদালতের কার্যক্রমেও।

একদিকে রমজান, অন্যদিকে গরমের উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরেই মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ থাকছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ইফতারের সময় যেমন বিদ্যুৎ চলে যায় তেমনি রাতে সেহেরির সময়ও হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। দিন রাত মিলিয়ে ৮-১১ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না । এতে চরম ভোগান্তিতে আছেন মৌলভীবাজারের মানুষ।

মৌলভীবাজার  বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড  নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার জানান- ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে ৭ মেগা.। ঘাটতি ৫ মেগা.। ফলে বিক্রয় ও বিতরণ ফেঞ্চুগঞ্জ ৩৩ কেভি লাইন এর অওতাভুক্ত এলাকায় অনির্ধারিত লোডশেডিং হচ্ছেই। আর সরবরাহ কম থাকায় গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

মৌলভীবাজার শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। আর মৌলভীবাজার জেলার গ্রামাঞ্চলসহ কিছু এলাকায় সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তু বিদ্যুৎ বন্টনের ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতের চাইতে পিডিবিকে কম দেওয়া হচ্ছে। পিডিবির চাহিদার অর্ধেকের চাইতেও কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তারা।

এদিকে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন- হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট এবং ঈদের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়াও বিদ্যুৎহীনতার কারণ।  গরমের কারণে বাসা বাড়ি, মার্কেট, অফিস পাড়ায় এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে। আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোতে দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে। পাশাপাশি এখনো অফিস আদালত, কলকারখানা বন্ধ হয়নি তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অবস্থা আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে। এর পরে অফিস আদালত কল কারখানাতে ঈদের বন্ধ হয়ে যাবে। তখন লোডশেডিং সমস্যা এরকম থাকবে না।