ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার দুই ছিনতাইকারী গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১২৫১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: পুলিশের দ্রুত অভিযানে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।

ছিনতাইকারীরা হলেন, মোস্তফাপুর ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের শেখ জয়নুল্লাহ মিয়ার ছেলে মো: শরিফ উদ্দিন (৩৫) ও দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার বর্তমান কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের (আলমগীর মিয়ার কলোনী) বসবাসকারি সামছুল ইসলামের ছেলে মোঃ সুমন ইসলাম (২৫) ।

মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই কাঞ্চন দাস জানান,ফারজানা আক্তার (২১) মৌলভীবাজার শহরের একটি  প্রাইভেট হাসপাতালে চাকুরী করেন। গত ৮ এপ্রিল হাসপাতাল হইতে কাজ শেষে বেরীরপাড় হইতে টমটম যোগে রওয়ানা করিয়া কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় যান। সেখান হইতে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠিয়া ৭নং চাঁদনীঘাট ইউপির নতুন বাজার সিএনজি ষ্ট্যান্ডে জনৈক মছব্বির মিয়ার দোকানের সামনে নামেন। পরক্ষণই একটি নীল রংয়ের সিএনজি দিয়ে অজ্ঞাতনামা ২ জন লোক সামনে আসিয়া জোরপূর্বক তাহাকে সিএনজিতে উঠাইয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। কিছু দূর গিয়ে অজ্ঞাতস্থানে সিএনজি গাড়িটি থামিয়ে অজ্ঞাতনামা ২ জন তাকে চাকু দিয়ে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে তাহার নিকট থেকে ১৫,০০০/-(পনের হাজার) টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেয় এবং তাহারা একটি বিকাশ নাম্বার (০১৭১৪-৯৫৫২৫৪) দিয়ে বলে যে, আরো ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা তাদেরকে দিতে হবে। নতুবা বাদীনিকে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার পথে প্রাণে মেরে ফেলবে বলিয়া চলিয়া যায়।

ফারজানা তাহার খালাতো ভাই সৈয়দ মাহবুব আলীকে মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানাইলে তাৎক্ষনিক ফারজানাকে নিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।  তদন্তভার গ্রহন করিয়া এজাহার পর্যালোচনা করি। এজাহারে বর্ণিত বিকাশ নাম্বারটি ব্যবহার করিয়া তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানাধীন পৌরসভাস্থ শাহ মোস্তফা (রাঃ) দরগা গেইটের সামনে হইতে ৯ এপ্রিল বিকেলে সিএনজি সহ আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকালে উপস্থিত ফারজানা গ্রেফতকৃত আসামীদ্বয়কে অত্র মামলার ছিনতাই এর ঘটনায় জড়িত বলিয়া সনাক্ত করেন।

সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামী মোঃ শারিফ উদ্দিন এর দেহ তল্লাশি করিয়া তাহার পরিহিত পাঞ্জাবীর ডান পকেট হইতে ৫০০ টাকার নোট ২টি (৫০০×২)=১,০০০/- টাকা এবং বাম পকেট হইতে তাহার ব্যবহৃত Redmi 6A মডেলের ০১টি এনড্রোয়েট মোবাইল সেট (যাহার মধ্যে বাদীনির অভিযোগে উল্লেখিত বিকাশ নাম্বার ০১৭১৪-৯৫৫২৫৪ ব্যবহার হয়েছে) এবং ধৃত আসামী মোঃ সুমন ইসলাম এর দেহ তল্লাশি করিয়া তাহার পরিহিত জিন্স প্যান্টের ডান পকেট হইতে ৫০০ টাকার ০১টি নোট সহ উল্লেখিত স্থান হইতে ১টি সিএনজি গাড়ি, যাহার রেজি নং- মৌলভীবাজার-থ ১২-৮৯৪৬ পাইয়া জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করিয়া সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহন করা হয়। জব্দকৃত নগদ অর্থ সর্বমোট ১৫০০/- টাকাছিনতাইকৃত টাকা এবং জব্দকৃত সিএনজি গাড়িটি অত্র মামলার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি গাড়ি বলিয়া সনাক্ত করেন।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছিনতাইকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত মর্মে জানায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার দুই ছিনতাইকারী গ্রেফতার

আপডেট সময় ১০:১৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি: পুলিশের দ্রুত অভিযানে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।

ছিনতাইকারীরা হলেন, মোস্তফাপুর ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের শেখ জয়নুল্লাহ মিয়ার ছেলে মো: শরিফ উদ্দিন (৩৫) ও দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার বর্তমান কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের (আলমগীর মিয়ার কলোনী) বসবাসকারি সামছুল ইসলামের ছেলে মোঃ সুমন ইসলাম (২৫) ।

মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই কাঞ্চন দাস জানান,ফারজানা আক্তার (২১) মৌলভীবাজার শহরের একটি  প্রাইভেট হাসপাতালে চাকুরী করেন। গত ৮ এপ্রিল হাসপাতাল হইতে কাজ শেষে বেরীরপাড় হইতে টমটম যোগে রওয়ানা করিয়া কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় যান। সেখান হইতে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠিয়া ৭নং চাঁদনীঘাট ইউপির নতুন বাজার সিএনজি ষ্ট্যান্ডে জনৈক মছব্বির মিয়ার দোকানের সামনে নামেন। পরক্ষণই একটি নীল রংয়ের সিএনজি দিয়ে অজ্ঞাতনামা ২ জন লোক সামনে আসিয়া জোরপূর্বক তাহাকে সিএনজিতে উঠাইয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। কিছু দূর গিয়ে অজ্ঞাতস্থানে সিএনজি গাড়িটি থামিয়ে অজ্ঞাতনামা ২ জন তাকে চাকু দিয়ে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে তাহার নিকট থেকে ১৫,০০০/-(পনের হাজার) টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেয় এবং তাহারা একটি বিকাশ নাম্বার (০১৭১৪-৯৫৫২৫৪) দিয়ে বলে যে, আরো ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা তাদেরকে দিতে হবে। নতুবা বাদীনিকে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার পথে প্রাণে মেরে ফেলবে বলিয়া চলিয়া যায়।

ফারজানা তাহার খালাতো ভাই সৈয়দ মাহবুব আলীকে মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানাইলে তাৎক্ষনিক ফারজানাকে নিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।  তদন্তভার গ্রহন করিয়া এজাহার পর্যালোচনা করি। এজাহারে বর্ণিত বিকাশ নাম্বারটি ব্যবহার করিয়া তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানাধীন পৌরসভাস্থ শাহ মোস্তফা (রাঃ) দরগা গেইটের সামনে হইতে ৯ এপ্রিল বিকেলে সিএনজি সহ আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকালে উপস্থিত ফারজানা গ্রেফতকৃত আসামীদ্বয়কে অত্র মামলার ছিনতাই এর ঘটনায় জড়িত বলিয়া সনাক্ত করেন।

সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামী মোঃ শারিফ উদ্দিন এর দেহ তল্লাশি করিয়া তাহার পরিহিত পাঞ্জাবীর ডান পকেট হইতে ৫০০ টাকার নোট ২টি (৫০০×২)=১,০০০/- টাকা এবং বাম পকেট হইতে তাহার ব্যবহৃত Redmi 6A মডেলের ০১টি এনড্রোয়েট মোবাইল সেট (যাহার মধ্যে বাদীনির অভিযোগে উল্লেখিত বিকাশ নাম্বার ০১৭১৪-৯৫৫২৫৪ ব্যবহার হয়েছে) এবং ধৃত আসামী মোঃ সুমন ইসলাম এর দেহ তল্লাশি করিয়া তাহার পরিহিত জিন্স প্যান্টের ডান পকেট হইতে ৫০০ টাকার ০১টি নোট সহ উল্লেখিত স্থান হইতে ১টি সিএনজি গাড়ি, যাহার রেজি নং- মৌলভীবাজার-থ ১২-৮৯৪৬ পাইয়া জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করিয়া সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহন করা হয়। জব্দকৃত নগদ অর্থ সর্বমোট ১৫০০/- টাকাছিনতাইকৃত টাকা এবং জব্দকৃত সিএনজি গাড়িটি অত্র মামলার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি গাড়ি বলিয়া সনাক্ত করেন।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছিনতাইকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত মর্মে জানায়।