মৌলভীবাজারে জামায়াতের বিশাল গণ মিছিল। ফ্যাসিস্টদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে

- আপডেট সময় ১১:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ১ বার পড়া হয়েছে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি::
জুলাই গণ-অভ্যূত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মৌলভীবাজারে গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা।
মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় পৌর পার্কে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে গণমিছিলের পূর্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী মোঃ ইয়ামীর আলীর পরিচালনায় স্বতঃস্ফূর্ত জনতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সিলেট মহানগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও শ্রীমঙ্গল -কমলগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট আব্দুর রব,ছাত্র শিবির মৌলভীবাজার শহর সভাপতি তারেক আজিজ,জেলা সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন শাহ, পৌর জামায়াতের আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুর রাইয়ান শাহীন সেক্রেটারি মিসবাউল হাসান ,কমলগঞ্জ উপজেলা আমীর মোঃ মাসুক মিয়া সেক্রেটারি এডভোকেট কামরুল ইসলাম,সদর উপজেলা নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম জাকির, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম কামরুল প্রমুখ।
মিছিলে জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি ছিল । সমাবেশ শেষে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এ গণমিছিল পৌর পার্ক থেকে শুরু হয়ে চৌমহনা ঘুরে এম সাইফুর রহমান রোড প্রদক্ষিণ করে কুসুমবাগ পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলের শহরে পরিণত হয় পুরো মৌলভীবাজার ।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে ক্ষমতাকে আজীবনের জন্য পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিলেন। জনগণের জনবিষ্ফোরণে তার সেই স্বাদ মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল। একই কায়দায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার তাদের যাত্রা শুরু করেছিল, এমন কোন নিপীড়ন ও নির্যাতন তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবশিষ্ট রাখেনি, সকল জুলুম, নির্যাতন নিপীড়ন করে দেশ ও জাতির কন্ঠকে স্তব্ধ করে একদলীয় বাকশালের দিকে পা বাড়িয়ে ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকার তার সেই স্বপ্ন বিপ্লবী জনতা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।এ সময় জনতা উচ্চকণ্ঠে ঠিক ঠিক বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণ পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম নিবে না বরং জাতীয় সংসদে প্রত্যেক দলের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। এখানে কারও একক কর্তৃত্ব থাকবে না, নির্বাচনে কালো টাকার খেলা থাকবে না, জাতীয় সংসদ সংসদে অতীতের মত গান বাজনার আসরে পরিণত না।
জেলা আমীর বলেন, বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে। যারা ৫ আগস্টের আগে নির্দেশ দিয়ে জনগণকে প্রকাশ্যে দিবালোকে ধরে ধরে হত্যা করেছে, এই হত্যাকারী, খুনি, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিচার ছাড়া আমরা বাংলাদেশে এক পা আগাতে চাই না। অবিলম্বে ফ্যাসিস্টদের বিচার ত্বরান্বিত করতে হবে। এর মাধ্যমে বিচার হীনতার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আনতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী বলেন, বাংলাদেশে যতগুলো নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হয়েছিল সেগুলো নিরপক্ষ ও কম প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। আওয়ামীলীগ সরকার তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে। তারা দিনের ভোট রাতে করে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের সংস্কৃতি বাংলাদেশে চালু করে। ফ্যাসিস্ট শাসনামলে বিনাভোটে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। আমি এবং ডামি পাতানো নির্বাচন জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। এমন তামাশার নির্বাচন জনগণ আর দেখতে চায় না।
