মৌলভীবাজারে জাল কোর্ট ফি ক্রয়-বিক্রয়ের অপরাধে ২ জনের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড
- আপডেট সময় ১১:২৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৫৯৯ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ্যে আদালতে জি.আর ৫০/২০১১ (শ্রীমঙ্গল) নং মামলায় সাজার রায় ঘোষণা করেন।
বুধবার দুপুরে প্রকাশ্যে আদালতে এ মামলায় সাজার রায় ঘোষণা করেন।
জি.আর ৫০/২০১১ (শ্রীমঙ্গল) নং মামলায় অভিযুক্ত ১। নজরুল ইসলাম, ২। রমেন্দ্র ভট্টাচার্য কে পেনাল কোডের ৪৬৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করত: ৫ (পাঁচ) বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ০২ (দুই) মাস সশ্রম কারাদন্ড ও পেনাল কোডের ৪৬৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করত: ৫ (পাঁচ) বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ০২ (দুই) মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
গত ০৩/০৩/২০১১খ্রি. তারিখ শ্রীমঙ্গল থানাধীন হোটেল বিরতি রুম নং ৩/২ এর মধ্যে ৩২৪০ টি জাল কোর্ট ফি ও জাল কোর্ট ফি বিক্রয়ের নগদ ৯৬২০/- (নয় হাজার ছয়শত বিশ) টাকাসহ অভিযুক্তদের হাতে নাতে আটক করে র্যাব। জাল কোর্ট ফি ক্রয়-বিক্রয়ের অপরাধে উক্ত সাজা প্রদান করা হয়। সাজা ঘোষণার সময় অভিযুক্ত ১। নজরুল ইসলাম হাজির ছিলেন তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। অপর পলাতক আসামী ২। রমেন্দ্র ভট্টাচার্যের প্রতি গ্রেফতারী পরোয়না ইস্যু করা হয়।
উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর জাল কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প ক্রয় বিক্রয়ের দরুন বিচার বিভাগ হতে ১০ হাজার কোটি সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়। যার ফলে, দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে। মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে মাননীয় সুপ্রীম কোর্ট হতে সরবরাহকৃত ICD MULTI-FUNCTIONAL UV-FLASHLIGHT এর মাধ্যমে জ¦াল কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলমান আছে এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।