মৌলভীবাজারে ডিমের দাম উঠানামা করায় হতাশ
- আপডেট সময় ০৫:০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২
- / ৪৯৩ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় ঢাকার কোম্পানি। এতে স্থানীয় ভাবে গড়ে ওঠা প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামারিা ঝরে পড়ার শঙ্কা। মোরগের খাদ্যের দাম বাড়ায় তারা দিশেহারা। বাজারে দাম উঠানামা করায় হতাশায় ক্রেতারা।
স্থানীয় খামারিরা বলছেন, পোল্টি ঔষধ ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে তারা লুকসানে আছেন। ঢাকার বড় কোম্পানি বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ডিমের দাম বৃদ্ধি করছে। স্থানীয় ভাবে ডিমের সংকট দেখা দিয়েছে আগের মত বেচা কেনা নেই খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা রয়েছেন হতাশায় পশুসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তাই বাজারে ডিমের দাম উঠানামা করছে। মোরগের খাদ্য ও ঔষধের মুল্যবৃদ্ধির কারনে শঙ্কায় পড়েছে প্রান্তিক খামারিরা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোরগের ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা ৫০ পয়সা ও হাঁসের ডিম ১৫’ টাকা। কথা হয় খুচরা ডিম বিক্রেতা মৌলভীবাজার টিসি মার্কেটের সজলের সাথে।
তিনি বলেন, ডিমের বাজার বেসামাল হয়ে গেছে। দাম উঠানামা করছে। এতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। টেংরা বাজারে ডিম ক্রয় করতে আসা জাকির হোসেন, শিপন আলী, সুমন আহমদ বলেন, ডিম পুষ্টিকর খাবার। পুষ্টির চাহিদা পুরণে ডিম ক্রয় করতে হচ্ছে। তবে বাজারে আজ এক দাম কাল আরেক দাম। দর উঠানামায় বেসামাল অবস্থা বিরাজ করছে। কথা হয় জেলার টেংরাবাজারের ডিম বিক্রেতা ইউসুফ পাঠানের সাথে।
তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় খামারির কাছ থেকে ডিম ক্রয় করে বিক্রি করি। খাদ্য ও ঔষধের দাম বাড়ায় ডিমের দাম বাড়ছে।
এ ছাড়া পরিবহন খরচ ও বেড়েছে। বড় কোম্পানি গুলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ক্ষুদ্র প্রান্তিক খামারিরা লুকসানে পড়ছে। আমাদেরও ব্যবসা বানিজ্য আগের মত হচ্ছে না। ডিমের আরতদার টেংরা বাজারের রুহুলআমীন ও মৌলভীবাজার শহরের নানু মিয়া বলেন, বড় কোম্পানি গুলো ডিম স্টক করে দাম বাড়ায়। আমরা স্থানীয় খামারির কাছ থেকে ডিম ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করি। মোরগের খাদ্য ও ঔষধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমের বাজার দর চড়া হয়েছে। ডিম বিক্রি করে তেমন লাভ হচ্ছে না। স্থানীয় খামারিরা লুকসানে পড়লে ডিমের দাম আরো বাড়বে।
মৌলভীবজার জনতা পোল্টি র্ফামের সত্তাধিকারি হাসান আহমদ বলন,আমার ৬০ হাজার ডিমাল মোরগ ছিল। প্রতিদিন ৪০ হাজার ডিম বেড় হতো। এখন ২০ হাজার মোরগ রয়েছে। ১৭/১৮ হাজার ডিম উৎপাদন হয়। খাদ্যের বস্তা ছিল ১৭শ টাকা। বর্তমানে দাম বেড়ে ২৯শ টাকা হয়েছে। এই অবস্থা বেশী দিন চললে পোল্টি খামার চালানো যাবে না। প্রান্তিক খামারি বিমল পাল বলেন, আগে ডিমের স্থানীয় বাজার মূল্য আরতদাররা নির্ধারণ করতো আর এখন ঢাকার কাজী র্ফাম,প্যারাগন,সিপি বাংলাদেশ, ডায়মন্ড এসব কোম্পানি নির্ধারণ করে বলে বাজারে ডিমের মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, পোল্টি খামার লাভজনক অবস্থানে ছিল। খাদ্যে সামগ্রীর মুল্যে বৃদ্ধিতে ডিম উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে এতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারি ঝরে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। লুকসানে আছে খামারি আর লাভে আছে মধ্যেসত্তভোগিরা। স্থানীয় খামার রক্ষা করতে হলে বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। বড় বড় কোম্পানি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে যাওয়ায় ডিমের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।