ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

মৌলভীবাজারে দু‘দিনব্যাপী কৃষি বিজ্ঞানীরাদের কর্মশালা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টঃ বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বিগত বছরের ফলাফলের আলোকে বর্তমান সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় বস্তায় আদা চাষ ও হলুদ চাষকে আরো লাভজনক করার জন্য নতুন গবেষনার প্রয়োজন বলে মনে করেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। এ অঞলে নিরাপদ কৃষি পণ্য ফলনে পোঁকা-মাকড় ও রোগ-জীবাণুর সমস্যা দূরিকরণে আরো বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত দেন কৃষি গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানীরা। এছাড়া সরিষার আবাদ বৃদ্ধিকারী বারি সরিষা-১৮ এবং বারি সরিষা-২০ সিলেট অঞ্চলে আবাদের জন্য চিহ্নিত করে পতিত জমিতে চাষাবাদে ডাল,তেল, আলু ও গম ইত্যাদির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিজ্ঞানীরা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন।

 

বুধবার (২৮ মে) মৌলভীবাজার সদরের আকবরপুরে অবস্থিত আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রশিক্ষণ ভবনে দু‘দিনব্যাপী আঞ্চলিক গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচী প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালার শেষ দিনে এসব মতামত তুলে ধরেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিজ্ঞানী,কৃষক প্রতিনিধি,এনজিও প্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয় সিলেট অঞ্চলের সকল দফতরের কৃষি বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের সম্মিলিত উপস্থিতিতে বিগত বছরের কার্যক্রমের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষনা বর্হিভুত মাঠ পর্যায়ের সমস্যার আলোকে পরবর্তী বছরের জন্য গবেষণা কার্যক্রম তৈরি ও বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা হাতে নেন কর্মশালায়। এসব পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের পর তা অনুমোদ হলেই শুরু হবে বাস্তবায়ন। শেষ দিনের কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে আলু,সবজি,মসলা ,ডাল তেল সহ অন্যান্য ফসলের গবেষণা লব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করে এসব ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বাহিরের প্রতিষ্ঠানের মাঠ পর্যায়ের সমস্যার বাস্তব সম্মত সমাধানের পথ খোঁজে বের করা হয়।

 

এর আগে ২৭ মে মঙ্গলবার কর্মশালার উদ্ভোধন করেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড.আশরাফ উদ্দিন।

 

আকবরপুর কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন,কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ মোশাররফ হোসেন। কর্মশালায় সিলেট অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি সিলেট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বারি মৌলভীবাজার,সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র, বারি, জৈন্তাপুর, সিলেট, আঞ্চলিক ধান গবেষণা কেন্দ্র, হবিগঞ্জ, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, সিলেট, বিনা, সুনামগঞ্জ, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সিলেট অঞ্চলের সকল জেলার উপ-পরিচালক, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা; বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, সিলেটের উপ-পরিচালক (বীজ), যুগ্ম পরিচালকবৃন্দ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি এবং উপকারভোগী কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

কর্মশালয় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.আশরাফ উদ্দিন আহমদ বলেন, অঞ্চলভিত্তিক কৃষি ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশের ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। গবেষণা ভিত্তিক চাষাবাদে বিজ্ঞানীদের গুরুত্ব দিতে হবে।

 

তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলের পতিত জমি চাষের আওতায় এনে শস্যের নিবিড়তা বাড়ানোর কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে। হাওর অঞ্চলে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্দোগী হতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমূহের উদ্ভাবিত টেকসই প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে সারাদেশে সম্প্রসারনের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ নিয়োজিত এবং মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও বিতরণের জন্য একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএডিসি জড়িত, তাই এই তিন বিভাগের সামগ্রিক সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে দেশের কৃষি উন্নয়নে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়।

 

কর্মশালায় ২টি সেশনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীবৃন্দ বিগত বছরের কৃষি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন যার অনেকগুলি জাত ও অন্যান্য প্রযুক্তি সিলেট অঞ্চলের পতিত জমির ব্যবহার ও ফসল চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।

কর্মশালায় সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার উপপরিচালকের পক্ষ থেকে নিজ নিজ জেলার বিগত বছরের কৃষি সম্প্রসারণে যাবতীয় কর্মকান্ডের তথ্য, কৃষকের মাঠে প্রযুক্তি স্থাপন, ফলন, সমস্যা ও সুপারিশমালা প্রভৃতি বিষয়ের তথ্য প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপিত হয়।

এ ছাড়া মাঠে বিদ্যমান সমস্যাদি কৃষির অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্য সমাধানের নিমিত্তে বিজ্ঞানীবৃন্দ কর্তৃক গৃহীত নতুন গবেষণা কর্মসূচী প্রস্তাব আকারে আলোচনা হয়। কৃষি গবেষণা, মৃত্তিকা গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি উন্নয়নসহ সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডের ফলাফলের বিবরণীসহ উপস্থাপিত কৃষির টেকসই উন্নয়নের সাথে জড়িত প্রত্যেক সেশনের শেষে সকল অংশগ্রহনকারীগণ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে দু‘দিনব্যাপী কৃষি বিজ্ঞানীরাদের কর্মশালা

আপডেট সময় ০৪:১৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

ষ্টাফ রিপোর্টঃ বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বিগত বছরের ফলাফলের আলোকে বর্তমান সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় বস্তায় আদা চাষ ও হলুদ চাষকে আরো লাভজনক করার জন্য নতুন গবেষনার প্রয়োজন বলে মনে করেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। এ অঞলে নিরাপদ কৃষি পণ্য ফলনে পোঁকা-মাকড় ও রোগ-জীবাণুর সমস্যা দূরিকরণে আরো বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত দেন কৃষি গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানীরা। এছাড়া সরিষার আবাদ বৃদ্ধিকারী বারি সরিষা-১৮ এবং বারি সরিষা-২০ সিলেট অঞ্চলে আবাদের জন্য চিহ্নিত করে পতিত জমিতে চাষাবাদে ডাল,তেল, আলু ও গম ইত্যাদির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিজ্ঞানীরা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন।

 

বুধবার (২৮ মে) মৌলভীবাজার সদরের আকবরপুরে অবস্থিত আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রশিক্ষণ ভবনে দু‘দিনব্যাপী আঞ্চলিক গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচী প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালার শেষ দিনে এসব মতামত তুলে ধরেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিজ্ঞানী,কৃষক প্রতিনিধি,এনজিও প্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয় সিলেট অঞ্চলের সকল দফতরের কৃষি বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের সম্মিলিত উপস্থিতিতে বিগত বছরের কার্যক্রমের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষনা বর্হিভুত মাঠ পর্যায়ের সমস্যার আলোকে পরবর্তী বছরের জন্য গবেষণা কার্যক্রম তৈরি ও বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা হাতে নেন কর্মশালায়। এসব পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের পর তা অনুমোদ হলেই শুরু হবে বাস্তবায়ন। শেষ দিনের কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে আলু,সবজি,মসলা ,ডাল তেল সহ অন্যান্য ফসলের গবেষণা লব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করে এসব ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বাহিরের প্রতিষ্ঠানের মাঠ পর্যায়ের সমস্যার বাস্তব সম্মত সমাধানের পথ খোঁজে বের করা হয়।

 

এর আগে ২৭ মে মঙ্গলবার কর্মশালার উদ্ভোধন করেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড.আশরাফ উদ্দিন।

 

আকবরপুর কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন,কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ মোশাররফ হোসেন। কর্মশালায় সিলেট অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি সিলেট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বারি মৌলভীবাজার,সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র, বারি, জৈন্তাপুর, সিলেট, আঞ্চলিক ধান গবেষণা কেন্দ্র, হবিগঞ্জ, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, সিলেট, বিনা, সুনামগঞ্জ, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সিলেট অঞ্চলের সকল জেলার উপ-পরিচালক, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা; বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, সিলেটের উপ-পরিচালক (বীজ), যুগ্ম পরিচালকবৃন্দ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি এবং উপকারভোগী কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

কর্মশালয় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.আশরাফ উদ্দিন আহমদ বলেন, অঞ্চলভিত্তিক কৃষি ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশের ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। গবেষণা ভিত্তিক চাষাবাদে বিজ্ঞানীদের গুরুত্ব দিতে হবে।

 

তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলের পতিত জমি চাষের আওতায় এনে শস্যের নিবিড়তা বাড়ানোর কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে। হাওর অঞ্চলে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্দোগী হতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমূহের উদ্ভাবিত টেকসই প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে সারাদেশে সম্প্রসারনের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ নিয়োজিত এবং মান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও বিতরণের জন্য একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএডিসি জড়িত, তাই এই তিন বিভাগের সামগ্রিক সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে দেশের কৃষি উন্নয়নে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়।

 

কর্মশালায় ২টি সেশনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীবৃন্দ বিগত বছরের কৃষি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন যার অনেকগুলি জাত ও অন্যান্য প্রযুক্তি সিলেট অঞ্চলের পতিত জমির ব্যবহার ও ফসল চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।

কর্মশালায় সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার উপপরিচালকের পক্ষ থেকে নিজ নিজ জেলার বিগত বছরের কৃষি সম্প্রসারণে যাবতীয় কর্মকান্ডের তথ্য, কৃষকের মাঠে প্রযুক্তি স্থাপন, ফলন, সমস্যা ও সুপারিশমালা প্রভৃতি বিষয়ের তথ্য প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপিত হয়।

এ ছাড়া মাঠে বিদ্যমান সমস্যাদি কৃষির অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্য সমাধানের নিমিত্তে বিজ্ঞানীবৃন্দ কর্তৃক গৃহীত নতুন গবেষণা কর্মসূচী প্রস্তাব আকারে আলোচনা হয়। কৃষি গবেষণা, মৃত্তিকা গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি উন্নয়নসহ সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডের ফলাফলের বিবরণীসহ উপস্থাপিত কৃষির টেকসই উন্নয়নের সাথে জড়িত প্রত্যেক সেশনের শেষে সকল অংশগ্রহনকারীগণ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।