ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যন্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটেখাওয়া মানুষ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২
  • / ৬১২ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ  মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। গেল কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৫ এর উপরে বিরাজ করছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) মৌসুম অনুযায়ী অতিবৃষ্টি, অতি শীত ও অতি গরমের উপজেলা শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস ৩৬.০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। তীব্র রোদ আর গরমের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্টের মধ্যে দিন পার করছেন। গরমের কারণে শহরে রিকসা ঠেলা ও ভ্যান তেমন একটা দেখা যায়নি। অল্প কিছু রিকসা চলাচল করতে দেখা যায়। দুপুরে শহরের চৌমুহনীতে একটি হোটেলের সামনে দেখা হয় রিকসা চালক নাজিম উদ্দিনের সাথে।

নাজিম উদ্দিন জানান, সকাল থেকে রিকসা নিয়ে বের হয়েছেন এখনো মালিকের জমার টাকা রোজগার করতে পারেননি। প্রচন্ড রোদ আর গরমের কারণে বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকা যাচ্ছেনা। তাই থেমে থেমে রিকসা চালাচ্ছেন। একটু পর পর রিকসা রেখে হোটেল থেকে পানি পান করতে হচ্ছে।

এবারের ঈদে পর্যটক তেমন একটা আসেনি তাই রোজগারও কম। স্থানীয়রাও রোদ আর তীব্র গরমের করণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেননা। স্কুল-কলেজ ঈদের বন্ধ থাকায় রিকসাওয়ালাদের আয় রোজগার কমে আসায় তারা পড়েছেন বিপাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমের কারণে ঘামে ভিজে ঢান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ছাতা ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজারে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যন্ত, বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটেখাওয়া মানুষ

আপডেট সময় ০১:২২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ  মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। গেল কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৫ এর উপরে বিরাজ করছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) মৌসুম অনুযায়ী অতিবৃষ্টি, অতি শীত ও অতি গরমের উপজেলা শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস ৩৬.০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। তীব্র রোদ আর গরমের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্টের মধ্যে দিন পার করছেন। গরমের কারণে শহরে রিকসা ঠেলা ও ভ্যান তেমন একটা দেখা যায়নি। অল্প কিছু রিকসা চলাচল করতে দেখা যায়। দুপুরে শহরের চৌমুহনীতে একটি হোটেলের সামনে দেখা হয় রিকসা চালক নাজিম উদ্দিনের সাথে।

নাজিম উদ্দিন জানান, সকাল থেকে রিকসা নিয়ে বের হয়েছেন এখনো মালিকের জমার টাকা রোজগার করতে পারেননি। প্রচন্ড রোদ আর গরমের কারণে বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকা যাচ্ছেনা। তাই থেমে থেমে রিকসা চালাচ্ছেন। একটু পর পর রিকসা রেখে হোটেল থেকে পানি পান করতে হচ্ছে।

এবারের ঈদে পর্যটক তেমন একটা আসেনি তাই রোজগারও কম। স্থানীয়রাও রোদ আর তীব্র গরমের করণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেননা। স্কুল-কলেজ ঈদের বন্ধ থাকায় রিকসাওয়ালাদের আয় রোজগার কমে আসায় তারা পড়েছেন বিপাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরমের কারণে ঘামে ভিজে ঢান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ছাতা ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।