ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল আওয়ামী লীগ দল হিসেবে মৃত্যু বরণ করেছে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে পৌর ছাত্রদলের মশাল মিছিল রোজাদার পথচারিদের মাঝে তারেক রহমানের উপহার বিতরন করলেন সাবেক এমপি এম নাসের রহমান মানুষ হত্যা, জাতির সম্পদ লুটপাট করেও আ.লীগের মধ্যে কোন অনুভূতি নেই মৌলভীবাজার এহসানুল মাহবুব জুবায়ের মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে শ্রীমঙ্গলে ইফতার মাহফিলে মহসিন মিয়া মধু রাজনগরে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৫ পালিত বড়লেখায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটির পাশে দাঁড়ালেন নাসের রহমান ভুয়া মেজর আ ট ক কোটচাঁদপুরে অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক মহড়া ও আলোচনা সভা

মৌলভীবাজারে ফুটপাতের দোকানে জমে উঠছে শীতবস্ত্র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৪০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতবস্ত্রের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে  বাজারগুলোতে। কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের পাশাপাশি অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষও ঝুঁকছেন কম দামের পোশাকের দোকান গুলোতে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছরের শীতের শুরুতে শীত কম থাকায় ব্যবসা তেমন হচ্ছে না। তবে শীত যত বাড়বে ফুটপাতের বাজারে তত বেশি কেনাকাটা হওয়ার প্রত্যাশায় আছেন তারা।

সম্প্রতি জেলা শহরের সেন্টালরোড়, পশ্চিমবাজারসহ কুসুমবাগের বিভিন্ন ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতে হকাররা শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। হাঁকডাক করে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছেন তারা। দামে কম ও মানে ভালো থাকায় বিভিন্ন শ্রেণির মানুষজন এখান থেকে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করছেন।

 

জানা যায়, প্রতিবছর শীতের আগমনকে ঘিরে মৌসুমী হকারদের আনাগোনা বেড়ে যায়। শীতের মাসে বাড়তি আয়-রোজগারের আশায় এসব মৌসুমে হকাররা ফুটপাতের পাশাপাশি ফেরি করেও জেলার অলিগলি চষে বেড়ান।

 

ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া বলেন, এবারের সিজনে ৪ লাখ টাকার শীতের কাপড় তুলেছি। গত শীতে প্রতিদিন বিক্রি করতাম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন সারাদিনে বিক্রি হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এখন বাচ্চাদের ও মহিলাদের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে বিক্রি আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।

অপেক্ষাকৃত কম দামে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে শহরের ফুটপাতে। মার্কেটের তুলনায় দাম কম হওয়ায় নিন্ম আর মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এখানে আসেন জানিয়ে আরেক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, দূর-দুরান্ত থেকে শহরে মানুষ ঘুরতে এসে এসব পোশাক কিনে নেন, তারা শিশুদের জন্য কিছু কাপড় কিনেছেন। কেউ কেউ আবার দরদাম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকছেন।

পাশে দাঁড়ানো আরেক ক্রেতা শায়মা আক্তার বলেন, প্রতি বছরই এই ফুটপাত থেকেই বাজার করি। এখানে ছেলেদের সোয়েটার ২৫০ টাকা ও ছোটদের মোজা, টুপি, সোয়েটার, মোটা জামা ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত এবং নারীদের পোশাক ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে ফুটপাতের দোকানে জমে উঠছে শীতবস্ত্র

আপডেট সময় ০৯:৪০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতবস্ত্রের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে  বাজারগুলোতে। কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের পাশাপাশি অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষও ঝুঁকছেন কম দামের পোশাকের দোকান গুলোতে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছরের শীতের শুরুতে শীত কম থাকায় ব্যবসা তেমন হচ্ছে না। তবে শীত যত বাড়বে ফুটপাতের বাজারে তত বেশি কেনাকাটা হওয়ার প্রত্যাশায় আছেন তারা।

সম্প্রতি জেলা শহরের সেন্টালরোড়, পশ্চিমবাজারসহ কুসুমবাগের বিভিন্ন ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতে হকাররা শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। হাঁকডাক করে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছেন তারা। দামে কম ও মানে ভালো থাকায় বিভিন্ন শ্রেণির মানুষজন এখান থেকে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করছেন।

 

জানা যায়, প্রতিবছর শীতের আগমনকে ঘিরে মৌসুমী হকারদের আনাগোনা বেড়ে যায়। শীতের মাসে বাড়তি আয়-রোজগারের আশায় এসব মৌসুমে হকাররা ফুটপাতের পাশাপাশি ফেরি করেও জেলার অলিগলি চষে বেড়ান।

 

ব্যবসায়ী ফজলু মিয়া বলেন, এবারের সিজনে ৪ লাখ টাকার শীতের কাপড় তুলেছি। গত শীতে প্রতিদিন বিক্রি করতাম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন সারাদিনে বিক্রি হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এখন বাচ্চাদের ও মহিলাদের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে বিক্রি আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।

অপেক্ষাকৃত কম দামে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে শহরের ফুটপাতে। মার্কেটের তুলনায় দাম কম হওয়ায় নিন্ম আর মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এখানে আসেন জানিয়ে আরেক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, দূর-দুরান্ত থেকে শহরে মানুষ ঘুরতে এসে এসব পোশাক কিনে নেন, তারা শিশুদের জন্য কিছু কাপড় কিনেছেন। কেউ কেউ আবার দরদাম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকছেন।

পাশে দাঁড়ানো আরেক ক্রেতা শায়মা আক্তার বলেন, প্রতি বছরই এই ফুটপাত থেকেই বাজার করি। এখানে ছেলেদের সোয়েটার ২৫০ টাকা ও ছোটদের মোজা, টুপি, সোয়েটার, মোটা জামা ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত এবং নারীদের পোশাক ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।