ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট; দুর্ঘটনার আশঙ্কা লাখাইয়ে দিনব্যাপী কৃষক কৃষাণী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত কোটচাঁদপুরে দুইটি ডিপ টিউবওয়েলের সেকশন পাইপ কেটে দিয়েছেন দূর্বৃত্তরা মৌলভীবাজারে চোরাই গাড়ি উদ্ধার, গ্রেফতার -১ পৌরসভার উদ্যোগে জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত পানি বিতরণ মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে র‌্যালী আলোচনা সভা মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে ৭জন প্রার্থী বৈধ,বাতিল-১ কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সভাপতি শকু সাধারণ সম্পাদক শামীম কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ফের মৌলভীবাজার কারাগারে আ.লীগ নেতা চেয়ারম্যান পদে বৈধতা পেলেন তাজুল ইসলাম তাজ

মৌলভীবাজারে বাড়ছে ‘চোখ ওঠা’ রোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৯:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে ঘরে ঘরে এখন কেবল পরিসংখ্যান বাড়ছে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তদের। গেল প্রায় সপ্তাহখানেক থেকে রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন এ জেলার বাসিন্দারা। মৌলভীবাজারের চক্ষু রোগের চিকিৎসার ঐতিহ্যবাহী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলায় বেসরকারি চক্ষু হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিতে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিনই কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এ রোগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা। জেলা ও উপজেলা শহর ছাড়াও গ্রাম এলাকায় বাড়ছে এই রোগীর পরিসংখ্যান। তবে চিকিৎসকরা বলছেন এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। সপ্তাহ দিনে তা সেরে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রোগটিকে কনজাংটি ভাইটিস বা চোখের আবরণ কনজাংটিভার প্রদাহ।

এই রোগটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। তাই দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়ায়। চিকিৎসকরা জানান, গরমে আর বর্ষায় ও ঋতু পরিবর্তনের সময় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বাড়ে। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়। পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে ও চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়ে। চোখ উঠলে করোনার অন্য উপসর্গ রয়েছে কিনা, তা খেয়াল করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। কনজাংটিভাইটিস রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহার্য বস্তু রুমাল, তোয়ালে, বালিশ অন্যরা ব্যবহার করলে এতে আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া কনজাংটিভাইটিসের জন্য দায়ী ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাবান পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই হাত পরিষ্কার করতে হবে। কোনো কারণে চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। নইলে ব্যবহার করা টিস্যু পেপার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। চোখ উঠলে চশমার ব্যবহার করা। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলাবালু,  ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। নিজের ব্যবহার করা প্রসাধন সামগ্রী ও ব্যক্তিগত কাপড়-চোপড় অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেয়া। একইভাবে অন্যের ব্যবহৃত প্রসাধন সামগ্রী ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রোগীর ব্যবহার করা যাবে না। চোখ ঘষে চুলকানো যাবে না। অন্য কারও আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিত হবে না। এতে আবার কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী মো. জালাল উদ্দিন মুর্শেদ মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, চোখ ওঠা একটি মৌসুমী ভাইরাসজনিত রোগ। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি করোনায় যে রকম স্বাস্থ্যবিধি ঠিক অনেকটাই ওই রকমই মানতে হয়। তবে ড্রপার ব্যবহারের আগে এর মান ও মেয়াদ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে যেয়ে ডাক্তারের পরামর্শনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। ফার্মেসি থেকে ড্রপ নিজের মতো করে না কিনে ডাক্তারের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র ফলো করতে হবে।

তিনি আরোও জানান, জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ড্রপার সরবরাহ রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজারে বাড়ছে ‘চোখ ওঠা’ রোগ

আপডেট সময় ০৪:১৯:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে ঘরে ঘরে এখন কেবল পরিসংখ্যান বাড়ছে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তদের। গেল প্রায় সপ্তাহখানেক থেকে রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন এ জেলার বাসিন্দারা। মৌলভীবাজারের চক্ষু রোগের চিকিৎসার ঐতিহ্যবাহী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলায় বেসরকারি চক্ষু হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিতে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিনই কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এ রোগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা। জেলা ও উপজেলা শহর ছাড়াও গ্রাম এলাকায় বাড়ছে এই রোগীর পরিসংখ্যান। তবে চিকিৎসকরা বলছেন এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। সপ্তাহ দিনে তা সেরে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই রোগটিকে কনজাংটি ভাইটিস বা চোখের আবরণ কনজাংটিভার প্রদাহ।

এই রোগটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। তাই দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়ায়। চিকিৎসকরা জানান, গরমে আর বর্ষায় ও ঋতু পরিবর্তনের সময় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বাড়ে। কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, খচখচ করা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়। পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে ও চুলকাতে থাকে। আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়ে। চোখ উঠলে করোনার অন্য উপসর্গ রয়েছে কিনা, তা খেয়াল করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। কনজাংটিভাইটিস রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহার্য বস্তু রুমাল, তোয়ালে, বালিশ অন্যরা ব্যবহার করলে এতে আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া কনজাংটিভাইটিসের জন্য দায়ী ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাবান পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই হাত পরিষ্কার করতে হবে। কোনো কারণে চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে। ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। নইলে ব্যবহার করা টিস্যু পেপার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। চোখ উঠলে চশমার ব্যবহার করা। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলাবালু,  ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। নিজের ব্যবহার করা প্রসাধন সামগ্রী ও ব্যক্তিগত কাপড়-চোপড় অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেয়া। একইভাবে অন্যের ব্যবহৃত প্রসাধন সামগ্রী ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রোগীর ব্যবহার করা যাবে না। চোখ ঘষে চুলকানো যাবে না। অন্য কারও আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিত হবে না। এতে আবার কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী মো. জালাল উদ্দিন মুর্শেদ মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, চোখ ওঠা একটি মৌসুমী ভাইরাসজনিত রোগ। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি করোনায় যে রকম স্বাস্থ্যবিধি ঠিক অনেকটাই ওই রকমই মানতে হয়। তবে ড্রপার ব্যবহারের আগে এর মান ও মেয়াদ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে যেয়ে ডাক্তারের পরামর্শনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। ফার্মেসি থেকে ড্রপ নিজের মতো করে না কিনে ডাক্তারের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র ফলো করতে হবে।

তিনি আরোও জানান, জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ড্রপার সরবরাহ রয়েছে।