ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

মৌলভীবাজারে বিএনপির এক কর্মীবান্ধব নেতা ফখরুল ইসলাম

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিটি ইউনিটে হাজার হাজার নেতাকর্মী থাকেন। কিন্তু একজন কর্মীবান্ধব, সৎ, সাহসী ও উন্নত নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন নেতার দেখা খুব কম মিলে। পদ-পদবিধারি হওয়া ও নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন নেতা হওয়া ভিন্ন জিনিস। দল অনেক সময় এমন মানুষদের মূল্যায়ন করতে ভুল করে।
আমি বিএনপির তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন কর্মী হিসাবে এ লেখায় আমার প্রিয়ব্যক্তি ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নেতা জনাব মো. ফখরুল ইসলাম সম্পর্কে আলোকপাত করতে চাই। মো. ফখরুল ইসলাম মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির একজন সদস্য। এর আগে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি ও জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম সম্পাদক (দপ্তরের দায়িত্বে) ছিলেন। যাকে বিগত স্বৈরাচারি আওয়ামী সরকারের আমল থেকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে তাকে নিয়ে আমার উপলব্ধি ও বোঝাবুঝি অনেক। একই সময়ে তার চাইতে উচ্চ পদ-পদবির অনেককেই দেখেছি। কিন্তু দলের নীতি ও আদর্শের উপর দায়বদ্ধ কর্মীবান্ধব নেতা খুবই কমই পেয়েছি। বিএনপির দুঃসময়ে সামর্থ্যরে সবটুকু বিলিয়ে তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে জেলা সদরের প্রতিটি ইউনিটে কাজ করেছেন। না- তাঁর কোন বিলাসবহুল বাড়িগাড়ি নেই। চলাফেরায় আত্মঅহমিকা কিংবা অর্থ কামানোর ধান্দা নেই। সাধারণ শালীন পোষাকে, আত্মমর্যাদায় তিনি অনন্য ব্যক্তি। আচার আচরণে বিনয়ী কিন্তু দৃঢ়প্রত্যয়ী। কারো প্রতি অতিরিক্ত ভক্তি যেমন দেখান না তেমনি কাউকে কনুইমারার রাজনীতিতেও নেই। তিনি অকপট ও সত্যভাষী। যা বলার পরিস্কার করেই বলেন।

বিএনপির রাজনীতিতে মফস্বল পর্যায়ে এরকম নেতা হাতেগোনা হয়তো দুয়েকজন আছেন। যখন কর্মীদের সাথে কথা বলেন তখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী আদর্শের কথা তুলে ধরেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ও চর্চার প্রতি বিএনপির অবদান তুলে ধরেন। দলের চেয়ারপারসন, মজলুম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও তিতিক্ষার কথা বলেন। নেত্রীর দেশপ্রেম, সংযম ও গণতন্ত্রের প্রতি ইস্পাত কঠিন মানসিকতার উদাহরণ দেন। এই ফখরুল ইসলামের মতো মানুষেরা বিএনপির রাজনীতিতে বিরল। কর্মীদের আস্তা ও বিশ্বাসের প্রতীক। যারা তৃণমূলের কর্মীদের সময় দেন। তাদের সুখদুঃখের কথা শুনেন। কর্মীদের নেতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। নেতৃত্ব পর্যায়ে তুলে আনার চেষ্টা করেন।

দীর্ঘদিন বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থাকার সুবাধে অনেকের সাথে চলাফেরার সুযোগ হয়েছে। অনেকেই আপোষের রাজনীতি করেছেন। কঠিন সময়ে দল ত্যাগ, দেশত্যাগ ও বলয় ত্যাগের নজির আছে। অনেকেই তৎকালীন সরকার দলের সাথে আঁতাত করে নির্বিঘেœ ব্যবসা বাণিজ্য করেছেন। মামলা মোকদ্দমা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে উভয়কুল বজায় রেখে চলেছেন। কিন্তু ফখরুল ভাই ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যতিক্ষম। পরপর দুইবার রাজনৈতিক মামলায় জেল কেটেছেন। কিন্তু কারো সাথে আপোষ করেন নি। তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনদের অনেকের সাথেই তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সুসম্পর্ক ছিল। চাইলেই আঁতাত করে নিজেকে রক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু না, তিনি সেই পথ অবলম্বন করেননি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচিতেই তিনি সক্রিয় ছিলেন। মিটিং মিছিলে ছিলেন সামনের সারিতে। পুলিশ মিছিলে বাধা দিয়েছে, মিছিল আটকে দিয়েছে এমন সকল কর্মসূচিতেই তার অবস্থান ছিল সামনের সারিতে।

তিনি মৌলভীবাজার জেলার কৃতি সন্তান, বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমানের উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস রেখে বিএনপির রাজনীতিতে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন এখনও একই অবস্থানে আছেন। মিনিস্টার সাহেবের ইন্তেকালের পর তার জৈষ্ট্যপুত্র, সাবেক এমপি এম নাসের রহমানের বলয়ে থেকে দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় আছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে সীমাহীন কষ্টভোগ করেছেন ত্যাগী এই নেতা। দিনে পুলিশের তাড়ার মধ্যে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন রাতে বাসা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র রাত্রিযাপন ছিল নিয়মিত ঘটনা। অথচ, তিনি হার্টের রোগী। এনজিও গ্রাম লাগোনো। একটি স্বাবলম্বী পরিবারের সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম। ভাই বোন, দুই ছেলে মেয়ে লন্ডনে থাকেন। চাইলেই সবকিছু ছেড়ে বিদেশে স্যাটেল হতে পারতেন। কিন্তু রাজনীতি তার কমিটমেন্ট। দলের প্রতি, দেশের প্রতি দায়বোধ থেকে তিনি রাজনীতি করেন। রাজনীতি তার ব্যবসা বাণিজ্যের হাতিয়ার নয় কিংবা তার অবৈধ সুবিধাগহণের কোন অভিযোগ নেই। বিএনপির বিগত সদর উপজেলা সম্মেলন ও কাউন্সিলে (২০২৫ইং) তিনি সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। অল্পভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে পারেন নি। তথাপি, বিজয়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মফস্বল শহরে এমন উদারনৈতিক রাজনীতিকের দেখা পাওয়া খুব কঠিন। আমি একজন বিএনপির কর্মী হিসাবে মো. ফখরুল ইসলাম ভাইয়ের সফলতা ও উন্নতি কামনা করি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে বিএনপির এক কর্মীবান্ধব নেতা ফখরুল ইসলাম

আপডেট সময় ১০:১৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিটি ইউনিটে হাজার হাজার নেতাকর্মী থাকেন। কিন্তু একজন কর্মীবান্ধব, সৎ, সাহসী ও উন্নত নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন নেতার দেখা খুব কম মিলে। পদ-পদবিধারি হওয়া ও নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন নেতা হওয়া ভিন্ন জিনিস। দল অনেক সময় এমন মানুষদের মূল্যায়ন করতে ভুল করে।
আমি বিএনপির তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন কর্মী হিসাবে এ লেখায় আমার প্রিয়ব্যক্তি ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নেতা জনাব মো. ফখরুল ইসলাম সম্পর্কে আলোকপাত করতে চাই। মো. ফখরুল ইসলাম মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির একজন সদস্য। এর আগে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি ও জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম সম্পাদক (দপ্তরের দায়িত্বে) ছিলেন। যাকে বিগত স্বৈরাচারি আওয়ামী সরকারের আমল থেকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে তাকে নিয়ে আমার উপলব্ধি ও বোঝাবুঝি অনেক। একই সময়ে তার চাইতে উচ্চ পদ-পদবির অনেককেই দেখেছি। কিন্তু দলের নীতি ও আদর্শের উপর দায়বদ্ধ কর্মীবান্ধব নেতা খুবই কমই পেয়েছি। বিএনপির দুঃসময়ে সামর্থ্যরে সবটুকু বিলিয়ে তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে জেলা সদরের প্রতিটি ইউনিটে কাজ করেছেন। না- তাঁর কোন বিলাসবহুল বাড়িগাড়ি নেই। চলাফেরায় আত্মঅহমিকা কিংবা অর্থ কামানোর ধান্দা নেই। সাধারণ শালীন পোষাকে, আত্মমর্যাদায় তিনি অনন্য ব্যক্তি। আচার আচরণে বিনয়ী কিন্তু দৃঢ়প্রত্যয়ী। কারো প্রতি অতিরিক্ত ভক্তি যেমন দেখান না তেমনি কাউকে কনুইমারার রাজনীতিতেও নেই। তিনি অকপট ও সত্যভাষী। যা বলার পরিস্কার করেই বলেন।

বিএনপির রাজনীতিতে মফস্বল পর্যায়ে এরকম নেতা হাতেগোনা হয়তো দুয়েকজন আছেন। যখন কর্মীদের সাথে কথা বলেন তখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী আদর্শের কথা তুলে ধরেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ও চর্চার প্রতি বিএনপির অবদান তুলে ধরেন। দলের চেয়ারপারসন, মজলুম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও তিতিক্ষার কথা বলেন। নেত্রীর দেশপ্রেম, সংযম ও গণতন্ত্রের প্রতি ইস্পাত কঠিন মানসিকতার উদাহরণ দেন। এই ফখরুল ইসলামের মতো মানুষেরা বিএনপির রাজনীতিতে বিরল। কর্মীদের আস্তা ও বিশ্বাসের প্রতীক। যারা তৃণমূলের কর্মীদের সময় দেন। তাদের সুখদুঃখের কথা শুনেন। কর্মীদের নেতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। নেতৃত্ব পর্যায়ে তুলে আনার চেষ্টা করেন।

দীর্ঘদিন বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থাকার সুবাধে অনেকের সাথে চলাফেরার সুযোগ হয়েছে। অনেকেই আপোষের রাজনীতি করেছেন। কঠিন সময়ে দল ত্যাগ, দেশত্যাগ ও বলয় ত্যাগের নজির আছে। অনেকেই তৎকালীন সরকার দলের সাথে আঁতাত করে নির্বিঘেœ ব্যবসা বাণিজ্য করেছেন। মামলা মোকদ্দমা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে উভয়কুল বজায় রেখে চলেছেন। কিন্তু ফখরুল ভাই ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যতিক্ষম। পরপর দুইবার রাজনৈতিক মামলায় জেল কেটেছেন। কিন্তু কারো সাথে আপোষ করেন নি। তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনদের অনেকের সাথেই তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সুসম্পর্ক ছিল। চাইলেই আঁতাত করে নিজেকে রক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু না, তিনি সেই পথ অবলম্বন করেননি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচিতেই তিনি সক্রিয় ছিলেন। মিটিং মিছিলে ছিলেন সামনের সারিতে। পুলিশ মিছিলে বাধা দিয়েছে, মিছিল আটকে দিয়েছে এমন সকল কর্মসূচিতেই তার অবস্থান ছিল সামনের সারিতে।

তিনি মৌলভীবাজার জেলার কৃতি সন্তান, বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমানের উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস রেখে বিএনপির রাজনীতিতে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন এখনও একই অবস্থানে আছেন। মিনিস্টার সাহেবের ইন্তেকালের পর তার জৈষ্ট্যপুত্র, সাবেক এমপি এম নাসের রহমানের বলয়ে থেকে দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় আছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে সীমাহীন কষ্টভোগ করেছেন ত্যাগী এই নেতা। দিনে পুলিশের তাড়ার মধ্যে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন রাতে বাসা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র রাত্রিযাপন ছিল নিয়মিত ঘটনা। অথচ, তিনি হার্টের রোগী। এনজিও গ্রাম লাগোনো। একটি স্বাবলম্বী পরিবারের সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম। ভাই বোন, দুই ছেলে মেয়ে লন্ডনে থাকেন। চাইলেই সবকিছু ছেড়ে বিদেশে স্যাটেল হতে পারতেন। কিন্তু রাজনীতি তার কমিটমেন্ট। দলের প্রতি, দেশের প্রতি দায়বোধ থেকে তিনি রাজনীতি করেন। রাজনীতি তার ব্যবসা বাণিজ্যের হাতিয়ার নয় কিংবা তার অবৈধ সুবিধাগহণের কোন অভিযোগ নেই। বিএনপির বিগত সদর উপজেলা সম্মেলন ও কাউন্সিলে (২০২৫ইং) তিনি সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। অল্পভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে পারেন নি। তথাপি, বিজয়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মফস্বল শহরে এমন উদারনৈতিক রাজনীতিকের দেখা পাওয়া খুব কঠিন। আমি একজন বিএনপির কর্মী হিসাবে মো. ফখরুল ইসলাম ভাইয়ের সফলতা ও উন্নতি কামনা করি।