মৌলভীবাজারে বিএনপির পুনর্গঠনের গতি বাড়ছে: দুই উপজেলা ও এক পৌর ইউনিটের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা

- আপডেট সময় ১০:০০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
- / ৩১৯ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা ও সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটিয়ে মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আবারও সংগঠন পুনর্গঠনে উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় জেলার দুইটি উপজেলা ও একটি পৌর ইউনিটের সম্মেলন ও কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১২ আগস্ট জুড়ী উপজেলা, ১৬ আগস্ট বড়লেখা উপজেলা এবং ২৩ আগস্ট বড়লেখা পৌর বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ইউনিটেই বহুদিন ধরে পুরনো কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন নেতৃত্ব আসেনি। সাংগঠনিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছিল। আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে মাঠ সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই এই সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সিলেট বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা এসব সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করে মাঠ পর্যায়ে তৃণমূল কর্মীদের সক্রিয় করা এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য।
এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজার বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্জাগরণের একটি ধারা শুরু হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর দিক নির্দেশনায় কেন্দ্রের নেতৃত্বে নতুন করে তৃণমূলকে জাগাতে চায় বিএনপি। এ সম্মেলনগুলো সেই প্রস্তুতিরই অংশ। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে সাংগঠনিক শক্তি পুনর্গঠনের পদক্ষেপ।
ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে যেসব সুযোগ সন্ধানী, বিতর্কিত নেতা-কর্মীরা দলে ঢুকে পড়ছেন। যাদের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসরদের সাথে রাজনৈতিক গভীর সম্পর্ক যাদের রয়েছে তাদের স্থান বিএনপিতে নেই। ইতিমধ্যে যারা বিএনপির কমিটিতে অনুপ্রবেশ করেছেন তাদের যাচাই-বাছাই করে বাদ দেয়া হবে এবং যারা তাদেরকে দলে প্রশ্রয় ও কমিটিতে ঢুকার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন চলছে। সেখানেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, অন্যদলের কেউ বিএনপিতে ঢুকার কোন সুযোগ নেই। অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেন কোণঠাসা হয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে জেলা বিএনপি।
