মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনটি প্রধান দাবী তুলে ধরছি, যা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যকর ও সমতাপূর্ণ করে আমাদের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করবে । প্রথমত,মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও মাদ্রাসা) জাতীয়করণ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসংখ্য শিক্ষার্থী আজও মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে জাতীয়করণ করলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে, এবং সকল শিক্ষার্থী এক সমতলে দাঁড়াবে । সরকারি নিয়ন্ত্রণের আওতায় এলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশৃঙ্খল ও সঠিক প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ হবে যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
দ্বিতীয়ত, সরকারি হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে পদায়ন করা হলে তা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর হবে। শিক্ষকের মূল দায়িত্ব ক্লাসরুমে শিক্ষাদান, প্রশাসনিক কাজে নয়; শিক্ষক কম থাকলে শিক্ষার মান কমে যায় এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ক্ষতিকর হয় । তাই আমরা চাই, বর্তমানে শিক্ষা অফিসে কর্মরত অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের যারা ৩১ বছর ধরে একই পদে আছেন, দ্রুত উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে পদায়ন করা হোক। তৃতীয়ত, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন একান্ত জরুরি, কারণ বর্তমান সময়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নানা চ্যালেঞ্জ ও অনিয়ম বিদ্যমান, বিশেষ করে বেসরকারি ও সরকারি স্কুলের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে এই কমিশন দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার এনে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীদের সমতা ও সঠিক দিক নির্দেশনা নিশ্চিত করাই হবে কমিশনের মূল লক্ষ্য ।
মানববন্ধন শেষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।