ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে বেসরকারি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা পরিবারের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৯৩ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ডেস্কঃ বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করেছে বেসরকারি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা পরিবার।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সম্মুখে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
মৌলভীবাজার হাফিজা খাতুন  বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের সভাপতিত্বে  মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক অভিনাশ চন্দ্র দে,শফিকুর রহমান, মিশ্রানী ভট্টাচার্য্য,পলি মল্লিক প্রমুখ।
মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও মাদ্রাসা) জাতীয়করণ, সরকারি হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসে পদায়ন বন্ধ রাখা এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি ।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনটি প্রধান দাবী তুলে ধরছি, যা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যকর ও সমতাপূর্ণ করে আমাদের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করবে । প্রথমত,মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও মাদ্রাসা) জাতীয়করণ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসংখ্য শিক্ষার্থী আজও মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে জাতীয়করণ করলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে, এবং সকল শিক্ষার্থী এক সমতলে দাঁড়াবে । সরকারি নিয়ন্ত্রণের আওতায় এলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশৃঙ্খল ও সঠিক প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ হবে যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
দ্বিতীয়ত, সরকারি হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে পদায়ন করা হলে তা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর হবে। শিক্ষকের মূল দায়িত্ব ক্লাসরুমে শিক্ষাদান, প্রশাসনিক কাজে নয়; শিক্ষক কম থাকলে শিক্ষার মান কমে যায় এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ক্ষতিকর হয় । তাই আমরা চাই, বর্তমানে শিক্ষা অফিসে কর্মরত অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের যারা ৩১ বছর ধরে একই পদে আছেন, দ্রুত উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে পদায়ন করা হোক। তৃতীয়ত, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন একান্ত জরুরি, কারণ বর্তমান সময়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নানা চ্যালেঞ্জ ও অনিয়ম বিদ্যমান, বিশেষ করে বেসরকারি ও সরকারি স্কুলের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে এই কমিশন দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার এনে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীদের সমতা ও সঠিক দিক নির্দেশনা নিশ্চিত করাই হবে কমিশনের মূল লক্ষ্য ।
মানববন্ধন শেষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে বেসরকারি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা পরিবারের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় ০৭:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মৌলভীবাজার২৪ডেস্কঃ বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করেছে বেসরকারি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা পরিবার।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সম্মুখে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
মৌলভীবাজার হাফিজা খাতুন  বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের সভাপতিত্বে  মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক অভিনাশ চন্দ্র দে,শফিকুর রহমান, মিশ্রানী ভট্টাচার্য্য,পলি মল্লিক প্রমুখ।
মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও মাদ্রাসা) জাতীয়করণ, সরকারি হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসে পদায়ন বন্ধ রাখা এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি ।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনটি প্রধান দাবী তুলে ধরছি, যা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যকর ও সমতাপূর্ণ করে আমাদের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করবে । প্রথমত,মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও মাদ্রাসা) জাতীয়করণ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসংখ্য শিক্ষার্থী আজও মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে জাতীয়করণ করলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে, এবং সকল শিক্ষার্থী এক সমতলে দাঁড়াবে । সরকারি নিয়ন্ত্রণের আওতায় এলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশৃঙ্খল ও সঠিক প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ হবে যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
দ্বিতীয়ত, সরকারি হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে পদায়ন করা হলে তা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর হবে। শিক্ষকের মূল দায়িত্ব ক্লাসরুমে শিক্ষাদান, প্রশাসনিক কাজে নয়; শিক্ষক কম থাকলে শিক্ষার মান কমে যায় এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ক্ষতিকর হয় । তাই আমরা চাই, বর্তমানে শিক্ষা অফিসে কর্মরত অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের যারা ৩১ বছর ধরে একই পদে আছেন, দ্রুত উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে পদায়ন করা হোক। তৃতীয়ত, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন একান্ত জরুরি, কারণ বর্তমান সময়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নানা চ্যালেঞ্জ ও অনিয়ম বিদ্যমান, বিশেষ করে বেসরকারি ও সরকারি স্কুলের মধ্যে বৈষম্য প্রকট। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে এই কমিশন দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার এনে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীদের সমতা ও সঠিক দিক নির্দেশনা নিশ্চিত করাই হবে কমিশনের মূল লক্ষ্য ।
মানববন্ধন শেষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।