ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আসামিকে জামিনের প্রলোভনে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রে/ফ/তা/র ইউএনডিপির স্টোরি টেলিং অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মৌলভীবাজারের সিপন দেব গ্রীন মৌলভীবাজার গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের ১ লক্ষ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি ATN বাংলা ইউকে প্রতিদিন হলেন মৌলভীবাজার শাওন মৌলভীবাজার সড়ক দু/র্ঘ/ট/না/য় পৌরসভার কর্মচারী নি/হ/ত ৪৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন করেছে জুড়ীর ছেলে কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের নতুন নেতৃত্বে পারভেজ ও সুমন ৩৬ দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচী মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের স্থির চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা আঞ্জুম হ/ত্যা/কা/ন্ড ঘা/ত/ক জুনেলের ২ দিনের জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

মৌলভীবাজারে মাদ্রাসা কমিটি গঠনে জালিয়াতি, শিক্ষক গ্রে/প্তা/র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনয়ন সংক্রান্ত একটি সরকারি পত্র জালিয়াতির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক মাওলানা মো. মাছুম আহমদ রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত। বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার। বাদে ভূকশিমইল গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জারি হওয়া একটি সরকারি পত্রের তারিখ এডিট করে ১০ নভেম্বর ২০২৪ দেখিয়ে সেটি মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠানো হয়। ওই পত্রে পূর্বে মনোনীত দুই সদস্যের নাম অপরিবর্তিত রেখে নির্বাহী কমিটি গঠনের চেষ্টা চালানো হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে পত্র জালিয়াতির প্রমাণ মিললে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাছুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মাওলানা মো: মাছুম আহমদ একই সাথে চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা ও বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে বেতন নিচ্ছেন। চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা’র ইনডেক্স নম্বর এম০০৫২৫২৯। বাদে ভুকশিমইল মাদ্রাসার ইনডেক্স নম্বর ২৩০১৮৪৪। একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের এমন জালিয়াতিতে হতবাক শিক্ষক সমাজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, তদন্তে জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের নির্দেশে শিক্ষক মাছুম আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে মাদ্রাসা কমিটি গঠনে জালিয়াতি, শিক্ষক গ্রে/প্তা/র

আপডেট সময় ০৬:০৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনয়ন সংক্রান্ত একটি সরকারি পত্র জালিয়াতির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক মাওলানা মো. মাছুম আহমদ রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত। বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার। বাদে ভূকশিমইল গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জারি হওয়া একটি সরকারি পত্রের তারিখ এডিট করে ১০ নভেম্বর ২০২৪ দেখিয়ে সেটি মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠানো হয়। ওই পত্রে পূর্বে মনোনীত দুই সদস্যের নাম অপরিবর্তিত রেখে নির্বাহী কমিটি গঠনের চেষ্টা চালানো হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে পত্র জালিয়াতির প্রমাণ মিললে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাছুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মাওলানা মো: মাছুম আহমদ একই সাথে চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা ও বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে বেতন নিচ্ছেন। চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসা’র ইনডেক্স নম্বর এম০০৫২৫২৯। বাদে ভুকশিমইল মাদ্রাসার ইনডেক্স নম্বর ২৩০১৮৪৪। একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের এমন জালিয়াতিতে হতবাক শিক্ষক সমাজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, তদন্তে জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের নির্দেশে শিক্ষক মাছুম আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।