মৌলভীবাজারে মৃদু শৈত্য প্রবাহ,বাড়ছে রোগ বালাই
- আপডেট সময় ০২:৩২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: হারও চা বাগান বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। এখন প্রায় প্রতিদিনই সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। প্রচণ্ড কুয়াশায় দূর পাল্লার গাড়ি চলাচলে ও টাইম সিডিউলের বিঘ্ন ঘটছে। চরম ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক থেকে গাড়ি চলাচল করছে। শীতে কাবু চাবাগানও হাওর তীরের মানুষসহ নিম্ন আয়ের লোক জন।
প্রয়োজন ছাড়ালোক জন ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন কম। গেলক ’দিন থেকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে জেলার চা শ্রমিক ও হাওরের বোরো চাষিরা মাঠে কাজ করছেন। কিছুক্ষণ পরপর কাজ ছেড়ে তারা খুড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। হাওর তীরের বোরো চাষিরা জানিয়েছেন।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা চলমান থাকায় ভরা মৌসুমে তারা শ্রমিক সংকটে ভুগছেন। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে। শীত থেকে গবাদি পশু কেশীত থেকে রক্ষা করতে পাটের বস্তাশরী রেবেঁ ধেদেওয়া হয়েছে।
ওদের থাকার ঘরে ও খড় দিয়ে বিছানা বানিয়ে দিচ্ছেন। ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ জন।
শীতের প্রভাবে কাজ কর্ম অনেকটা কমে যাওয়ায় আয়রোজগার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাওর তীরের বোরো চাষিরা। জেলা জুড়ে দেখা দিচ্ছে ঠাণ্ডা জনিত রোগ বালাই। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। ঠাণ্ডা জনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এমন তথ্য মিলছে।
জেলার প্রতিটি হাটবাজারে গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের।
এদিকে প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে জেলার নয়ানা ভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ ও বিদেশের প্রকৃতি প্রেমী পর্যটকরা ছুটে আসছেন এ জেলায়। ঠাণ্ডার কারণে পর্যটন স্পট গুলো ঘুরে দেখতে সময় ক্ষেপণ ও কিছুটা সমস্যা হলে ও তারা আনন্দিত।
গেলক’ দিনে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক এ জেলায় ভ্রমণ করছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গেল কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৪তে ওঠানামা করছে। জেলার ৯২টি চাবাগানের শ্রমিক, হাওর ওনদী তীরের বোরো চাষিরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা শীত উপেক্ষা করে ও কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
দিনে এবং রাতে শহর ও গ্রামের অনেক স্থানেই নিম্ন আয়ের লোক জন খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালানোর দৃশ্য এখন প্রতি নিয়তই চোখে পড়ছে। স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ বলছে জেলা জুড়ে শীতেরএই তীব্রতা আর ও বাড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারী খলিলুর রহমান জানান, রবিবার (১ জানুয়ারি) সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গল এবং তেঁতুলিয়াতে ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, ২১ ডিসেম্বর সারাদেশের মাঝে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে, ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল এবং তেতুলিয়া যৌথভাবে সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।