মৌলভীবাজারে মৎস্যজীবী দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় ০৭:১০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক কমিটির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে মৌলভীবাজার পৌরসভার কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মো. মুসা মিয়া এবং সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন জীবন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. আলী রাকিব, বড়লেখার সভাপতি আব্দুল বাছিত, কুলাউড়ার সভাপতি এমদাদ হোসেন, কমলগঞ্জের সভাপতি কাবিল হোসেন, রাজনগরের সভাপতি মো. ছালিক মিয়া, জুড়ীর সভাপতি আমির হোসেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সভাপতি ছুরুক আলী, বড়লেখা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশীদ, শ্রীমঙ্গল পৌর মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক কৃপেন্দ্র সরকার কিরণ, যুগ্ম সম্পাদক বেলাল তালুকদার এবং মৌলভীবাজার পৌর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুস শুকুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, “মৌলভীবাজার জেলা মৎস্যজীবী দল সবচেয়ে অবহেলিত সংগঠন হলেও বিগত হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে এই সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আহ্বায়ক মো. মুসা মিয়াসহ সংগঠনের অন্তত ১৫-২০ জন ত্যাগী নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। এমনকি জুলাই অভ্যুত্থান ও ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলনের সময় মৎস্যজীবী দলের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের দিয়েই জেলা, উপজেলা ও পৌর ইউনিটের কমিটিগুলো গঠন করতে হবে। দলে কোন দালাল, ভুঁইফোড় কিংবা সুবিধাবাদী দোসরদের ঠাঁই দেওয়া যাবে না। কারণ এরা আন্দোলনের সময় গা ঢাকা দেয়, অথচ সুযোগের সময়ে সামনে আসে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার কথিত ‘সংস্কার’ নামের এক জালে জনগণকে আটকে রাখতে চাচ্ছে। তারা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে, সময়ক্ষেপণ করে জনগণের অধিকার হরণ করা হচ্ছে।
আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই— এই ধরনের তালবাহানা আর চলবে না। অবিলম্বে সরকারের উচিত হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা।
এই দাবি এখন শুধু কোনো একটি দলের নয়— এটা গোটা দেশের জনগণের দাবি।”
