ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার পাহাড়ী টিলা কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা লন্ডনে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এইচ এস সি ১৪ ব্যাচের মিলনমেলা জুড়ীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা -মৌলভীবাজারে রুহুল কবির রিজভী আগুনে আটকা মাইলস্টোন ‍শিক্ষক হাত জোড় করে বলছি,মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বেনাপোল চেকপোষ্টে গ্রে/ফ/তা/র মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ,শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাজ্জাদুর রহমান

মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে ধান কাটা শ্রমিক সংকট দূর করবে কম্বাইন হারভেস্টার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ১১৪২ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: চলতি আমন মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ধান কাটা। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে একই জমিতে রোপা আমন ধান রোপণের পর কম্বাইন হারভেস্টার (ধান কাটার মেশিন) দিয়ে কর্তণ শুরু হয়েছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, যান্ত্রিক নির্ভর হলে শ্রমিক সংকট থাকবে না। যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুমে দেখা দেয় শ্রমিক সংকট। এতে অনেক জমিতে ধান ঝরে গিয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থের পাশাপাশি হতাশায় থাকেন। এ সব যান্ত্রিক তৈরি হওয়ায় কম খরচে কৃষকরা ফলন ভালো পাচ্ছেন।

সম্প্রতি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজমেরু এলাকায় জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ও পাতাকুঁড়ি এগ্রোর সহযোগীতায় খামার যান্ত্রিকীকরণের আওতায় রোপা আমন ধানের চারা রোপণ ও কর্তণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ লক্ষে মাঠে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। আরও বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কুমার দত্ত, স্থানীয় কৃষি যান্ত্রিকী করণ খামার মালিক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন সহ অন্যন্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপ সহকারী কৃষি অফিসার নিরোজ কান্তি রায়, স্থানীয় কৃষক বাচ্চু মিয়া, রাজু আহমদ।

পরে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ফিতা কেটে আমন ধান কর্তণের উদ্বোধন করেন।

খামার যান্ত্রিক করণের উদ্যেক্তা সৈয়দ উমেদ আলী বলেন, এ বছর ১২৩ বিগা জমিতে হাইব্রিড ও ব্রি ৭৫ জাতের ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ৮৩ বিগা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা রোপণ করেন এবং ওই জমিতে ধান কর্তণ করছেন কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দিয়ে। ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াই এক সাথে হয়ে যায়।

এ কারনে শ্রমিক কম লাগে। এতে খরছ কমে যায়। শ্রমিক সঙ্কট প্রতি বছরই লেগে থাকে তাই আমরা যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছি। কম্বাইন হারভেস্টার,পাওয়ার টিলার, শেলো পাম্পসহ সবকিছুই ডিজেলের উপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সময়ে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষিতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি ধানের মূল্য যদি আরেকটু বৃদ্ধি করা হয় তাহলে কৃষক উপকৃত হবে এবং কৃষকের আগ্রহ বাড়বে।

তিনি আরও জানান, হাইব্রিড ধানের বিজে ফলন ভালো হয়, তবে প্রতি কেজি বিজ ক্রয় করতে হয় ৩০০ টাকা থেকে ৪৩০ টাকা দিয়ে। বিএডিসি থেকে বিজ ক্রয় করলে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা প্রতি কেজি বিজের মূল্য। তিনি সরকারি ভাবে হাইব্রিড বিজ উৎপাদন ও কৃষক পর্যায়ে কম মূল্যে বিতরণ করলে উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

স্থানীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ খামার মালিক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন জানান, যান্ত্রিকীকরণের কারণে খরচ কমে গেছে, জমিতে ফলন ভালো হচ্ছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনে কম বয়সী চারা রোপণ করা যায়। এতে করে ফলনও ভালো হয়। আগে যে জমিতে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ১৬ মন ধান পাওয়া যেত, ওই সব জমিতে ২২ থেকে ২৪ মন ধান পাওয়া যাচ্ছে। আমরা জমিতে মেশিন দিয়ে চারা রোপণ করেছি এবং কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দিয়ে ধান কর্তণ করছি, এটি ব্যবহারে উৎপাদন খরচ অনেকটা কমে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ জানান, এ বছর বিভিন্ন জাতের ব্রি-ধান ও হাইব্রিড ধান কৃষকরা চাষাবাদ করেছেন। আমন ধান চাষে এ বছর অনুকূল পরিবেশ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে প্রতি বছর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষীরা খুশি।

এ বছর জেলায় আমন ধানের চাষাবাদের জমির পরিমাণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৪শ’ত হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৬শ’ত হেক্টর জমিতে। যার সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ আশা করছে এবছর ৩ লক্ষ মেট্রিক টনের উপরে উৎপাদন হবে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক ইঞ্চি জমি যাতে খালি পরে না থাকে সে জন্য, কৃষি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এতে করে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ জাগছে। নবান্নের এই উৎসবে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে রোপা আমন রোপণ এবং কর্তণ অনুষ্ঠানে আমরা এসেছি। এই জমিতে একেবারে অমন রোপণ থেকে শুরু করে কর্তণ পর্যন্ত কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে কর্তণ হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেমন শ্রম কমেছে, খরচ কমেছে, উৎপাদন বেড়েছে। সব কিছু মিলিয়ে কৃষকরা লাভমান হচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা এখান থেকে মৌলভীবাজারের সকল কৃষকদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি।

কৃষি বিভাগ জানায়, আমন ধান চাষে এ বছর অনুকূল পরিবেশ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে প্রতি বছর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে ধান কাটা শ্রমিক সংকট দূর করবে কম্বাইন হারভেস্টার

আপডেট সময় ০৭:০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: চলতি আমন মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ধান কাটা। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে একই জমিতে রোপা আমন ধান রোপণের পর কম্বাইন হারভেস্টার (ধান কাটার মেশিন) দিয়ে কর্তণ শুরু হয়েছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, যান্ত্রিক নির্ভর হলে শ্রমিক সংকট থাকবে না। যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুমে দেখা দেয় শ্রমিক সংকট। এতে অনেক জমিতে ধান ঝরে গিয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থের পাশাপাশি হতাশায় থাকেন। এ সব যান্ত্রিক তৈরি হওয়ায় কম খরচে কৃষকরা ফলন ভালো পাচ্ছেন।

সম্প্রতি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজমেরু এলাকায় জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ও পাতাকুঁড়ি এগ্রোর সহযোগীতায় খামার যান্ত্রিকীকরণের আওতায় রোপা আমন ধানের চারা রোপণ ও কর্তণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ লক্ষে মাঠে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। আরও বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কুমার দত্ত, স্থানীয় কৃষি যান্ত্রিকী করণ খামার মালিক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন সহ অন্যন্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপ সহকারী কৃষি অফিসার নিরোজ কান্তি রায়, স্থানীয় কৃষক বাচ্চু মিয়া, রাজু আহমদ।

পরে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ফিতা কেটে আমন ধান কর্তণের উদ্বোধন করেন।

খামার যান্ত্রিক করণের উদ্যেক্তা সৈয়দ উমেদ আলী বলেন, এ বছর ১২৩ বিগা জমিতে হাইব্রিড ও ব্রি ৭৫ জাতের ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ৮৩ বিগা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা রোপণ করেন এবং ওই জমিতে ধান কর্তণ করছেন কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দিয়ে। ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াই এক সাথে হয়ে যায়।

এ কারনে শ্রমিক কম লাগে। এতে খরছ কমে যায়। শ্রমিক সঙ্কট প্রতি বছরই লেগে থাকে তাই আমরা যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছি। কম্বাইন হারভেস্টার,পাওয়ার টিলার, শেলো পাম্পসহ সবকিছুই ডিজেলের উপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সময়ে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষিতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি ধানের মূল্য যদি আরেকটু বৃদ্ধি করা হয় তাহলে কৃষক উপকৃত হবে এবং কৃষকের আগ্রহ বাড়বে।

তিনি আরও জানান, হাইব্রিড ধানের বিজে ফলন ভালো হয়, তবে প্রতি কেজি বিজ ক্রয় করতে হয় ৩০০ টাকা থেকে ৪৩০ টাকা দিয়ে। বিএডিসি থেকে বিজ ক্রয় করলে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা প্রতি কেজি বিজের মূল্য। তিনি সরকারি ভাবে হাইব্রিড বিজ উৎপাদন ও কৃষক পর্যায়ে কম মূল্যে বিতরণ করলে উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

স্থানীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ খামার মালিক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন জানান, যান্ত্রিকীকরণের কারণে খরচ কমে গেছে, জমিতে ফলন ভালো হচ্ছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনে কম বয়সী চারা রোপণ করা যায়। এতে করে ফলনও ভালো হয়। আগে যে জমিতে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ১৬ মন ধান পাওয়া যেত, ওই সব জমিতে ২২ থেকে ২৪ মন ধান পাওয়া যাচ্ছে। আমরা জমিতে মেশিন দিয়ে চারা রোপণ করেছি এবং কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দিয়ে ধান কর্তণ করছি, এটি ব্যবহারে উৎপাদন খরচ অনেকটা কমে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ জানান, এ বছর বিভিন্ন জাতের ব্রি-ধান ও হাইব্রিড ধান কৃষকরা চাষাবাদ করেছেন। আমন ধান চাষে এ বছর অনুকূল পরিবেশ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে প্রতি বছর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষীরা খুশি।

এ বছর জেলায় আমন ধানের চাষাবাদের জমির পরিমাণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৪শ’ত হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৬শ’ত হেক্টর জমিতে। যার সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ আশা করছে এবছর ৩ লক্ষ মেট্রিক টনের উপরে উৎপাদন হবে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক ইঞ্চি জমি যাতে খালি পরে না থাকে সে জন্য, কৃষি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এতে করে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ জাগছে। নবান্নের এই উৎসবে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে রোপা আমন রোপণ এবং কর্তণ অনুষ্ঠানে আমরা এসেছি। এই জমিতে একেবারে অমন রোপণ থেকে শুরু করে কর্তণ পর্যন্ত কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে কর্তণ হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেমন শ্রম কমেছে, খরচ কমেছে, উৎপাদন বেড়েছে। সব কিছু মিলিয়ে কৃষকরা লাভমান হচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা এখান থেকে মৌলভীবাজারের সকল কৃষকদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি।

কৃষি বিভাগ জানায়, আমন ধান চাষে এ বছর অনুকূল পরিবেশ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে প্রতি বছর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।