ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বিপুল ভোটে জয়ী শিবিরের সাদিক-ফরহাদ-মহিউদ্দিন মৌলভীবাজার সরকারি ১২০ শতক জমি উদ্ধার করল জেলা প্রশাসন দুর্গাপূজা উপলক্ষে একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে বিট পুলিশিং ও আইনশৃঙ্খলা সভা কমলগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে যুবকের গ/লা/কা/টা লা/শ উ দ্ধা র কিনব্রিজের দুই প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে : জেলা প্রশাসক কমলগঞ্জে ৪০০ বস্তা ময়দা আত্মসাৎ চেষ্টার ঘটনায় গ্রে/ফ/তা র -২ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫ উদযাপন আলোচিত আঞ্জুম হত্যা মামলার আসামী জুনেলের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হিথ্রো বিমানবন্দরে নাসের রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা মৌলভীবাজারে ঢাকা ব্যাংকের “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ আর্থিক স্বাক্ষরতা নিশ্চিতে তরুণদের সম্পৃক্ততার আহ্বান

মৌলভীবাজার কাঁচাবাজারে আগুন,নাভিশ্বাস নিম্ন আয়ের মানুষ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২
  • / ৬৩১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: চাকুরী করেন সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে মাসে কেটেকুটে বেতন পান মাত্র ২০-২৫  হাজার টাকারর মতো। ৪ সন্তানের জনক। থাকেন শহরের একটি আবাসিক এলাকায়। ভোরে বাজার করতে এসেছেন শহরের পশ্চিম বাজারে। ইলিশ মাছের দাম জিজ্ঞেস করতেই বিক্রেতা জানালেন এগুলো চাঁদপুরের কাঁচা ইলিশ, একদম কাঁচা। এক কেজির গুলো ১৫০০ টাকা আর ছোট মানে সাড়ে ৬শ’  গ্রামেরগুলো ৯৫০ টাকা। দাম শুনেই মুজিবুর রহমানের চোখ কপালে। সোঝা চলে যাচ্ছেন সবজির গলিতে।

এই প্রতিবেদককে জানালেন, যে টাকা বেতন পাই তা দিয়ে ৪ ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া চালাতে হয়। আছে কাপড়চোপড়, ওষুধপত্র। আবার নিজের যাতায়াত টিফিন। বাচ্ছাদের টিউশন ফি। কীভাবে যে কী করি?

এমনি অবস্থা মৌলভীবাজারের নিম্ন আয়ের হাজার হাজার মানুষের। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশের চুড়ায়। এসব খাটো আয়ের লোকজন এর নাগাল পাচ্ছে না।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে শহরের পশ্চিম বাজারে গেলে দেখা যায় মাছের বাজারে আগুন। ইলিশ ছাড়াও দেশী ফার্মের রুই ৩ কেজি ওজনেরগুলো ৫০০-৬০০ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনেরগুলো ৩৫০ টাকা কেজি। হাকালুকি ও কাউয়া দিঘী হাওরের মাছ বলে প্রতি কেজি বালিয়া, গাগলা, রিটা, লাড়িয়া,চিংড়ি ১০০০ -১২০০ টাকা কেজি। আবার ছোট চিংড়ি ও  টেংরা ৮০০ টাকা। বড় আইড়, দেশী বোয়াল, গোজি আইড় ১২০০ টাকা এবং দেশী রুই, কালি বাউস, কাতল ৬০০ টাকা কে জি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে বয়লার, লেয়ার, সোনালী কক ও  ডিমের দাম। দেশী মুগ ও মশুর ডাল ১৩৫-৪০ টাকা। আর শুটলি ৪০০ থেকে প্রকার ভেদে ১৫/১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দিনমজুর সুমন মিয়া জানান, দিনে ৪/৫শ’ টাকার  টাকার বেশি রোজগার করতে পারি না। চালের কেজি ৫৫ টাকা। ৮ জনের সংসারে তিনি একমাত্র রোজগারি। ৪/৫ কেজি চাল কেনার পর অন্য বাজার। ৫০০ গ্রাম তেল ১০০ টাকা। শাক ৩০০ গ্রামের আটি ২৫ টাকা। পটল ৬০ টাকা, শশা ৫০-৬০ টাকা লাউ ছোট একটা  ৭০-৮০ টাকা । আলু ও পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের কেজি তো ডাবল সেঞ্চুরিতে। ২৪০ টাকা একদাম জানালেন বিক্রেতা রহিম উদ্দিন। আর ধনেপাতা উপড়ে তোলা গাছ ৪০০ টাকা কেজি।

বাজার করতে আসা একজন শিক্ষক জানালেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে ইন্টানেট বিলও এখন নিত্যপ্রয়োজনীয়। প্রতিমাসে ৫৫০ থেকে ১২০০ পর্যন্ত আসে। এছাড়া বাসার ভাড়া, গ্যাস বিদ্যুৎ পানির বিল, কাজের বুয়ার বেতন সব মিলিয়ে বেতানের টাকায় এখন আর পনেরো দিনও চলে না। ধারকর্জ করতে করতে শেষ। সরকারি চাকুরীজীবরা জিপি ফান্ড এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সেলারির বিপরীতে অগ্রিম নিয়ে নিয়ে চলছেন। কেউ কেউ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজার কাঁচাবাজারে আগুন,নাভিশ্বাস নিম্ন আয়ের মানুষ

আপডেট সময় ০৬:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি: চাকুরী করেন সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে মাসে কেটেকুটে বেতন পান মাত্র ২০-২৫  হাজার টাকারর মতো। ৪ সন্তানের জনক। থাকেন শহরের একটি আবাসিক এলাকায়। ভোরে বাজার করতে এসেছেন শহরের পশ্চিম বাজারে। ইলিশ মাছের দাম জিজ্ঞেস করতেই বিক্রেতা জানালেন এগুলো চাঁদপুরের কাঁচা ইলিশ, একদম কাঁচা। এক কেজির গুলো ১৫০০ টাকা আর ছোট মানে সাড়ে ৬শ’  গ্রামেরগুলো ৯৫০ টাকা। দাম শুনেই মুজিবুর রহমানের চোখ কপালে। সোঝা চলে যাচ্ছেন সবজির গলিতে।

এই প্রতিবেদককে জানালেন, যে টাকা বেতন পাই তা দিয়ে ৪ ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া চালাতে হয়। আছে কাপড়চোপড়, ওষুধপত্র। আবার নিজের যাতায়াত টিফিন। বাচ্ছাদের টিউশন ফি। কীভাবে যে কী করি?

এমনি অবস্থা মৌলভীবাজারের নিম্ন আয়ের হাজার হাজার মানুষের। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশের চুড়ায়। এসব খাটো আয়ের লোকজন এর নাগাল পাচ্ছে না।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে শহরের পশ্চিম বাজারে গেলে দেখা যায় মাছের বাজারে আগুন। ইলিশ ছাড়াও দেশী ফার্মের রুই ৩ কেজি ওজনেরগুলো ৫০০-৬০০ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনেরগুলো ৩৫০ টাকা কেজি। হাকালুকি ও কাউয়া দিঘী হাওরের মাছ বলে প্রতি কেজি বালিয়া, গাগলা, রিটা, লাড়িয়া,চিংড়ি ১০০০ -১২০০ টাকা কেজি। আবার ছোট চিংড়ি ও  টেংরা ৮০০ টাকা। বড় আইড়, দেশী বোয়াল, গোজি আইড় ১২০০ টাকা এবং দেশী রুই, কালি বাউস, কাতল ৬০০ টাকা কে জি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে বয়লার, লেয়ার, সোনালী কক ও  ডিমের দাম। দেশী মুগ ও মশুর ডাল ১৩৫-৪০ টাকা। আর শুটলি ৪০০ থেকে প্রকার ভেদে ১৫/১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দিনমজুর সুমন মিয়া জানান, দিনে ৪/৫শ’ টাকার  টাকার বেশি রোজগার করতে পারি না। চালের কেজি ৫৫ টাকা। ৮ জনের সংসারে তিনি একমাত্র রোজগারি। ৪/৫ কেজি চাল কেনার পর অন্য বাজার। ৫০০ গ্রাম তেল ১০০ টাকা। শাক ৩০০ গ্রামের আটি ২৫ টাকা। পটল ৬০ টাকা, শশা ৫০-৬০ টাকা লাউ ছোট একটা  ৭০-৮০ টাকা । আলু ও পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের কেজি তো ডাবল সেঞ্চুরিতে। ২৪০ টাকা একদাম জানালেন বিক্রেতা রহিম উদ্দিন। আর ধনেপাতা উপড়ে তোলা গাছ ৪০০ টাকা কেজি।

বাজার করতে আসা একজন শিক্ষক জানালেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে ইন্টানেট বিলও এখন নিত্যপ্রয়োজনীয়। প্রতিমাসে ৫৫০ থেকে ১২০০ পর্যন্ত আসে। এছাড়া বাসার ভাড়া, গ্যাস বিদ্যুৎ পানির বিল, কাজের বুয়ার বেতন সব মিলিয়ে বেতানের টাকায় এখন আর পনেরো দিনও চলে না। ধারকর্জ করতে করতে শেষ। সরকারি চাকুরীজীবরা জিপি ফান্ড এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সেলারির বিপরীতে অগ্রিম নিয়ে নিয়ে চলছেন। কেউ কেউ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন।