ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজার কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে ‘কিডস জোন’ উদ্বোধন ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজার কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে ‘কিডস জোন’ ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পাসের একটি রুমে বাচ্চাদের জন্য ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে ‘কিডস জোন’ এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ও লেডিস ক্লাব মৌলভীবাজারের সভাপতি কবিতা ইয়াসমিন।

পরে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে স্কুলের শিক্ষা উপকরণ তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. শাহীনা আক্তার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (লাইব্রেরী শাখা, এনজিও সেল ও স্থানীয় সরকার শাখা) সৈয়দ সাফকাত আলী, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নেজারত শাখা ও ফর্মস এন্ড স্টেশনারী শাখা) ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাওন মজুমদার শাওন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: সোহাগ মিলু, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অন্তরা সরকার অদ্রি, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন সুলতানা, জেলা প্রশাসকের মেয়ে অবিত্রী আনুষকা হাসানসহ স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষক, স্টাফ, অভিভাবক ও সাংবাদিকবৃন্দ।

স্কুলে আসা অভিভাবক সোনিয়া আহমেদ, মাহবুবা সুলতানা রুহিন, খিজির মো: জুলফিকার, নজরুল ইসলাম ও রহিমা হামিদ রিয়া বলেন, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বাচ্চাদের মধ্যে একটি পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে, যা ইতিবাচক। বাচ্চারা স্কুলে আসতেও উৎসাহ বোধ করে।

প্রধান অতিথি কবিতা ইয়াসমিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, যদিও জানুয়ারিতে স্কুলটি চালু হলেও বিভিন্ন কারনে তিনি দেরি করে স্কুলে আসায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, স্কুলটি আড়াই বছর আগে চালু হওয়ার কথা থাকলে না না সমস্যায় তা হয়ে উঠেনি। এখানে যারা প্রথম ব্যাচে ছাত্র-ছাত্রী দিয়েছে  তারা গর্বিত অভিভাবক।তিনি আরও বলেন স্কুলটি একটি সময় মৌলভীবাজারে মডেল স্কুল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তাঁরা যেন তাদের ছেলে মেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি করান। স্কুলের প্রতি টান থেকে তাঁর মেয়েও স্কুলে এসে ক্লাস নেয়।

কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল বলেন, এটি জেলার মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ স্কুল হিসেবে গড়ে উঠবে। মার্চ মাস থেকে স্কুলে প্রি-প্রাইমারী ক্লাস শুরু হবে। ৩-৪ বছরের ছেলে-মেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি করা যাবে। তিনি বলেন,এটি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং তা চলমান থাকবে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, আগামী জুনের মধ্যেই স্কুলটি তার স্থায়ী ক্যাম্পাসে চালু করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়েছে। টেন্ডারও হয়ে গেছে কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, এস্কুলটি তাঁর স্বপ্ন এখন যেভাবে অন্যান্য স্কুলে ভর্তির জন্য সবাই প্রতিযোগীতা শুরু করে এক সময় এই স্কুলে ভর্তি হতে প্রতিযোগীতা শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ৫ বছরের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের এমন একটি জায়গায় নিয়ে আসা হবে যাতে করে তারা তাদের নিজেরে বিষয়ে জানতে পারবে। শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হয়েছে। সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বিভিন্ন শাখার শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করাবে, থাকবে চিকিৎসা সেবাও।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে ‘কিডস জোন’ উদ্বোধন ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

আপডেট সময় ০৩:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজার কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে ‘কিডস জোন’ ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পাসের একটি রুমে বাচ্চাদের জন্য ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে ‘কিডস জোন’ এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ও লেডিস ক্লাব মৌলভীবাজারের সভাপতি কবিতা ইয়াসমিন।

পরে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে স্কুলের শিক্ষা উপকরণ তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. শাহীনা আক্তার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (লাইব্রেরী শাখা, এনজিও সেল ও স্থানীয় সরকার শাখা) সৈয়দ সাফকাত আলী, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নেজারত শাখা ও ফর্মস এন্ড স্টেশনারী শাখা) ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাওন মজুমদার শাওন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: সোহাগ মিলু, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অন্তরা সরকার অদ্রি, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন সুলতানা, জেলা প্রশাসকের মেয়ে অবিত্রী আনুষকা হাসানসহ স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষক, স্টাফ, অভিভাবক ও সাংবাদিকবৃন্দ।

স্কুলে আসা অভিভাবক সোনিয়া আহমেদ, মাহবুবা সুলতানা রুহিন, খিজির মো: জুলফিকার, নজরুল ইসলাম ও রহিমা হামিদ রিয়া বলেন, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বাচ্চাদের মধ্যে একটি পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে, যা ইতিবাচক। বাচ্চারা স্কুলে আসতেও উৎসাহ বোধ করে।

প্রধান অতিথি কবিতা ইয়াসমিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, যদিও জানুয়ারিতে স্কুলটি চালু হলেও বিভিন্ন কারনে তিনি দেরি করে স্কুলে আসায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, স্কুলটি আড়াই বছর আগে চালু হওয়ার কথা থাকলে না না সমস্যায় তা হয়ে উঠেনি। এখানে যারা প্রথম ব্যাচে ছাত্র-ছাত্রী দিয়েছে  তারা গর্বিত অভিভাবক।তিনি আরও বলেন স্কুলটি একটি সময় মৌলভীবাজারে মডেল স্কুল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তাঁরা যেন তাদের ছেলে মেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি করান। স্কুলের প্রতি টান থেকে তাঁর মেয়েও স্কুলে এসে ক্লাস নেয়।

কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল বলেন, এটি জেলার মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ স্কুল হিসেবে গড়ে উঠবে। মার্চ মাস থেকে স্কুলে প্রি-প্রাইমারী ক্লাস শুরু হবে। ৩-৪ বছরের ছেলে-মেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি করা যাবে। তিনি বলেন,এটি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং তা চলমান থাকবে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, আগামী জুনের মধ্যেই স্কুলটি তার স্থায়ী ক্যাম্পাসে চালু করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়েছে। টেন্ডারও হয়ে গেছে কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, এস্কুলটি তাঁর স্বপ্ন এখন যেভাবে অন্যান্য স্কুলে ভর্তির জন্য সবাই প্রতিযোগীতা শুরু করে এক সময় এই স্কুলে ভর্তি হতে প্রতিযোগীতা শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ৫ বছরের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের এমন একটি জায়গায় নিয়ে আসা হবে যাতে করে তারা তাদের নিজেরে বিষয়ে জানতে পারবে। শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হয়েছে। সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বিভিন্ন শাখার শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করাবে, থাকবে চিকিৎসা সেবাও।