ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে – ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ৪ জুনের বক্তব্য ধামা চাপা দেওয়ার অপচেষ্টা চিকিৎসা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশে সেনাবাহিনীর হাতে আ ট ক আওয়ামী লীগ নেতা পাশাপাশি কবরে চিরনিদ্রায় দুই ভাই যদি সৎ নেতৃত্ব আসে তাহলে পাঁচ বছরে দেশ বদলে যাবে : ডা: শফিকুর রহমান পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মৌলভীবাজার২৪ ডট কমের সম্পাদকের শুভেচ্ছা সম্মানিত সিলেট বিভাগীয় প্রবাসী ঐক্য পরিষদের ঈদ পূণমিলনী” জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনার সক্ষমতা যাদের রয়েছে, তারা হলেন আলিম-উলামা – ডাঃ শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় নি হ ত ২ আ হ ত ১

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ৪ জুনের বক্তব্য ধামা চাপা দেওয়ার অপচেষ্টা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

সাবেক সফল অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী,বিশ্ব বরণ্য অর্থনীতিবীদ,আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের গৌরব ও অহংকার,ভ্যাট প্রথার প্রবর্তক সর্বজন শ্রদ্বেয় মরহুম এম সাইফুর রহমানকে নিয়ে বুধবার ৪ জুন দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে “পবিত্র ঈদুল আযহা, বন্যা পরিস্থিতি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সুশিল সমাজ ও সাংবাদিকগণের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিয় সভায়” ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক জনাব এম এ সালাম কটূক্তি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন। উক্ত বক্তব্যকে সাংবাদিক এম এ সালাম ধামা চাপা দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর কিছু অনুসারী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসদের দিয়ে অপব্যখ্যায় লিপ্ত।
*জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এম এ সালাম সাহেবের হুবহু বক্তব্য ছিল :*
মতিন বক্স যেটা প্রস্তাব দিয়েছে,সেটা ৩০০/৪০০ সাংবাদিকের জন্য আলাদা প্রেসক্লাব লাগবে, এই প্রেসক্লাবে জায়গাতো হবে না। ভবন এটা ভেঙ্গে আবার নতুন আরেকটা ভবন নির্মাণের জন্য সাইফুর রহমানের আমলে প্রস্তাব দিছিলাম,প্রেসক্লাব করার জন্য। আমাদের প্রেসক্লাব আমি দিছিলাম,উনার বোনের জামাই আমি। উনি বলছিলেন যে সিলেটের প্রেসক্লাব তিনি করে দিয়েছেন, আর এখানে বলবো তোমরা-তো সব আওয়ামীলীগ, আমি প্রেসক্লাব ভবন করবো কিভাবে ? এ জন্য আমরা আর সেই আমলে প্রেসক্লাব করতে পারলাম না। কারণ আমরা আওয়ামীলীগ। এই বিএনপি নেতা হাসছে! আমাকে উনি ‘জিলাপি খাওয়াইতো, খাওয়াইয়া গামছা দিত ধর হাত মুছিলাউ’। সেই আমলে আমরা প্রেসক্লাব করতে পারিনাই আমরা “আওয়ামীলীগ” কারণ প্রেসক্লাবে হইছে কি বিভিন্ন মর্তাদশের মানুষ আছিল এখানে।
একজন দেশ বরণ‍্য সম্মানিত ব্যাক্তিকে নিয়ে তিনি কিভাবে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে উপস্থাপন করেন। ‘ *জিলাপি খাওয়াইতো,খাওয়াইয়া গামছা দিত ধর হাত মুছিলাউ’* প্রেসক্লাবের উন্নয়ন বিষয়ে একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে অসম্মানজনক ভাবে নাম ধরে প্রেসক্লাবের বিষয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমন বক্তব্য কি হতে পারে?এম সাইফুর রহমান কি কোনো দিনও দল,মত কিংবা ধর্ম,বর্ণ দেখে উন্নয়ন কাজ করেছেন? অবশ‍্যই না। তিনি কি এতোই আনস্মার্ট ছিলেন যে জিলাপি খাওয়াইয়া গামছা দিতেন মুছার জন‍্য। আর কি কিছু খেতে দিতেন না। কেনো তাঁকে দলীয় আর আনস্মার্টের ট‍্যাগ দেওয়া হল ওই বক্তব্যে। তিনি ওই সময় নিজের প্রেসক্লাবের দায়িত্ব ও নিয়ন্ত্রণ হারানো ভয়ে উন্নয়ন কাজ কুটকৌশলে যে বন্ধ রাখার চেষ্টা করেছিলেন তা প্রমাণিত সত‍্য। এখন তিনি নিজের দোষ কেনো অন‍্যদিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আর আজ এতো বছর পর সর্বজন শ্রদ্ধেয় এম সাইফুর রহমানকে নিয়ে কল্পকাহিনীর গল্প বলছেন। এছাড়া ওই বক্তব্যে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদেরও হেও প্রতিপন্ন করেছেন সাংবাদিকদের সংখ‍্যার কথা বলে। তিনি কোনোদিনও চাননি তরুণ, সৎ,যোগ‍্য,মেধাবী ও প্রকৃত সাংবাদিকরা মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সদস‍্য হোক। যারা তার বন্দনা করেন অযোগ্য হলেও গঠনতন্ত্র না মেনেই নিয়ম বর্হিভূত ভাবেই এদের জন‍্য প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস‍্য করতে তার সুপারিশ থাকে জোরালো। নিজের অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিকতা তার একটি অন‍্যতম হাতিয়ার। সর্বস্থরের মানুষের শ্রদ্ধার ব্যক্তি মরহুম এম সাইফুর রহমান সাহেবের আমলেও এম নাসের রহমান এমপি মহোদয় ১৭ লক্ষ টাকা প্রেসক্লাবের উন্নয়নে বরাদ্দ দিলেন। কেনো সেই বরাদ্দ বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হলনা? বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিলো ওই সময় তিনিসহ আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির পদবীধারী সাংবাদিক ধারা প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ করা হলেও কেনো তখন উন্নয়ন করা হলনা। কেনো প্রবীণ ও অসুস্থ সাংবাদিক দাবি করা ব‍্যক্তি আজও অবদি নিজের ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারছেননা। ৩৬ জুলাইয়ের পর নয় এর অনেক আগে থেকেই তিনির ক্ষমতালোভী মনোভাবের কারণে জেলার মূলধারার সাংবাদিকদের মাঝে বিভাজন চলমান রেখেছেন। আর ৫ আগষ্টের পরে তার নিয়ন্ত্রিত ফ‍্যাসীবাদের দোসররা ছাত্র -জনতার ভয়ে প্রেসক্লাব ছেড়ে পালিয়েছেন। তারপরও তিনি মনের খায়েশ মিঠাতে প্রেসক্লাব নিয়ে আদালতে মিথ‍্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছেন। যা চলমান রয়েছে । এছাড়াও তিনি সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রেসক্লাব নিয়ে নালিশ দিয়ে বিচারে তিনি হেরেছেন। তারপরও থেমে নেই তার নানা কুটকৌশল। জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স হলের ওই বক্তব্য প্রেসক্লাবের সাথে যায় না। এটি তার পূর্ব পরিকল্পিত,মনগড়া ব‍্যক্তিগত বক্তব্য। তার ওই বক্তব্যের সাথে প্রেসক্লাবের বিভাজনের কোনো সম্পর্ক নেই। তার এই বিতর্কিত বক্তব্যের দায়ভার কোনো গণমাধ্যমকর্মী মেনে নিতে পারেনা। একমতও হতে পারেনা। ওই সময় বিএনপি,জামায়াতসহ অন‍্যান‍্য দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও পেশাজীবী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও তার এমন মনগড়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। যারা উপস্থিত ছিলেন তারাই ওই ঘটনার প্রত‍্যক্ষদর্শী। তিনির মনে করা উচিত
কোনো বিষয়ে বিভাজন ভালো না। কাউকে সম্মান দিয়ে কথা বললে কেউ ছোট হয়না। অবশ্যই জানা উচিৎ এধরনের ফোরামে সবার আবেগ,ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মানুষকে নিয়ে কি রকম কথা বলতে হয়। তার বক্তব্য ও বাচনভঙ্গি সুন্দর হলে ওই হাউজে সবাই তখন সমস্বরে প্রতিবাদ জানাত না।
*কটুক্তি শব্দের অর্থ বা কি বুঝায় :*
পরনিন্দা করা, কুৎসা রটানো, পেছনে সমালোচনা করা, পরচর্চা করা, দোষারোপ করা, কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষ অন্যের সামনে তুলে ধরা। আরবি ভাষায় গীবত বুঝায়। ভিডিও সংগ্রহ করে শুনলে বুজতে পারবেন।
*প্রসঙ্গত : মরহুম এম সাইফুর রহমান সাহেবের আমলে উন্নয়নে বাঁধা:*
দীর্ঘ দিন থেকে প্রেসক্লাবের ভবনের একটিমাত্র ফ্লোর (এক তলা) থাকায় প্রেসক্লাবের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমস্যা হতো। ওই সময় সিনিয়র সাংবাদিক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মরহুম সৈয়দ মো: আতহারসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা ২০০৪ সালের জুলাই-আগস্টের দিকে তৎকালিন সফল অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী,সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম এম সাইফুর রহমান সাহেবের জ্যেষ্ঠ পুত্র মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক এমপি জনাব এম নাসের রহমান এঁর সাথে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউসে একটি অনুষ্ঠানে একতলা ভবনের উপর আরেকটি ফ্লোর করে দেয়ার জোর দাবী করেন। পরে জনাব এম নাসের রহমান একই বছরের (২০০৪ সাল) ২১ ডিসেম্বর তারিখে প্রেসক্লাব ভবনের দ্বিতীয় তলা নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর করেন। প্রেসক্লাবে প্রবেশের বাম দিকের দৃশ্যমান স্থান দেয়ালে একটি মার্বেল পাথর খুদাই করে নির্মাণ কাজের ফলক উম্মোচনও করেন। ওই ফলোক উম্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিক এম এ সালাম সহ তাঁর কিছু অনুসারী উপস্থিত হননি।
দ্বিতীয় তলা কাজের জন্য জেলা পরিষদ প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু হয়। পরে এম এ সালাম সাহেবের বাঁধার মুখে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এবং বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়। পরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে ২০০৯ সালের মার্চ মাসের দিকে জনাব এম নাসের রহমান এর নাম সম্বলিত নেইম প্লেইট প্রদর্শিত স্থান থেকে এম এ সালাম একক ক্ষমতাবলে অপসারণ করে ভবনের ছাদের এক কোনে আড়াল করে লাগিয়ে রাখেন। এর উদ্দেশ্য ছিল ব্যক্তিগত সার্থে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে খুশি রাখা। এর পর থেকে অদ্যবদি প্রেসক্লাবের কোন উন্নয়ন হয়নি। পর্যায়ক্রমে প্রেসক্লাব, সাংবাদিক এম এ সালামের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। সর্বশেষ ৫ আগস্টের পূর্ব পর্যন্ত এম এ সালাম ছিলেন সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি পান্না দত্ত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। ওই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগের পদবীধারী নেতাদের নিয়ে প্রেসক্লাবে ছিলেন। কোন উন্নয়ন করতে পারেননি? ওই সময় সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যক্তির উন্নয়ন ছাড়া আর কিছুই হয়নি। *_চলবে_* …

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ৪ জুনের বক্তব্য ধামা চাপা দেওয়ার অপচেষ্টা

আপডেট সময় ০২:৩৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

সাবেক সফল অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী,বিশ্ব বরণ্য অর্থনীতিবীদ,আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের গৌরব ও অহংকার,ভ্যাট প্রথার প্রবর্তক সর্বজন শ্রদ্বেয় মরহুম এম সাইফুর রহমানকে নিয়ে বুধবার ৪ জুন দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে “পবিত্র ঈদুল আযহা, বন্যা পরিস্থিতি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সুশিল সমাজ ও সাংবাদিকগণের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিয় সভায়” ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক জনাব এম এ সালাম কটূক্তি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন। উক্ত বক্তব্যকে সাংবাদিক এম এ সালাম ধামা চাপা দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর কিছু অনুসারী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসদের দিয়ে অপব্যখ্যায় লিপ্ত।
*জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এম এ সালাম সাহেবের হুবহু বক্তব্য ছিল :*
মতিন বক্স যেটা প্রস্তাব দিয়েছে,সেটা ৩০০/৪০০ সাংবাদিকের জন্য আলাদা প্রেসক্লাব লাগবে, এই প্রেসক্লাবে জায়গাতো হবে না। ভবন এটা ভেঙ্গে আবার নতুন আরেকটা ভবন নির্মাণের জন্য সাইফুর রহমানের আমলে প্রস্তাব দিছিলাম,প্রেসক্লাব করার জন্য। আমাদের প্রেসক্লাব আমি দিছিলাম,উনার বোনের জামাই আমি। উনি বলছিলেন যে সিলেটের প্রেসক্লাব তিনি করে দিয়েছেন, আর এখানে বলবো তোমরা-তো সব আওয়ামীলীগ, আমি প্রেসক্লাব ভবন করবো কিভাবে ? এ জন্য আমরা আর সেই আমলে প্রেসক্লাব করতে পারলাম না। কারণ আমরা আওয়ামীলীগ। এই বিএনপি নেতা হাসছে! আমাকে উনি ‘জিলাপি খাওয়াইতো, খাওয়াইয়া গামছা দিত ধর হাত মুছিলাউ’। সেই আমলে আমরা প্রেসক্লাব করতে পারিনাই আমরা “আওয়ামীলীগ” কারণ প্রেসক্লাবে হইছে কি বিভিন্ন মর্তাদশের মানুষ আছিল এখানে।
একজন দেশ বরণ‍্য সম্মানিত ব্যাক্তিকে নিয়ে তিনি কিভাবে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে উপস্থাপন করেন। ‘ *জিলাপি খাওয়াইতো,খাওয়াইয়া গামছা দিত ধর হাত মুছিলাউ’* প্রেসক্লাবের উন্নয়ন বিষয়ে একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে অসম্মানজনক ভাবে নাম ধরে প্রেসক্লাবের বিষয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমন বক্তব্য কি হতে পারে?এম সাইফুর রহমান কি কোনো দিনও দল,মত কিংবা ধর্ম,বর্ণ দেখে উন্নয়ন কাজ করেছেন? অবশ‍্যই না। তিনি কি এতোই আনস্মার্ট ছিলেন যে জিলাপি খাওয়াইয়া গামছা দিতেন মুছার জন‍্য। আর কি কিছু খেতে দিতেন না। কেনো তাঁকে দলীয় আর আনস্মার্টের ট‍্যাগ দেওয়া হল ওই বক্তব্যে। তিনি ওই সময় নিজের প্রেসক্লাবের দায়িত্ব ও নিয়ন্ত্রণ হারানো ভয়ে উন্নয়ন কাজ কুটকৌশলে যে বন্ধ রাখার চেষ্টা করেছিলেন তা প্রমাণিত সত‍্য। এখন তিনি নিজের দোষ কেনো অন‍্যদিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আর আজ এতো বছর পর সর্বজন শ্রদ্ধেয় এম সাইফুর রহমানকে নিয়ে কল্পকাহিনীর গল্প বলছেন। এছাড়া ওই বক্তব্যে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদেরও হেও প্রতিপন্ন করেছেন সাংবাদিকদের সংখ‍্যার কথা বলে। তিনি কোনোদিনও চাননি তরুণ, সৎ,যোগ‍্য,মেধাবী ও প্রকৃত সাংবাদিকরা মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সদস‍্য হোক। যারা তার বন্দনা করেন অযোগ্য হলেও গঠনতন্ত্র না মেনেই নিয়ম বর্হিভূত ভাবেই এদের জন‍্য প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস‍্য করতে তার সুপারিশ থাকে জোরালো। নিজের অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিকতা তার একটি অন‍্যতম হাতিয়ার। সর্বস্থরের মানুষের শ্রদ্ধার ব্যক্তি মরহুম এম সাইফুর রহমান সাহেবের আমলেও এম নাসের রহমান এমপি মহোদয় ১৭ লক্ষ টাকা প্রেসক্লাবের উন্নয়নে বরাদ্দ দিলেন। কেনো সেই বরাদ্দ বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হলনা? বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিলো ওই সময় তিনিসহ আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির পদবীধারী সাংবাদিক ধারা প্রেসক্লাবের নিয়ন্ত্রণ করা হলেও কেনো তখন উন্নয়ন করা হলনা। কেনো প্রবীণ ও অসুস্থ সাংবাদিক দাবি করা ব‍্যক্তি আজও অবদি নিজের ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারছেননা। ৩৬ জুলাইয়ের পর নয় এর অনেক আগে থেকেই তিনির ক্ষমতালোভী মনোভাবের কারণে জেলার মূলধারার সাংবাদিকদের মাঝে বিভাজন চলমান রেখেছেন। আর ৫ আগষ্টের পরে তার নিয়ন্ত্রিত ফ‍্যাসীবাদের দোসররা ছাত্র -জনতার ভয়ে প্রেসক্লাব ছেড়ে পালিয়েছেন। তারপরও তিনি মনের খায়েশ মিঠাতে প্রেসক্লাব নিয়ে আদালতে মিথ‍্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছেন। যা চলমান রয়েছে । এছাড়াও তিনি সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রেসক্লাব নিয়ে নালিশ দিয়ে বিচারে তিনি হেরেছেন। তারপরও থেমে নেই তার নানা কুটকৌশল। জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স হলের ওই বক্তব্য প্রেসক্লাবের সাথে যায় না। এটি তার পূর্ব পরিকল্পিত,মনগড়া ব‍্যক্তিগত বক্তব্য। তার ওই বক্তব্যের সাথে প্রেসক্লাবের বিভাজনের কোনো সম্পর্ক নেই। তার এই বিতর্কিত বক্তব্যের দায়ভার কোনো গণমাধ্যমকর্মী মেনে নিতে পারেনা। একমতও হতে পারেনা। ওই সময় বিএনপি,জামায়াতসহ অন‍্যান‍্য দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও পেশাজীবী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও তার এমন মনগড়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। যারা উপস্থিত ছিলেন তারাই ওই ঘটনার প্রত‍্যক্ষদর্শী। তিনির মনে করা উচিত
কোনো বিষয়ে বিভাজন ভালো না। কাউকে সম্মান দিয়ে কথা বললে কেউ ছোট হয়না। অবশ্যই জানা উচিৎ এধরনের ফোরামে সবার আবেগ,ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মানুষকে নিয়ে কি রকম কথা বলতে হয়। তার বক্তব্য ও বাচনভঙ্গি সুন্দর হলে ওই হাউজে সবাই তখন সমস্বরে প্রতিবাদ জানাত না।
*কটুক্তি শব্দের অর্থ বা কি বুঝায় :*
পরনিন্দা করা, কুৎসা রটানো, পেছনে সমালোচনা করা, পরচর্চা করা, দোষারোপ করা, কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষ অন্যের সামনে তুলে ধরা। আরবি ভাষায় গীবত বুঝায়। ভিডিও সংগ্রহ করে শুনলে বুজতে পারবেন।
*প্রসঙ্গত : মরহুম এম সাইফুর রহমান সাহেবের আমলে উন্নয়নে বাঁধা:*
দীর্ঘ দিন থেকে প্রেসক্লাবের ভবনের একটিমাত্র ফ্লোর (এক তলা) থাকায় প্রেসক্লাবের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমস্যা হতো। ওই সময় সিনিয়র সাংবাদিক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মরহুম সৈয়দ মো: আতহারসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা ২০০৪ সালের জুলাই-আগস্টের দিকে তৎকালিন সফল অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী,সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম এম সাইফুর রহমান সাহেবের জ্যেষ্ঠ পুত্র মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক এমপি জনাব এম নাসের রহমান এঁর সাথে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউসে একটি অনুষ্ঠানে একতলা ভবনের উপর আরেকটি ফ্লোর করে দেয়ার জোর দাবী করেন। পরে জনাব এম নাসের রহমান একই বছরের (২০০৪ সাল) ২১ ডিসেম্বর তারিখে প্রেসক্লাব ভবনের দ্বিতীয় তলা নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর করেন। প্রেসক্লাবে প্রবেশের বাম দিকের দৃশ্যমান স্থান দেয়ালে একটি মার্বেল পাথর খুদাই করে নির্মাণ কাজের ফলক উম্মোচনও করেন। ওই ফলোক উম্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিক এম এ সালাম সহ তাঁর কিছু অনুসারী উপস্থিত হননি।
দ্বিতীয় তলা কাজের জন্য জেলা পরিষদ প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু হয়। পরে এম এ সালাম সাহেবের বাঁধার মুখে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এবং বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়। পরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে ২০০৯ সালের মার্চ মাসের দিকে জনাব এম নাসের রহমান এর নাম সম্বলিত নেইম প্লেইট প্রদর্শিত স্থান থেকে এম এ সালাম একক ক্ষমতাবলে অপসারণ করে ভবনের ছাদের এক কোনে আড়াল করে লাগিয়ে রাখেন। এর উদ্দেশ্য ছিল ব্যক্তিগত সার্থে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে খুশি রাখা। এর পর থেকে অদ্যবদি প্রেসক্লাবের কোন উন্নয়ন হয়নি। পর্যায়ক্রমে প্রেসক্লাব, সাংবাদিক এম এ সালামের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। সর্বশেষ ৫ আগস্টের পূর্ব পর্যন্ত এম এ সালাম ছিলেন সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি পান্না দত্ত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। ওই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগের পদবীধারী নেতাদের নিয়ে প্রেসক্লাবে ছিলেন। কোন উন্নয়ন করতে পারেননি? ওই সময় সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যক্তির উন্নয়ন ছাড়া আর কিছুই হয়নি। *_চলবে_* …