মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ   আগামী ২২ শে জুন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি বার্ষিক কাউন্সিল পাঁচটি পদে চুড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন এর কাছে হস্তান্তর করেছে নির্বাচন কমিশন।

আজ সোমবার রাত নয়টায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত ও কমিশন সদস্য জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বকসি মিসবাহ উর রহমান।

এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো.হেলু মিয়া,জেলা যুবদল নেতা জিল্লুর রহমান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন প্রধান আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত বলেন,পাঁচটি পদে মোট ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করেছেন। চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় কাউকেই বাদ দেয়া হয়নি।

সভাপতি পদে দুজন প্রতিদ্বন্ধীতা করেছেন এরা হলেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো.ফখরুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমান মজনু সিনিয়র সহ সভাপতি পদে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো.সাদিকুর রহমান,আব্দুল করিম ঈমানী,রুহেল বক্স,শাহ ফখরুজ্জামান সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মারুফ আহমেদ ও সদস্য রানা খান শাহীন,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান, শফিউর রহমান, সেজুল আহমেদ, মো: জিল্লুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বদরুল ইসলাম, মো.আব্দুর রহমান সোনাওর, কাজল মাহমুদ ও তোফায়েল আহমদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মুকিত ও নির্বাচন কমিশনার বকসি মিসবাহ উর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় আগামী ২২ জুন দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এম সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী একজন করে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন। মোট ছয়টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ৯২৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশনের ওপর সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,দীর্ঘ দিন পর গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তৃনমুলের নেতৃবৃন্দরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচিত করবেন।

তিনি বলেন- গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে । নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে।

ময়ুন বলেন, “এই ঐতিহাসিক সম্মেলন আমাদের প্রমাণ করে দিয়েছে—দলীয় ঐক্য ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে মৌলভীবাজার বিএনপি ঐক্যবদ্ধ।

বিভক্ত দলীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলন স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, যদি এই ঐক্য ধরে রাখা যায়, তবে আগামী জাতীয় রাজনীতিতেও মৌলভীবাজারের বিএনপি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারবে।

নেতাকর্মীদের অনেকেই জানান, এই সম্মেলন শুধু কমিটি গঠন নয়—এটি একপ্রকার ‘পুনর্জন্ম’। পুরনো ভুল ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ।