ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মহাসড়ক সংস্কারসহ ৪’দফা দাবীতে মৌলভীবাজার মানববন্ধন খালেদা জিয়া-তারেক রহমান জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন সিলেটে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভাগ্য নির্ধারণ রোরবার মৌলভীবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া আমাদের মূল লক্ষ্য” — নাসের রহমান জুলাই সনদের বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত কমলগঞ্জে প্রয়াত বিএনপি নেতা খসরুর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল মৌলভীবাজারে বিস্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী

শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ,শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • / ২৪১০ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অটোমোবাইল বিভাগের শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম,দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

 

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জুলাই  (মঙ্গলবার) কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের অংশ গ্রহণে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নজরুল ইসলাম নিয়মিতভাবে তাদের দিয়ে ভারী মালামাল বহনসহ পারিবারিক ও কলেজের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করিয়ে নেন যা মূলত স্টাফদের দায়িত্ব। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তিনি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ করার ভয় দেখান।

এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কোর্সের সিট বাণিজ্য, প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা আত্মসাৎ এবং ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

 

অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সহকর্মী শিক্ষকদের সঙ্গেও অসদাচরণ করেন।  শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা থেকে ১০০-২০০ টাকা করে ‘মসজিদ উন্নয়ন’ খাত দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নজরুল ইসলামের এসব কর্মকাণ্ডে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

 

কলেজ কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে অবগত হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তাদের দাবি। সবশেষে, তার অপসারণের দাবিতে কলেজ শিক্ষার্থীরা ও মৌলভীবাজার টেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রদল ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভের আয়োজন করে।

 

এব্যাপারে  সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অটোমোবাইল বিভাগের শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে  যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি কোনো ছাত্রকে কাজ করাইনি আমার বদলী হয়ে গেছে এই সপ্তাহে চলে  যাব।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ,শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১০:৩৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

মৌলভীবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অটোমোবাইল বিভাগের শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম,দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

 

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জুলাই  (মঙ্গলবার) কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের অংশ গ্রহণে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নজরুল ইসলাম নিয়মিতভাবে তাদের দিয়ে ভারী মালামাল বহনসহ পারিবারিক ও কলেজের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করিয়ে নেন যা মূলত স্টাফদের দায়িত্ব। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তিনি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ করার ভয় দেখান।

এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কোর্সের সিট বাণিজ্য, প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা আত্মসাৎ এবং ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

 

অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সহকর্মী শিক্ষকদের সঙ্গেও অসদাচরণ করেন।  শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা থেকে ১০০-২০০ টাকা করে ‘মসজিদ উন্নয়ন’ খাত দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নজরুল ইসলামের এসব কর্মকাণ্ডে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

 

কলেজ কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে অবগত হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তাদের দাবি। সবশেষে, তার অপসারণের দাবিতে কলেজ শিক্ষার্থীরা ও মৌলভীবাজার টেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রদল ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভের আয়োজন করে।

 

এব্যাপারে  সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অটোমোবাইল বিভাগের শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে  যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি কোনো ছাত্রকে কাজ করাইনি আমার বদলী হয়ে গেছে এই সপ্তাহে চলে  যাব।