ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজার ১৩ দফা দাবির সমর্থনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার॥ মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ণসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সোমবার ১৪ নভেম্বর দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা শফিকুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা বশির আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মৌলভীবাজার জেলা শাখা সহ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল ইসলাম, সদর উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ ইউনুছ আলী, রাজনগর উপজেলা সভাপতি মাওলানা লুৎফুর রহমান সিরাজী, কুলাউড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সুলতান আহমদ, শ্রীমঙ্গল থেকে মাওলানা নুরুল আহাদ।

এসময় বক্তারা বলেন, মাদরাসা শিক্ষার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবদান এদেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, বিশেষ করে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কৃতজ্ঞতার সাথে আজীবন স্মরণ রাখবে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যায়, কওমি মাদরাসার স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সনদের মান প্রদান, জনবল কাঠামো অনুমোদন, মাদরাসার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাদরাসা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ৫৬০টি মডেল মসজিদ, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-কে জাতীয় দিবস ঘোষণাসহ বহুমুখি পদক্ষেপ ইসলামি শিক্ষার ইতিহাসে সোনালী হরফে লেখা থাকবে। যুগের চাহিদা পূরণে রূপকল্প-৪১, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন, উন্নয়ন কিংবা যুগোপযোগী করা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই।

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মৌলভীবাজার জেলা শাখা বক্তারা আরো বলেন, শতকরা ৯১ ভাগ মুসলমান যে দেশে বসবাস করে, সে দেশে কুরআন-সুন্নাহ ও মুসলিম ঐতিহ্য, কৃষ্টি, দীর্ঘদিনের লালিত সংস্কৃতির সাথে সাথে বর্তমান চাহিদাকে সমন্বয় করে দেশ বরেণ্য আলেম ওলমাদের অংশগ্রহণে একটি যুগোপযোগি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। উন্নয়ন ও সংস্কার সম্পর্কে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দদের সাথে ৫টি কর্মশালায় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন ও সংস্কার নিয়ে ব্যাপক পর্যালোচনা হয়।

আলেম-ওলামাগণ বারবার একই দাবি করেন যে, মুসলিম জনগোষ্ঠির ইমান-আকীদা, শিক্ষা-সংস্কৃতি সমুন্নত রেখে আধুনিক বিষয়সমূহ অন্তর্ভূক্তি ও মাদরাসা শিক্ষার বৈশিষ্ট্য উপযোগী পরিমার্জন সাপেক্ষে এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন ও সংস্কার করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০২২ সালের জন্য এনসিটিবি ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির জন্য যে ৯টি বই (বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, গণিত, শিল্প সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবন জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বিজ্ঞান) পাইলটিং/পরীক্ষামূলকভাবে পাঠদান করা হয় এবং ২০২৩ সাল থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ঐ সমস্ত বই স্কুল ও মাদরাসয় বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে মর্মে এনসিটিবি ঘোষণা দিয়েছে।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১৩দফা দাবি উল্লেখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দরা।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজার ১৩ দফা দাবির সমর্থনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় ০৫:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার॥ মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ণসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সোমবার ১৪ নভেম্বর দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা শফিকুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা বশির আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মৌলভীবাজার জেলা শাখা সহ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল ইসলাম, সদর উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ ইউনুছ আলী, রাজনগর উপজেলা সভাপতি মাওলানা লুৎফুর রহমান সিরাজী, কুলাউড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সুলতান আহমদ, শ্রীমঙ্গল থেকে মাওলানা নুরুল আহাদ।

এসময় বক্তারা বলেন, মাদরাসা শিক্ষার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবদান এদেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, বিশেষ করে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কৃতজ্ঞতার সাথে আজীবন স্মরণ রাখবে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যায়, কওমি মাদরাসার স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সনদের মান প্রদান, জনবল কাঠামো অনুমোদন, মাদরাসার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাদরাসা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ৫৬০টি মডেল মসজিদ, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-কে জাতীয় দিবস ঘোষণাসহ বহুমুখি পদক্ষেপ ইসলামি শিক্ষার ইতিহাসে সোনালী হরফে লেখা থাকবে। যুগের চাহিদা পূরণে রূপকল্প-৪১, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন, উন্নয়ন কিংবা যুগোপযোগী করা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই।

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মৌলভীবাজার জেলা শাখা বক্তারা আরো বলেন, শতকরা ৯১ ভাগ মুসলমান যে দেশে বসবাস করে, সে দেশে কুরআন-সুন্নাহ ও মুসলিম ঐতিহ্য, কৃষ্টি, দীর্ঘদিনের লালিত সংস্কৃতির সাথে সাথে বর্তমান চাহিদাকে সমন্বয় করে দেশ বরেণ্য আলেম ওলমাদের অংশগ্রহণে একটি যুগোপযোগি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। উন্নয়ন ও সংস্কার সম্পর্কে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দদের সাথে ৫টি কর্মশালায় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন ও সংস্কার নিয়ে ব্যাপক পর্যালোচনা হয়।

আলেম-ওলামাগণ বারবার একই দাবি করেন যে, মুসলিম জনগোষ্ঠির ইমান-আকীদা, শিক্ষা-সংস্কৃতি সমুন্নত রেখে আধুনিক বিষয়সমূহ অন্তর্ভূক্তি ও মাদরাসা শিক্ষার বৈশিষ্ট্য উপযোগী পরিমার্জন সাপেক্ষে এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন ও সংস্কার করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০২২ সালের জন্য এনসিটিবি ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির জন্য যে ৯টি বই (বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, গণিত, শিল্প সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবন জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বিজ্ঞান) পাইলটিং/পরীক্ষামূলকভাবে পাঠদান করা হয় এবং ২০২৩ সাল থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ঐ সমস্ত বই স্কুল ও মাদরাসয় বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে মর্মে এনসিটিবি ঘোষণা দিয়েছে।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১৩দফা দাবি উল্লেখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দরা।