ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আইনজীবী হত্যার বিচার হবে, শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার  লেজ রয়ে গেছে : সিলেটের কর্মশালায় তারেক রহমান জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা ভারতীয় মদসহ আটক – ১ ব্যবসায়ী মনসুর আহমদ আর নেই ২১ ডিসেম্বর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন,আসবেন আমীরে জামায়াত মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল শতভাগ জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা দিয়েছে মৌলভীবাজারে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণের মাসব্যাপী বুনিয়া প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন কমলগঞ্জের মুন্সীবাজারে ছায়াতরু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কর্তৃক দরিদ্রদের সহায়তা প্রদান

মৌলভীবাজার ১ হাজার ৭টি মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৫৮১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ: আর কয়েকদিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরি শেষ করে এখন চলছে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়ার শেষ মুহূর্তের কাজ। এরপর হবে সাজসজ্জা। এসব কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। শেষ মুহূর্তে চলছে দেবী সাজাতে শিল্পীদের রঙ তুলির কারুকাজ।

এদিকে, জেলা-উপজেলা ও শহর সেজে উঠছে উৎসবের রোশনাইয়ে। মণ্ডপ তৈরির কাজেও এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, ১ অক্টোবর শুরু হবে দুর্গাপূজা। শেষ হবে ৫ অক্টোবর। মৌলভীবাজার জেলায় সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ১ হাজার ৭ টি মণ্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও জেলার সবচেয়ে বড় পূজা মণ্ডপগুলো হলো- মৌলভীবাজার সদরের ত্রিনয়নী, মহেশ্বরী, আবাহনী, কুলাউড়ার কাদিপুর-শিববাড়ী মন্দির ও রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও দূর্গা মন্দির।

এবছর মৌলভীবাজার জেলায় ১০০৭টি মন্ডপে পূজার ব্যয় আনুমানিক প্রায় ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানান বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মহিম দে।

পূজা উদযাপন পরিষদ থেকে জেলায় মিটিং ডেকে প্রত্যেক উপজেলার কমিটিকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মণ্ডপে তাদের পক্ষ থেকে দুইজন করে সেচ্ছাসেবক সদস্য থাকবে। এটা পূজা মণ্ডপের জন্য নিজস্ব পাহারা থাকবে। গতবছরের কুমিল্লার ঘটনার পর, এবারের পূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর রয়েছেন। বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে, কোন সমস্যা আছে কি-না।

মৌলভীবাজারের ত্রিনয়নী শিববাড়িতে এবারের আকর্ষণ সবচেয়ে উঁচু পূজা মণ্ডপ

তাছাড়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলার তথ্য অনুসারে এবছর জেলার ১০০৭টি পূজা মন্ডপে শুধু মূর্তি গড়া বাবদ ব্যয় হবে আনুমানিক প্রায় ৩ কোটি ৫২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার থেকে প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। যা, টাকার সমপরিমাণে আনুমানিক প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।

এবছর মৌলভীবাজার জেলায় মোট পূজা সার্বজনীন ৮৭১টি এবং ব্যক্তিগত ১৩৬টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী পহেলা অক্টোবর শনিবার মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বুধবার মহাদশমীতে শেষ হবে শারদীয় দূর্গাৎসব। এবছর দেবী দুর্গার গজে আগমন ও দেবীর নৌকায় গমন।

এদিকে, কুলাউড়ার কাদিপুর শিববাড়িতে এবারের দুর্গাপূজায় সিমেন্টের তৈরি এক হাজার হাতের দেবী দুর্গা স্থাপিত হয়ে পূজিত হবেন। বিশালাকার এ মূর্তি এবছর কাদিপুর শিববাড়ি মন্দিরের মূল আকর্ষণ। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর পূর্বেই আনুসঙ্গিক সব কাজ শেষ হবে। সিমেন্টের তৈরি এই দুর্গা প্রতিমা প্রায় ২৩ ফুট উঁচু।

মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা পুলিশের যে সক্ষমতা আছে, সেটা সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা করবো। জেলা ও উপজেলার পূজা কমিটির সাথে আমরা মিটিং করেছি একাধিকবার। আমরা জেলার পূজা মণ্ডপ গুলোতে সিকিউরিটি সরঞ্জাম দিয়েছি, মণ্ডপে দু’জন সেচ্ছাসেবক এর জন্য দুইটা হলুদ সিকিউরিটি জ্যাকেট দিয়েছি সাথে তাদেরকে স্পেশাল প্ল্যাস্টিকের লাঠি দিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে জেলায় সাড়ে ছয় শত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তাছাড়া প্রায় সাত হাজার আনসার ও মাঠে থাকবে র‌্যাব।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মৌলভীবাজার ১ হাজার ৭টি মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা

আপডেট সময় ০১:১৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ: আর কয়েকদিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরি শেষ করে এখন চলছে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়ার শেষ মুহূর্তের কাজ। এরপর হবে সাজসজ্জা। এসব কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। শেষ মুহূর্তে চলছে দেবী সাজাতে শিল্পীদের রঙ তুলির কারুকাজ।

এদিকে, জেলা-উপজেলা ও শহর সেজে উঠছে উৎসবের রোশনাইয়ে। মণ্ডপ তৈরির কাজেও এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, ১ অক্টোবর শুরু হবে দুর্গাপূজা। শেষ হবে ৫ অক্টোবর। মৌলভীবাজার জেলায় সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ১ হাজার ৭ টি মণ্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও জেলার সবচেয়ে বড় পূজা মণ্ডপগুলো হলো- মৌলভীবাজার সদরের ত্রিনয়নী, মহেশ্বরী, আবাহনী, কুলাউড়ার কাদিপুর-শিববাড়ী মন্দির ও রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও দূর্গা মন্দির।

এবছর মৌলভীবাজার জেলায় ১০০৭টি মন্ডপে পূজার ব্যয় আনুমানিক প্রায় ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানান বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মহিম দে।

পূজা উদযাপন পরিষদ থেকে জেলায় মিটিং ডেকে প্রত্যেক উপজেলার কমিটিকে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মণ্ডপে তাদের পক্ষ থেকে দুইজন করে সেচ্ছাসেবক সদস্য থাকবে। এটা পূজা মণ্ডপের জন্য নিজস্ব পাহারা থাকবে। গতবছরের কুমিল্লার ঘটনার পর, এবারের পূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর রয়েছেন। বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে, কোন সমস্যা আছে কি-না।

মৌলভীবাজারের ত্রিনয়নী শিববাড়িতে এবারের আকর্ষণ সবচেয়ে উঁচু পূজা মণ্ডপ

তাছাড়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলার তথ্য অনুসারে এবছর জেলার ১০০৭টি পূজা মন্ডপে শুধু মূর্তি গড়া বাবদ ব্যয় হবে আনুমানিক প্রায় ৩ কোটি ৫২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার থেকে প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। যা, টাকার সমপরিমাণে আনুমানিক প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।

এবছর মৌলভীবাজার জেলায় মোট পূজা সার্বজনীন ৮৭১টি এবং ব্যক্তিগত ১৩৬টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী পহেলা অক্টোবর শনিবার মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বুধবার মহাদশমীতে শেষ হবে শারদীয় দূর্গাৎসব। এবছর দেবী দুর্গার গজে আগমন ও দেবীর নৌকায় গমন।

এদিকে, কুলাউড়ার কাদিপুর শিববাড়িতে এবারের দুর্গাপূজায় সিমেন্টের তৈরি এক হাজার হাতের দেবী দুর্গা স্থাপিত হয়ে পূজিত হবেন। বিশালাকার এ মূর্তি এবছর কাদিপুর শিববাড়ি মন্দিরের মূল আকর্ষণ। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর পূর্বেই আনুসঙ্গিক সব কাজ শেষ হবে। সিমেন্টের তৈরি এই দুর্গা প্রতিমা প্রায় ২৩ ফুট উঁচু।

মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা পুলিশের যে সক্ষমতা আছে, সেটা সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা করবো। জেলা ও উপজেলার পূজা কমিটির সাথে আমরা মিটিং করেছি একাধিকবার। আমরা জেলার পূজা মণ্ডপ গুলোতে সিকিউরিটি সরঞ্জাম দিয়েছি, মণ্ডপে দু’জন সেচ্ছাসেবক এর জন্য দুইটা হলুদ সিকিউরিটি জ্যাকেট দিয়েছি সাথে তাদেরকে স্পেশাল প্ল্যাস্টিকের লাঠি দিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে জেলায় সাড়ে ছয় শত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তাছাড়া প্রায় সাত হাজার আনসার ও মাঠে থাকবে র‌্যাব।