যারা নির্বাচন চায় না তারাই হাদির ওপর পরিকল্পিত গুলিবর্ষণ করেছে মৌলভীবাজারে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা
- আপডেট সময় ০৯:২৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ০ বার পড়া হয়েছে

রাজধানী ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে মৌলভীবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিতে হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে শহরের রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শহরের শমসেরনগর সড়কের আনহার মেডিকেলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি চৌমুহনা প্রদক্ষিণ করে সাইফুর রহমান সড়কের হামিদীয়া পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল-পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আব্দুল মুকিতের সভাপতিত্বে এবং সদস্য স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বকশী মিছবাহ-উর রহমান,মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শামীম আহমদ, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সরোয়ার মজুমদার ইমন, বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আয়াছ আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মো. আব্দুল মুকিত বলেন, “আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য আওয়ামী লীগের দোসররা গভীর চক্রান্ত শুরু করেছে। নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবেই ওসমান হাদির ওপর পরিকল্পিতভাবে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। তবে ইনশাআল্লাহ, এসব চক্রান্ত সফল হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয়তাবাদী দলের সকল নেতাকর্মীকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করা যাবে না।”
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “একটি মহল যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায় না, তারাই ওসমান হাদির ওপর এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—যতই গুলি চালানো হোক, যতই বোমা হামলা করা হোক, বাংলাদেশের মানুষ এই নির্বাচনের জন্য ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করেছে।”
বক্তারা আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আর একদিনও অপেক্ষা করতে চায় না। তারা ১২ ফেব্রুয়ারি দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। চোরাগুপ্তা হামলা ও ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। সঠিক পথে আসুন, নির্বাচনের পথে আসুন এবং গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।”
সমাবেশ শেষে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।


















