ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়ন শাখার কর্মী সমাবেশ মহিম দে’র চেম্বার সদস্য পদ স্থগিত আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পরিবর্তন মৌলভীবাজারে চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার কোন আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই পালিত হবে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার চেম্বার অফ এন্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের ছাত্রকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত কুলাউড়ায় এইচএসসি উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা পর্যটন শিল্প বিকাশে শ্রীমঙ্গলে ‘খাসি কমিউনিটি ট্যুরিজম’ এর উদ্বোধন জুড়ী সীমান্তেে বিজিবি’র হাতে ৮ বাংলাদেশী আটক

যে গ্রামে বাস করেন মাত্র ৪ জন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২২০ বার পড়া হয়েছে

বিচিত্র দৃশ্যের অজানা গ্রামের সন্ধান মিলেছে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৮ নম্বর রাজীবপুর ইউনিয়নে গ্রামটির অবস্থান। গ্রামের নাম উমানাথপুর। অবাক করা ঘটনা এখানে বাস করেন মাত্র চারজন মানুষ। সবচেয়ে ছোট গ্রাম ও কম মানুষের বসবাস।

ব্যতিক্রমী এ গ্রামের অস্তিত্ব সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দাদের গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া জানেন না সিংহভাগ এলাকার মানুষ। বিচিত্র এ গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে ভূমি মানচিত্রেও। উমানাথপুর নামে রয়েছে আলাদা মৌজাও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২-১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজীবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উমানাথপুর গ্রাম।

গ্রামটিতে রয়েছে একটি মাত্র বাড়ি, যেখানে বসবাস করে একটিমাত্র পরিবার। বাড়িটি দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের (৭৫)।

মাত্র ২৫ শতক জমির ওপর নির্মিত এ বাড়িতে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, আছে একটি পুকুর ও একটি টয়লেট।

অন্যের জমির আইল দিয়ে এ বাড়িতে যেতে হয়। আর এ বাড়ি ঘিরেই গঠিত হয়েছে ‘উমানাথপুর’ গ্রাম। এ গ্রামের পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ। আশপাশে গ্রামের মধ্যে রয়েছে- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর এবং পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর গ্রাম।

সম্প্রতি এ গ্রামের একমাত্র বাড়ির কর্তা দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের ছেলে শরীফুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। এরপর এ গ্রামের কথা জানাজানি হয়।

পাশের রামগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক পারভেজ বলেন, একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রাম। কয়েক যুগ আগেই এ গ্রাম গড়ে উঠেছে। বাপ-দাদাদের আমল থেকেই আমরা এ গ্রামের অস্তিত্ব দেখে আসছি। জমির কাগজপত্রে এ গ্রামের অস্তিত্ব আছে।

এ বাড়িতে আসার একমাত্র রাস্তাটা সংস্কার করে প্রশস্ত করে দিলে বাড়িতে থাকা মানুষদের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি প্রশস্ত করার দাবি জানাই।

বাড়ির কর্তা সিরাজ সরকার (৭৫) বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলী সরকার ও তার পূর্বপুরুষরা এ বাড়িটি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ গ্রামের  জমির পরিমাণ হবে  ছয় থেকে সাত একর।

বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি পরিবার নিয়ে এ বাড়িতে বসবাস করে আসছি। বর্তমানে আমাদের পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা চারজন। এর মধ্যে নাতি ছাড়া আমি, আমার স্ত্রী ও এক পুত্রবধূ ভোটার। এ গ্রামের জেএল নম্বর ১১৬। তবে আমার বোনেরা বসবাস করেন বাড়ির পেছনে অন্য গ্রামে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, উমানাথপুর গ্রামটি আমাদের ঈশ্বরগঞ্জের সম্পদ। আমরা ইতোমধ্যে গ্রামটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। সরজমিন পরিদর্শন করে এই গ্রামের  যাতায়াত করার জন্য রাস্তা উপযোগী করা হবে। নেয়া হবে নতুন প্রকল্প।  দ্রুত সময়ের মাঝে রাস্তার উন্নয়নসহ সৌন্দর্যবর্ধনের  কাজ শুরু করবো।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

যে গ্রামে বাস করেন মাত্র ৪ জন

আপডেট সময় ০৩:৩৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

বিচিত্র দৃশ্যের অজানা গ্রামের সন্ধান মিলেছে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৮ নম্বর রাজীবপুর ইউনিয়নে গ্রামটির অবস্থান। গ্রামের নাম উমানাথপুর। অবাক করা ঘটনা এখানে বাস করেন মাত্র চারজন মানুষ। সবচেয়ে ছোট গ্রাম ও কম মানুষের বসবাস।

ব্যতিক্রমী এ গ্রামের অস্তিত্ব সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দাদের গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া জানেন না সিংহভাগ এলাকার মানুষ। বিচিত্র এ গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে ভূমি মানচিত্রেও। উমানাথপুর নামে রয়েছে আলাদা মৌজাও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২-১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজীবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উমানাথপুর গ্রাম।

গ্রামটিতে রয়েছে একটি মাত্র বাড়ি, যেখানে বসবাস করে একটিমাত্র পরিবার। বাড়িটি দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের (৭৫)।

মাত্র ২৫ শতক জমির ওপর নির্মিত এ বাড়িতে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, আছে একটি পুকুর ও একটি টয়লেট।

অন্যের জমির আইল দিয়ে এ বাড়িতে যেতে হয়। আর এ বাড়ি ঘিরেই গঠিত হয়েছে ‘উমানাথপুর’ গ্রাম। এ গ্রামের পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ। আশপাশে গ্রামের মধ্যে রয়েছে- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর এবং পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর গ্রাম।

সম্প্রতি এ গ্রামের একমাত্র বাড়ির কর্তা দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের ছেলে শরীফুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। এরপর এ গ্রামের কথা জানাজানি হয়।

পাশের রামগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক পারভেজ বলেন, একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রাম। কয়েক যুগ আগেই এ গ্রাম গড়ে উঠেছে। বাপ-দাদাদের আমল থেকেই আমরা এ গ্রামের অস্তিত্ব দেখে আসছি। জমির কাগজপত্রে এ গ্রামের অস্তিত্ব আছে।

এ বাড়িতে আসার একমাত্র রাস্তাটা সংস্কার করে প্রশস্ত করে দিলে বাড়িতে থাকা মানুষদের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি প্রশস্ত করার দাবি জানাই।

বাড়ির কর্তা সিরাজ সরকার (৭৫) বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলী সরকার ও তার পূর্বপুরুষরা এ বাড়িটি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ গ্রামের  জমির পরিমাণ হবে  ছয় থেকে সাত একর।

বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি পরিবার নিয়ে এ বাড়িতে বসবাস করে আসছি। বর্তমানে আমাদের পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা চারজন। এর মধ্যে নাতি ছাড়া আমি, আমার স্ত্রী ও এক পুত্রবধূ ভোটার। এ গ্রামের জেএল নম্বর ১১৬। তবে আমার বোনেরা বসবাস করেন বাড়ির পেছনে অন্য গ্রামে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, উমানাথপুর গ্রামটি আমাদের ঈশ্বরগঞ্জের সম্পদ। আমরা ইতোমধ্যে গ্রামটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। সরজমিন পরিদর্শন করে এই গ্রামের  যাতায়াত করার জন্য রাস্তা উপযোগী করা হবে। নেয়া হবে নতুন প্রকল্প।  দ্রুত সময়ের মাঝে রাস্তার উন্নয়নসহ সৌন্দর্যবর্ধনের  কাজ শুরু করবো।