ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাত পোহালেই জুড়ীর ফুলতলা ইউপিতে ভোট,প্রচার-প্রচারণা শেষ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  রাত পোহালেই (২৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন। চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে ভোটাররা ভোট দিয়ে তাদের পরবর্তী ৫ বছরের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।

এ ইউনিয়নের ১৩ হাজার ৩৫৬ জন ভোটার। তন্মধ্যে ৬ হাজার ৯৮৮ জন পুরুষ এবং ৫ হাজার ১৬৮ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন। এখানে ১১টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম পডদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ ও প্রশিক্ষণসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন। ১১ ডিসেম্বর প্রতীক পেয়েই জোর প্রচারণায় নামেন প্রার্থীরা

প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেটে ১১টি কেন্দ্রসহ ছয়-লাপ হয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন। মাইক যোগে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। ভোটারের মন আকৃষ্ট করতে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়েছেন। নানান কথার ফুলঝুরি ছিটিয়েছেন, দিয়ে হরেক রকম প্রতিশ্রুতি। মঙ্গলবার রাতে শেষ হয়েছে সব কিছুর অবসান। এখন ফলাফল ঘরে তোলার পালা। ইউনিয়নের সর্বত্র একই আলোচনা চা শ্রমিক অধ্যুষিত এ ইউনিয়নে কে হাসবেন শেষ হাসি? পুনর্বহাল না পরিবর্তন?

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ মাসুক। তিনি ইতোপূর্বে ৫ বার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান।জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ৫ বার নির্বাচিত হয়ে ২৬ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার ইউনিয়নে কোন চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি নেই। আমার ইউনিয়নের মানুষ বাড়ীর উঠোনে গরু রেখে শান্তিতে ঘুমায়। মানুষ এটাই চাই এবং এ জন্য মানুষ আবার আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম ফয়াজ আলীর পুত্র আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল আলীম শেলু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। দ্রুততম সময়ে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, উপযুক্ত ব্যক্তিকে ভাতার আওতাধীন করা, ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা নির্মাণ, গ্রাম আদালতে বিচার কার্য দ্রুত নিস্পত্তি করা এবং নাগরিক সেবায় আমূল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি ডিজিটাল ইউনিয়ন বিনির্মাণের লক্ষ্যে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন এ তরুণ প্রার্থী। পিতার তুমুল জনপ্রিয়তা ও নিজের ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগিয়ে তিনি নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দিবেন বলে আশাবাদী।

অপর প্রার্থী সাবেক দুই বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া। জাতীয় পার্টির এ নেতা আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ইতোপূর্বে এক বার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলেও তেমন সাড়া জাগাতে পারেননি। তবে এবার তিনি রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে। করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়াদের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সে হিসেবে জয়ের ব্যাপারে তিনি নির্ভার। নিজের পরিবারে স্বচ্ছলতার কারনে পিছু টান না থাকায় নির্বাচিত হয়ে সরকার প্রদত্ত সকল সুবিধা তিনি জনগণের কাছে পেঁছে দিতে চান।

সরেজমিনে ফুলতলা ইউনিয়ন পরিদর্শনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভোটারের সাথে কথা বলে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আব্দুল আলীম শেলু ও মোস্তফা মিয়া সমান তালে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। সে হিসেবে অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুক আহমদ। তিনটি চা বাগান অধ্যুষিত ও আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত এ ইউনিয়নে বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকা কালে মাসুক আহমদ এর কাছে আওয়ামী ঘারাণার লোকজন ছিলেন অবহেলিত। বিএনপি দলীয় দুই মেম্বারের উপর ইউনিয়নের সকল দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি এলাকায় না থেকে উপজেলা শহরের বাসায় থাকেন। লোকজন তাঁকে পায় না। কোন কাগজে দস্তখতের জন্য সেবা গ্রহীতাকে ৩-৫ শত টাকা খরচ করে জুড়ীতে গিয়ে দস্তখত আনতে হতো। এ রকম বিস্তর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী পরিবারসহ ইউনিয়নবাসীর। ফুলতলা চা বাগানের মধ্য দিয়ে নিজ স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে চা শ্রমিকদের সাথে তার বিরোধ দীর্ঘদিনের। পিতা মরহুম ফয়াজ আলী চেয়ারম্যানের তুমুল জনপ্রিয়তা আঁকড়ে ধরেছে তাঁর পুত্র আব্দুল আলীম শেলুকে। সাবেক চেয়ারম্যান ফয়াজ আলীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফুলতলা ইউনিয়নবাসী। নিন্দুকেরাও তাঁর প্রশংসা করেন।

জনপ্রিয় পিতার অনুসারীদের অনুরোধে প্রবাস ছেড়ে এসে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল আলীম শেলু। ভোটের রেস-এ তাঁর ঘোড়া বেশ এগিয়ে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

দুই বার ইউপি সদস্য থাকাবস্থায় ওয়ার্ডবাসীকে সেবা দিয়েছেন মোস্তফা মিয়া। সেবার পরিধি ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তৃত করতে চান তিনি। করোনার দুঃসময়ে কর্মহীন চা শ্রমিকসহ বস্তিবাসীর পাশে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। অর্থ ও খাদ্যসহ বিভিন্ন ভাবে মানুষকে সহযোগিতা দিয়েছেন বলে মানুষের মুখে শোনা যায়। এবং এ কারনে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। আনারস প্রতীকে তিনি শীর্ষে থাকলেও শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিকতার অপরাজনীতির শিকারে পিছিয়ে পড়তে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঘোড়ার গতি আরো বেড়ে যেতে পারে। ফুলতলার সাধারণ ভোটারের মধ্যে এক অজানা ভয় কাজ করছে। ফুলতলা ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের আগমন ও প্রচারণায় এখানকার মানুষের ভয়ের কারণ। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনী ফলাফল রদবদলের আশংকা করছেন ভোটারগণ। নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চায় ভোটাররা। সর্বোপরী ভোটারের মুখে মুখে একটি কথাই ফিরছে ‘টাকা’। জয়-পরাজয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখে টাকা। টাকার বদৌলতে শেষ পর্যন্ত ত্রিমুখী লড়াইয়ে যে কেহ বাজিমাত করতে পারেন।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জুড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাত পোহালেই জুড়ীর ফুলতলা ইউপিতে ভোট,প্রচার-প্রচারণা শেষ

আপডেট সময় ০২:২৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  রাত পোহালেই (২৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন। চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে ভোটাররা ভোট দিয়ে তাদের পরবর্তী ৫ বছরের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।

এ ইউনিয়নের ১৩ হাজার ৩৫৬ জন ভোটার। তন্মধ্যে ৬ হাজার ৯৮৮ জন পুরুষ এবং ৫ হাজার ১৬৮ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন। এখানে ১১টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম পডদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ ও প্রশিক্ষণসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন। ১১ ডিসেম্বর প্রতীক পেয়েই জোর প্রচারণায় নামেন প্রার্থীরা

প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেটে ১১টি কেন্দ্রসহ ছয়-লাপ হয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন। মাইক যোগে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। ভোটারের মন আকৃষ্ট করতে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়েছেন। নানান কথার ফুলঝুরি ছিটিয়েছেন, দিয়ে হরেক রকম প্রতিশ্রুতি। মঙ্গলবার রাতে শেষ হয়েছে সব কিছুর অবসান। এখন ফলাফল ঘরে তোলার পালা। ইউনিয়নের সর্বত্র একই আলোচনা চা শ্রমিক অধ্যুষিত এ ইউনিয়নে কে হাসবেন শেষ হাসি? পুনর্বহাল না পরিবর্তন?

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ মাসুক। তিনি ইতোপূর্বে ৫ বার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান।জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ৫ বার নির্বাচিত হয়ে ২৬ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার ইউনিয়নে কোন চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি নেই। আমার ইউনিয়নের মানুষ বাড়ীর উঠোনে গরু রেখে শান্তিতে ঘুমায়। মানুষ এটাই চাই এবং এ জন্য মানুষ আবার আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম ফয়াজ আলীর পুত্র আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল আলীম শেলু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। দ্রুততম সময়ে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, উপযুক্ত ব্যক্তিকে ভাতার আওতাধীন করা, ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা নির্মাণ, গ্রাম আদালতে বিচার কার্য দ্রুত নিস্পত্তি করা এবং নাগরিক সেবায় আমূল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি ডিজিটাল ইউনিয়ন বিনির্মাণের লক্ষ্যে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন এ তরুণ প্রার্থী। পিতার তুমুল জনপ্রিয়তা ও নিজের ব্যক্তিত্বকে কাজে লাগিয়ে তিনি নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দিবেন বলে আশাবাদী।

অপর প্রার্থী সাবেক দুই বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া। জাতীয় পার্টির এ নেতা আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ইতোপূর্বে এক বার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলেও তেমন সাড়া জাগাতে পারেননি। তবে এবার তিনি রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে। করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়াদের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সে হিসেবে জয়ের ব্যাপারে তিনি নির্ভার। নিজের পরিবারে স্বচ্ছলতার কারনে পিছু টান না থাকায় নির্বাচিত হয়ে সরকার প্রদত্ত সকল সুবিধা তিনি জনগণের কাছে পেঁছে দিতে চান।

সরেজমিনে ফুলতলা ইউনিয়ন পরিদর্শনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভোটারের সাথে কথা বলে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আব্দুল আলীম শেলু ও মোস্তফা মিয়া সমান তালে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। সে হিসেবে অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুক আহমদ। তিনটি চা বাগান অধ্যুষিত ও আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত এ ইউনিয়নে বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকা কালে মাসুক আহমদ এর কাছে আওয়ামী ঘারাণার লোকজন ছিলেন অবহেলিত। বিএনপি দলীয় দুই মেম্বারের উপর ইউনিয়নের সকল দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি এলাকায় না থেকে উপজেলা শহরের বাসায় থাকেন। লোকজন তাঁকে পায় না। কোন কাগজে দস্তখতের জন্য সেবা গ্রহীতাকে ৩-৫ শত টাকা খরচ করে জুড়ীতে গিয়ে দস্তখত আনতে হতো। এ রকম বিস্তর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী পরিবারসহ ইউনিয়নবাসীর। ফুলতলা চা বাগানের মধ্য দিয়ে নিজ স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে চা শ্রমিকদের সাথে তার বিরোধ দীর্ঘদিনের। পিতা মরহুম ফয়াজ আলী চেয়ারম্যানের তুমুল জনপ্রিয়তা আঁকড়ে ধরেছে তাঁর পুত্র আব্দুল আলীম শেলুকে। সাবেক চেয়ারম্যান ফয়াজ আলীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফুলতলা ইউনিয়নবাসী। নিন্দুকেরাও তাঁর প্রশংসা করেন।

জনপ্রিয় পিতার অনুসারীদের অনুরোধে প্রবাস ছেড়ে এসে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল আলীম শেলু। ভোটের রেস-এ তাঁর ঘোড়া বেশ এগিয়ে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

দুই বার ইউপি সদস্য থাকাবস্থায় ওয়ার্ডবাসীকে সেবা দিয়েছেন মোস্তফা মিয়া। সেবার পরিধি ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তৃত করতে চান তিনি। করোনার দুঃসময়ে কর্মহীন চা শ্রমিকসহ বস্তিবাসীর পাশে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। অর্থ ও খাদ্যসহ বিভিন্ন ভাবে মানুষকে সহযোগিতা দিয়েছেন বলে মানুষের মুখে শোনা যায়। এবং এ কারনে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। আনারস প্রতীকে তিনি শীর্ষে থাকলেও শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিকতার অপরাজনীতির শিকারে পিছিয়ে পড়তে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঘোড়ার গতি আরো বেড়ে যেতে পারে। ফুলতলার সাধারণ ভোটারের মধ্যে এক অজানা ভয় কাজ করছে। ফুলতলা ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের আগমন ও প্রচারণায় এখানকার মানুষের ভয়ের কারণ। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনী ফলাফল রদবদলের আশংকা করছেন ভোটারগণ। নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে চায় ভোটাররা। সর্বোপরী ভোটারের মুখে মুখে একটি কথাই ফিরছে ‘টাকা’। জয়-পরাজয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখে টাকা। টাকার বদৌলতে শেষ পর্যন্ত ত্রিমুখী লড়াইয়ে যে কেহ বাজিমাত করতে পারেন।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জুড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।