রিজেন্ট সাহেদ খালাস পেলেও জামিন পাচ্ছেন না
- আপডেট সময় ০৫:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
- / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
করোনা চিকিৎসায় প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম খালাস পেয়েছেন ।
সোমবার (২৭ মার্চ) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালত থেকে তিনি খালাস পান। তার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করেন সিলেটের জৈন্তাপুরের পাথর ব্যবসায়ী মাওলা স্টোন ক্রাশার মিলের স্বত্বাধিকারী শামসুল মাওলা। তবে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদের জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত ও যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে, তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
পরে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চেয়েছেন সাহেদ। ৭ জুন তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদেনে বছরের ১২ জুন তা স্থগিত করেন চেম্বার আদালত।
এদিকে, সোমবার (২৭ মার্চ) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালত থেকে খালাস পান রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ করিম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুরের পাথর ব্যবসায়ী মাওলা স্টোন ক্রাশার মিলের স্বত্বাধিকারী শামসুল মাওলা তার ব্যবসায়িক পাওনার বিপরীতে শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে ৩টি চেকের মামলা ও ১টি প্রতারণার মামলা অর্থাৎ মোট ৪টি মামলা দায়ের করেন। শাহেদ করিম উক্ত সকল মামলাতেই তার নিযুক্তীয় আইনজীবী মোঃ অহিদুর রহমান চৌধুরীর মাধ্যমে জামিন লাভ করেন এবং পরবর্তীতে বাদী শামসুল মাওলা ও তার আইনজীবীর সাথে নিযুক্তীয় আইনজীবী মাধ্যমে আলোচনাক্রমে ৪টি মামলাই আপোষনামার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
একই বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে।পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।