ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লন্ডনের সিভিক মেয়র নির্বাচিত হলেন মৌলভীবাজারের রহিমা রহমান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • / ৬৫৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ,নারী সংগঠক কাউন্সিলর রহিমা রহমান ২য় বারের মত লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশী বহুল বারা কাউন্সিল নিউহামের চেয়ার অব দ্যা কাউন্সিল (সিভিক মেয়র) নির্বাচিত হয়েছেন।  রহিমা রহমানই প্রথম কোন বাংলাদেশী যিনি এ বারার সিভিক মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার ২৩ মে নিউহাম কাউন্সিলের সভায় নির্বাচিত কাউন্সিলারদের প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ার অব দ্যা কাউন্সিল বা সিভিক মেয়র হিসেবে ২য় বারের মত নির্বাচিত হন রহিমা। রহিমা রহমান নিউহাম কাউন্সিলের পাচঁ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলার।

পুনরায় নির্বাচিত সিভিক মেয়র রহিমা রহমানের জন্ম মৌলভীবাজারে। তার বাবা মোঃ আবুল খয়ের হোসেন নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জের সন্তান। রহিমারা দুই ভাই ও তিন বোন।

রহিমা রহমানের স্বামী মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান জসীম নিউহাম কাউন্সিলের তিন বারের নির্বাচিত কাউন্সিলার।

কর্মসূত্রে বাবা বিলেত প্রবাসী থাকায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে  রহিমা রহমান ইংল্যান্ডে আসেন ১৯৮৭ সালে। রহিমার  শৈশব ও কৈশোর কেটেছে নিউহামেই। লিটল ইলফোর্ড স্কুল ও নিউহাম কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৯৩ সালে ইউএলএ থেকে বিজনেস এন্ড ফাইন্যান্সে ডিগ্রী পাস করেন। ২০০৮ সালে ব্রিকবেক ইউনিভার্সিটি থেকে পোষ্ট গ্রেজুয়েট ইন পলিট্রিক্স সম্পন্ন করেন। ২০০১ সালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার  উত্তর মোলাইম গ্রামের মুজিবুর রহমান জসিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

রহিমা রহমান তার বাবা হাফিজ হাজী আবুল খয়ের হোসেনের  অনুপ্রেরণায় ছোটবেলা থেকেই কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে রহিমান লেবার পার্টিতে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন।

বিলেতের মুল ধারার বিভিন্ন সংবাদপত্র ও মাই লন্ডন ম্যাগাজিনে লন্ডন ও নিউহাম শহরের উন্নয়নভাবনা নিয়ে গত দেড় দশক আগেই রহিমার বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।

রহিমার পরিবারের অন্য সদস্যরাও নিউহাম বারার পরিচিত মুখ।

নব্বইয়ের দশক থেকে রহিমা গ্রীন ষ্ট্রীট নেইবারহুডের জন্য কাজ করছেন। মা ও শিশুর জীবনমানের উন্নয়ন নিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে গত তিন দশক ধরে কাজ করা রহিমা ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতোন নিউহাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লন্ডনের সিভিক মেয়র নির্বাচিত হলেন মৌলভীবাজারের রহিমা রহমান

আপডেট সময় ০১:২৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ,নারী সংগঠক কাউন্সিলর রহিমা রহমান ২য় বারের মত লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশী বহুল বারা কাউন্সিল নিউহামের চেয়ার অব দ্যা কাউন্সিল (সিভিক মেয়র) নির্বাচিত হয়েছেন।  রহিমা রহমানই প্রথম কোন বাংলাদেশী যিনি এ বারার সিভিক মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার ২৩ মে নিউহাম কাউন্সিলের সভায় নির্বাচিত কাউন্সিলারদের প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ার অব দ্যা কাউন্সিল বা সিভিক মেয়র হিসেবে ২য় বারের মত নির্বাচিত হন রহিমা। রহিমা রহমান নিউহাম কাউন্সিলের পাচঁ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলার।

পুনরায় নির্বাচিত সিভিক মেয়র রহিমা রহমানের জন্ম মৌলভীবাজারে। তার বাবা মোঃ আবুল খয়ের হোসেন নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জের সন্তান। রহিমারা দুই ভাই ও তিন বোন।

রহিমা রহমানের স্বামী মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান জসীম নিউহাম কাউন্সিলের তিন বারের নির্বাচিত কাউন্সিলার।

কর্মসূত্রে বাবা বিলেত প্রবাসী থাকায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে  রহিমা রহমান ইংল্যান্ডে আসেন ১৯৮৭ সালে। রহিমার  শৈশব ও কৈশোর কেটেছে নিউহামেই। লিটল ইলফোর্ড স্কুল ও নিউহাম কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৯৩ সালে ইউএলএ থেকে বিজনেস এন্ড ফাইন্যান্সে ডিগ্রী পাস করেন। ২০০৮ সালে ব্রিকবেক ইউনিভার্সিটি থেকে পোষ্ট গ্রেজুয়েট ইন পলিট্রিক্স সম্পন্ন করেন। ২০০১ সালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার  উত্তর মোলাইম গ্রামের মুজিবুর রহমান জসিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

রহিমা রহমান তার বাবা হাফিজ হাজী আবুল খয়ের হোসেনের  অনুপ্রেরণায় ছোটবেলা থেকেই কমিউনিটির বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে রহিমান লেবার পার্টিতে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন।

বিলেতের মুল ধারার বিভিন্ন সংবাদপত্র ও মাই লন্ডন ম্যাগাজিনে লন্ডন ও নিউহাম শহরের উন্নয়নভাবনা নিয়ে গত দেড় দশক আগেই রহিমার বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।

রহিমার পরিবারের অন্য সদস্যরাও নিউহাম বারার পরিচিত মুখ।

নব্বইয়ের দশক থেকে রহিমা গ্রীন ষ্ট্রীট নেইবারহুডের জন্য কাজ করছেন। মা ও শিশুর জীবনমানের উন্নয়ন নিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে গত তিন দশক ধরে কাজ করা রহিমা ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতোন নিউহাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন।