ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত মৌলভীবাজারে আন্ত: কলেজ ফুটবল টূর্ণামেন্ট শুরু আল্লাহকে নিয়ে কটুক্তি ও কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি কমলগঞ্জে এক যাতায়াতের রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধিকতা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ তারুণ্যের উৎসব-২০২৫” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত তারেক রহমান দেশে ফিরছেন সংবাদ প্রকাশের পর দুর্গাপুরে আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে কথিত মানববন্ধন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির কামনায় সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি,আলোচনা সভা ও পুরষ্কার

লাউয়াছড়া জাতীয়  উদ্যানের আকর্ষন ‘সিংহ বানর’

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১১৩৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয়  উদ্যানের নানা প্রজাতির জীবজন্তুর মধ্যে একটি হলো সিংহ বানর বা উল্টোলেজি বানর। কেশরের জন্য এই বানরকে ‘সিংহ বানর’ আবার লেজ উল্টে থাকার কারণে এটিকে ‘উল্টোলেজি বানর’ বলা হয়।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের নানা প্রজাতির জীবজন্তুর মধ্যে এটি একটি আকর্ষনীয় প্রাণী। এই জাতের বানরকে উল্টোলেজি বানর বা ছোট লেজি বানর অথবা কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ বলা হয়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এ প্রজাতিকে ‘সঙ্কটাপন্ন’ বিবেচনা করে লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বাংলাদেশে ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে এরা সংরক্ষিত প্রাণী।

বানরের লেজ অন্যান্য লেজওয়ালা প্রাণীর ন্যায় নিচের দিকে নামানো থাকলেও উল্টোলেজি বানরের সোনালি রঙের লেজটি শুকরের ন্যায় ওপরের দিকে উল্টানো। একটু উঁচু হয়ে ঝুলে থাকে। তাদের গায়ের রং হালকা সোনালি থেকে বাদামি। তবে ওপরের অংশ জলপাই ও ধূসর আর নিচের দিক ধূসর সাদা। মাথার মাঝখানটা চ্যাপ্টা ও কালচে রঙের। বয়স্ক বানরের মাথায় কখনো কখনো সিংহের মতো কেশর দেখা যায়। ১৬২ থেকে ১৮৬ দিন পর স্ত্রী বানর একটি বাচ্চা দেয়। এদের গড় আয়ু ১০ থেকে ১২ বছর। এই প্রজাতির বানর গভীর সবুজ বনে বাস করে। এদের সচরাচর দেখা যায় না। এরা ফলমূল ও কচিপাতা খায়।
এই বানরকে ইংরেজিতে বলে Northern pig-tailed macaque।

কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ছাড়াও হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রেমা-কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে এই প্রজাতির বানর দেখা যায়। পুরুষ, স্ত্রী ও বাচ্চা মিলে ২০ থেকে ২৫টি বানর দল বেঁধে বাস করে।
ছোটলেজি বানর এরই মধ্যে চিরসবুজ বন ও খাদ্য সংকটের কারণে বিলুপ্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অতিসংকটাপন্ন উল্টোলেজি বানরের ছোট–বড় মিলিয়ে একটি দল এখানে বাস করছে। অতিবিপন্ন ও সংকটাপন্ন বলে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এদের প্রতি সতর্কতার সঙ্গে নজরদারি করছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাউয়াছড়া জাতীয়  উদ্যানের আকর্ষন ‘সিংহ বানর’

আপডেট সময় ০৩:২১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয়  উদ্যানের নানা প্রজাতির জীবজন্তুর মধ্যে একটি হলো সিংহ বানর বা উল্টোলেজি বানর। কেশরের জন্য এই বানরকে ‘সিংহ বানর’ আবার লেজ উল্টে থাকার কারণে এটিকে ‘উল্টোলেজি বানর’ বলা হয়।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের নানা প্রজাতির জীবজন্তুর মধ্যে এটি একটি আকর্ষনীয় প্রাণী। এই জাতের বানরকে উল্টোলেজি বানর বা ছোট লেজি বানর অথবা কেশরওয়ালা ‘সিংহ বানর’ বলা হয়। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এ প্রজাতিকে ‘সঙ্কটাপন্ন’ বিবেচনা করে লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বাংলাদেশে ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে এরা সংরক্ষিত প্রাণী।

বানরের লেজ অন্যান্য লেজওয়ালা প্রাণীর ন্যায় নিচের দিকে নামানো থাকলেও উল্টোলেজি বানরের সোনালি রঙের লেজটি শুকরের ন্যায় ওপরের দিকে উল্টানো। একটু উঁচু হয়ে ঝুলে থাকে। তাদের গায়ের রং হালকা সোনালি থেকে বাদামি। তবে ওপরের অংশ জলপাই ও ধূসর আর নিচের দিক ধূসর সাদা। মাথার মাঝখানটা চ্যাপ্টা ও কালচে রঙের। বয়স্ক বানরের মাথায় কখনো কখনো সিংহের মতো কেশর দেখা যায়। ১৬২ থেকে ১৮৬ দিন পর স্ত্রী বানর একটি বাচ্চা দেয়। এদের গড় আয়ু ১০ থেকে ১২ বছর। এই প্রজাতির বানর গভীর সবুজ বনে বাস করে। এদের সচরাচর দেখা যায় না। এরা ফলমূল ও কচিপাতা খায়।
এই বানরকে ইংরেজিতে বলে Northern pig-tailed macaque।

কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ছাড়াও হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রেমা-কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে এই প্রজাতির বানর দেখা যায়। পুরুষ, স্ত্রী ও বাচ্চা মিলে ২০ থেকে ২৫টি বানর দল বেঁধে বাস করে।
ছোটলেজি বানর এরই মধ্যে চিরসবুজ বন ও খাদ্য সংকটের কারণে বিলুপ্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অতিসংকটাপন্ন উল্টোলেজি বানরের ছোট–বড় মিলিয়ে একটি দল এখানে বাস করছে। অতিবিপন্ন ও সংকটাপন্ন বলে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এদের প্রতি সতর্কতার সঙ্গে নজরদারি করছে।