লাখাইয়ে নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও রাস্ট্রদ্রোহীর অভিযোগ শিক্ষক সমিতির।
- আপডেট সময় ০৪:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
- / ২৭৫ বার পড়া হয়েছে
এম এ ওয়াহেদঃ লাখাই উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসলাম খান এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও রাস্ট্র দ্রোহীর অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যপারে লাখাই উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের জান্নাতুন নাহার লিজা সহ উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ গত ২ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর বরাবর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসলাম খান এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও রাস্ট্র দ্রোহীতার অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ তিন আসন এর সাংসদ সদস্য এমপির সুপারিশ সহকারে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ এর দরখাস্ত সুত্রে জানা যায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসলাম খান জুলাই ২৩ সালে লাখাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে অশুভ আচরন, অসংলগ্নতা ব্যবহার,অফিসের শৃঙ্খলা সম্পুর্ন বিনষ্ট করা, এবং আসলাম খান কে প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে। আবেদন সুত্রে আরো জানা যায় আসলাম খান মাদকাসক্ত, রাস্তাঘাটে অসংলগ্ন চলাফেরা, অফিসে বসে ধুমপান, বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধানদের সাথে খারাপ আচরণ, উৎকোচ দাবী, একাডেমিক সুপার ভাইজার জান্নাতুন নাহার কে অফিস থেকে বের করে দেয়া ও থাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। দরখাস্ত সুত্রে আরো জানা যায় গত ৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কে কটুক্তি করলে উপস্থিত যুবলীগের কর্মীরা শুনতে পেয়ে আসলাম খান কে যুবলীগের কর্মীরা ঘেরাও করে মারমুখী প্রস্তুতি নিলে তাৎক্ষণিক আসলাম খান নিজেকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিচয় দিলে উপস্থিত যুবলীগের কর্মীরা আসলাম খান এর এই কটুক্তি করার বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতিতে অবহিত করলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির শিক্ষকবৃন্দের মাধ্যমে সমাধান করে দেয়া হয়। আসলাম খান এর আচরণে লাখাই উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিতে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ফলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় স্তিমিত হয়ে পরেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসলাম খান গত আগষ্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত অফিসে অনুপস্থিত কিন্তু অনুপস্থিত থাকার পরও নিয়মিত বেতন ভাতা ভোগ করে যাচ্ছেন। এ ব্যপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসলাম খান এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অফিসে না আসলেও আমি অনলাইনের মাধ্যমে অফিস করছি। অনলাইন অফিস করলে অফিসে আসতে হবে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, একজন সাংবাদিক হিসেবে জানা উচিৎ যে, বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ, অনলাইনের মাধ্যমে অফিস করার বিধান আছে,তাই অফিসে আসা জরুরি নয়। একটি সুত্র জানায় আগষ্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত আসলাম খান এর অফিসে হাজিরা নেই। এ ব্যপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আসলাম খান এর ব্যপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নিবেন। এ ব্যপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার জান্নাতুন নাহারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আসলাম খান অফিসে যোগদান করার পর থেকেই তিনি আমার সাথে অশুভ আচরণ ও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আসলাম খান এর বিষয়ে তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছি।