ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে রোপা আমন ধান কাটা শুরু,কৃষকের মুখে আনন্দের ছোঁয়া

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে
এম এ ওয়াহেদ:  লাখাই উপজেলা ধান, পাট,মাছ,রবিশস্য ও সরিষা ফুলের মধু আহরণ হিসেবে সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে খাল, বিল, হাওড় বেষ্টিত একটি উপজেলা। এ উপজেলায় উৎপাদিত ধান, সরিষা, গম, আলু,মাছ,ভুট্টা সহ বিভিন্ন ফসল কৃষকের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফসল বাজারজাত করে আর্থিক ভাবে লাভবান এখানকার কৃষক।
এ বছর আবহাওয়া ও পরিবেশগত ভাল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকদের আনন্দের সীমা নেই। বর্তমানে কৃষকগন আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করায় এখনই শুরু করেছে রোপা আমন ধান কাটা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য শীতে নতুন ধানের পিঠে তৈরির মহোৎসব। প্রত্যেক কৃষক কৃষাণীর মাঝে নানা রকম পিঠা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। প্রতিযোগিতা চলছে কে কার থেকে বেশী রকমের পিঠা তৈরীর করতে পারে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময় সময় বৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন ধানের ভাল ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সুত্রে জানা যায় এ বছর বন্যার পানির কারনে বোনা আমন ধান চাষাবাদ করতে না পারায় রোপা আমন ধান চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫২০ হেক্টর জমি এবং উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২৬০৪ মেঃ টন কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষাবাদ অর্জিত হয়েছে ৪৯০০ হেক্টর জমি যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৬৭১ মেঃ টন ধান।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান জানান পুরাতন জাতের ধান কৃষকদের কে চাষাবাদ না করার জন্য পরামর্শ দেয়ায় এ বছর কৃষকগন নতুন উদ্ভাবিত জাতের ব্রিধান ৮৭,৭৫,৪৯,৩৯ এবং নাবী জাতের ব্রিধান ২২,২৩ এবং বিনা ধান ১৭,২২,ও ৭ জাতের ধান চাষাবাদ করায় এবং আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার কৃষকগন আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করায় কৃষকেরা আগাম ধান কাটতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে আমার মাঠ কর্মীরা কৃষকদের পাশে থেকে নিয়মিত ভাবে পরামর্শ দেয়ার ফলে কৃষকের জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের কে পরামর্শ দেয়ার জন্য আমাদের কোন প্রকার ঘাটতি ছিল না। তিনি আরো জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষক বান্ধব সরকার তাই প্রতি বছর কৃষকদের কে বিনামূল্যে সার বীজ ও কীটনাশক এবং বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে আসছে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাখাইয়ে রোপা আমন ধান কাটা শুরু,কৃষকের মুখে আনন্দের ছোঁয়া

আপডেট সময় ০২:২৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
এম এ ওয়াহেদ:  লাখাই উপজেলা ধান, পাট,মাছ,রবিশস্য ও সরিষা ফুলের মধু আহরণ হিসেবে সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে খাল, বিল, হাওড় বেষ্টিত একটি উপজেলা। এ উপজেলায় উৎপাদিত ধান, সরিষা, গম, আলু,মাছ,ভুট্টা সহ বিভিন্ন ফসল কৃষকের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফসল বাজারজাত করে আর্থিক ভাবে লাভবান এখানকার কৃষক।
এ বছর আবহাওয়া ও পরিবেশগত ভাল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকদের আনন্দের সীমা নেই। বর্তমানে কৃষকগন আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করায় এখনই শুরু করেছে রোপা আমন ধান কাটা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য শীতে নতুন ধানের পিঠে তৈরির মহোৎসব। প্রত্যেক কৃষক কৃষাণীর মাঝে নানা রকম পিঠা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। প্রতিযোগিতা চলছে কে কার থেকে বেশী রকমের পিঠা তৈরীর করতে পারে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময় সময় বৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন ধানের ভাল ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সুত্রে জানা যায় এ বছর বন্যার পানির কারনে বোনা আমন ধান চাষাবাদ করতে না পারায় রোপা আমন ধান চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫২০ হেক্টর জমি এবং উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২৬০৪ মেঃ টন কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষাবাদ অর্জিত হয়েছে ৪৯০০ হেক্টর জমি যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৬৭১ মেঃ টন ধান।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান জানান পুরাতন জাতের ধান কৃষকদের কে চাষাবাদ না করার জন্য পরামর্শ দেয়ায় এ বছর কৃষকগন নতুন উদ্ভাবিত জাতের ব্রিধান ৮৭,৭৫,৪৯,৩৯ এবং নাবী জাতের ব্রিধান ২২,২৩ এবং বিনা ধান ১৭,২২,ও ৭ জাতের ধান চাষাবাদ করায় এবং আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার কৃষকগন আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করায় কৃষকেরা আগাম ধান কাটতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে আমার মাঠ কর্মীরা কৃষকদের পাশে থেকে নিয়মিত ভাবে পরামর্শ দেয়ার ফলে কৃষকের জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের কে পরামর্শ দেয়ার জন্য আমাদের কোন প্রকার ঘাটতি ছিল না। তিনি আরো জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষক বান্ধব সরকার তাই প্রতি বছর কৃষকদের কে বিনামূল্যে সার বীজ ও কীটনাশক এবং বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে আসছে।