লাখাইয়ে ১০ হাজার লোকের ভরসা একটি সাঁকো,জন ভোগান্তি চরমে
- আপডেট সময় ০২:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
- / ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
এম এ ওয়াহেদঃ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়ন প্রত্যন্ত এলাকা জোরে বেষ্টিত এই ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নটি ছোট ছোট গ্রাম এলাকায় নিয়ে গঠিত বুল্লা ইউনিয়ন। ভোটার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারের উপরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বুল্লা ইউনিয়নের মুকসুদপুর, ফরিদপুর ও বালি গ্রামটি অষ্ট্রগ্রাম উপজেলার সীমানায় অবস্থিত। মুকসুদপুর, ফরিদপুর ও বালি এই তিনটি গ্রামে বসবাস করে ১০ হাজার লোকের উপরে। এই গ্রামের জনসাধারণ, ছেলে মেয়ে ও শিক্ষার্থী সহ প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করে আসছে। হবিগঞ্জ জেলা সদরে, উপজেলা প্রশাসন, মাদনা বাজারে ও বেগুনাই উচ্চ বিদ্যালয়ে আসে হলে এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক মেম্বার নোয়াজ আলীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মকসুদ পুর, ফরিদপুর ও বালি এই তিন গ্রামের বসবাসরত প্রায় ১০ হাজার লোক এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। তিনি আরো জানান পুরো বছরের মাঝে ৯ মাসই সাঁকো দিয়ে চলাচল করে জনসাধারণ, ছাত্র ছাত্রীরা। এই তিন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি থেকে উত্তরোরণের এক মাত্র উপায় একটি ব্রীজ। এই বিষয় স্থানীয় মেম্বার সবুজ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে সে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মকসুপর, ফরিদপুর ও বালি এই তিন গ্রামের জনসাধারণের ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র এই সাঁকো তবে এই বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে উপজেলা সমন্বয় সভায় উত্তাপন করেছিলাম ঠিকই আগামী সমন্বয় সভায় এই বিষয়টি নিয়ে জোড়ালো ভাবে আবারও উত্থাপন করব। কারন আমার ইউনিয়নের এই তিনটি গ্রামের মানুষ চলাচলের জন্য নানা ভোগান্তির স্বীকার। এ বিষয়ে স্থানীয় এক শিক্ষক মনিরুল ইসলাম এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, এই তিন গ্রামের মানুষ চলাচলের একমাত্র ভরসা এই সাঁকো।
জনস্বার্থে ও জনগণের মঙ্গলের দিক চিন্তা করে জরুরী ভিত্তিতে তাদের এই ভোগান্তি লাঘব করা প্রয়োজন। এই বিষয়ে এলাকার জনসাধারণের দাবী জানিয়ে বলেন বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের জন ভোগান্তি থেকে উদ্ধার করার জন্য জোর দাবী জানান।