ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে  বিক্ষোভ সমাবেশ  চা-বাগানের মেধাবী ছাত্রী ইতি গৌড়কে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও আর্থিক পুরস্কার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে কলেজের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পানি,স্যালাইন ও মাস্ক বিতরণ ঢাকা ব্যাংক পিএলসি,মৌলভীবাজার শাখার উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ব্যাংকিং ক্যাম্পেইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে নারী আইনজীবী আটক  রাজনগর উপজেলা বিএনপির নির্বাচন সম্পন্ন সভাপতি সেলুন সাধারণ সম্পাদক আব্বাস বড়লেখায় মন্দিরে চুরির রহস্য উদঘাটন মৌলভীবাজার শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস আর প্লাজার মালিক আব্দুর রকিব আর নেই হযরত শাহ্ আজম রহ. দরগাহ্ শরীফের পীর ছাহেবের ৪তম মৃ ত্যু বার্ষিকী বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার অভিষেক অনুষ্ঠান পালিত

লাস নদীর ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রধান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৫২৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ লাস নদীর ইজারা বাতিল নিয়ে মানববন্ধন করেছেন ৫,৬,৭ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়ন এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন এর নিকট স্মরকলিপি প্রদান করা হয়।

 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুল কাদির রিপন এর সঞ্চালনা ও  শেখ আলী হায়দার জুনেল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আ,স,ম সালেহ সোহেল,আহ্বায়ক কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দলোন কমিটি,খসরু চৌধুরী, সদস্য সচিব ( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি),আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব,( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি) রাজিব সূত্রধর, সাধারণ সম্পাদক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা শাখা।রনি আহমদ মিজু ( লাস নদীর ইজারা বাতিল আন্দোলন এর অন্যতম সদস্য) প্রমুখ।

বক্তরা বলেন,মৌলভীবাজার সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের কৃষকবৃন্দ এবং একই সাথে কৃষকের-মৎস্যজীবীর স্বার্থে কাজ করা সংগঠন কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটিরও সদস্য। আমরা প্রতি বছর বোরো মৌসুমে উল্লেখিত লাস গাং এর উভয় পাড়ে প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর আবাদী বোরো জমি চাষাবাদ করে থাকি এবং এই নদীটি হচ্ছে আমাদের চাষাবাদের জন্য সেচের পানির একমাত্র উৎসস্থল। বর্ণিত অবস্থায় কৃষককূলের একমাত্র ভরসা বোরো ধানের উৎপাদন। বোরো ধানের উৎপাদন করতে হলে স্থানীয় লাস গাং (বদ্ধ) এর পানি ব্যবহার অনিবার্য এবং যুগ যুগ ধরে কৃষকেরা এই পানি ব্যবহার করেই ফসল উৎপাদন করছেন। কিন্তু বিগত সরকার কৃষক তথা স্থানীয় জনগণের কল্যাণ বিবেচনা না করেই একটি মৎস্যজীবি সমিতিকে লাস গাং ইজারা দেয় (কপি সংযুক্ত) এবং ইজারাদার ইজারা বিষয়ক নিয়মনীতি ভঙ্গ করে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে সাব-ইজারা দেয় এতে ইজারাদাররা প্রতি বছর লাস গাং সেচের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পানি শুকিয়ে রাখে এবং বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরে বিক্রি করে যার ফলে পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি কৃষকরা বোরো ধান রোপনের মৌসুমে সময়মত পানি না পাওয়ায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন। যার ফলে এ নিয়ে এলাকার জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হযেছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাস নদীর ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রধান

আপডেট সময় ০৩:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ লাস নদীর ইজারা বাতিল নিয়ে মানববন্ধন করেছেন ৫,৬,৭ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়ন এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন এর নিকট স্মরকলিপি প্রদান করা হয়।

 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুল কাদির রিপন এর সঞ্চালনা ও  শেখ আলী হায়দার জুনেল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আ,স,ম সালেহ সোহেল,আহ্বায়ক কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দলোন কমিটি,খসরু চৌধুরী, সদস্য সচিব ( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি),আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব,( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি) রাজিব সূত্রধর, সাধারণ সম্পাদক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা শাখা।রনি আহমদ মিজু ( লাস নদীর ইজারা বাতিল আন্দোলন এর অন্যতম সদস্য) প্রমুখ।

বক্তরা বলেন,মৌলভীবাজার সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের কৃষকবৃন্দ এবং একই সাথে কৃষকের-মৎস্যজীবীর স্বার্থে কাজ করা সংগঠন কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটিরও সদস্য। আমরা প্রতি বছর বোরো মৌসুমে উল্লেখিত লাস গাং এর উভয় পাড়ে প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর আবাদী বোরো জমি চাষাবাদ করে থাকি এবং এই নদীটি হচ্ছে আমাদের চাষাবাদের জন্য সেচের পানির একমাত্র উৎসস্থল। বর্ণিত অবস্থায় কৃষককূলের একমাত্র ভরসা বোরো ধানের উৎপাদন। বোরো ধানের উৎপাদন করতে হলে স্থানীয় লাস গাং (বদ্ধ) এর পানি ব্যবহার অনিবার্য এবং যুগ যুগ ধরে কৃষকেরা এই পানি ব্যবহার করেই ফসল উৎপাদন করছেন। কিন্তু বিগত সরকার কৃষক তথা স্থানীয় জনগণের কল্যাণ বিবেচনা না করেই একটি মৎস্যজীবি সমিতিকে লাস গাং ইজারা দেয় (কপি সংযুক্ত) এবং ইজারাদার ইজারা বিষয়ক নিয়মনীতি ভঙ্গ করে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে সাব-ইজারা দেয় এতে ইজারাদাররা প্রতি বছর লাস গাং সেচের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পানি শুকিয়ে রাখে এবং বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরে বিক্রি করে যার ফলে পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি কৃষকরা বোরো ধান রোপনের মৌসুমে সময়মত পানি না পাওয়ায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন। যার ফলে এ নিয়ে এলাকার জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হযেছে।