ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জাতীয় ইমাম সমিতি একাটুনা ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটি গঠিত শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা দল পুনর্গঠনে জেলা নেতাদের কঠোর বার্তা কোটচাঁদপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ পালন বিএনএসবি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ডা:ছাদিক আহমদ মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ী রুবেল হ/ত্যা/কা/ণ্ডে/র ঘটনায় মূল আসামি গ্রে/প্তা/র,আলামত উদ্ধার হাজীপুরে জব্দ করা ১৩ কোটি টাকার বালু প্রকাশ্য নিলাম স্থগিত জুড়ী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন সভাপতি রেজা, সম্পাদক মতিউর সিলেটে জিপিস্টার পার্টনারদের স্বীকৃতি দিলো গ্রামীণফোন বিএনপি যদি রাস্ট্র ক্ষমতায় যায় তাহলে আমরা এই পুলিশ কে বিএনপির পুলিশ বানাবো না – জি কে গউছ সিলেটে পাথর লু ট,প্রশাসনের বি রু দ্ধে শুরু হচ্ছে অ্যাকশন

লাস নদীর ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রধান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ লাস নদীর ইজারা বাতিল নিয়ে মানববন্ধন করেছেন ৫,৬,৭ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়ন এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন এর নিকট স্মরকলিপি প্রদান করা হয়।

 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুল কাদির রিপন এর সঞ্চালনা ও  শেখ আলী হায়দার জুনেল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আ,স,ম সালেহ সোহেল,আহ্বায়ক কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দলোন কমিটি,খসরু চৌধুরী, সদস্য সচিব ( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি),আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব,( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি) রাজিব সূত্রধর, সাধারণ সম্পাদক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা শাখা।রনি আহমদ মিজু ( লাস নদীর ইজারা বাতিল আন্দোলন এর অন্যতম সদস্য) প্রমুখ।

বক্তরা বলেন,মৌলভীবাজার সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের কৃষকবৃন্দ এবং একই সাথে কৃষকের-মৎস্যজীবীর স্বার্থে কাজ করা সংগঠন কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটিরও সদস্য। আমরা প্রতি বছর বোরো মৌসুমে উল্লেখিত লাস গাং এর উভয় পাড়ে প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর আবাদী বোরো জমি চাষাবাদ করে থাকি এবং এই নদীটি হচ্ছে আমাদের চাষাবাদের জন্য সেচের পানির একমাত্র উৎসস্থল। বর্ণিত অবস্থায় কৃষককূলের একমাত্র ভরসা বোরো ধানের উৎপাদন। বোরো ধানের উৎপাদন করতে হলে স্থানীয় লাস গাং (বদ্ধ) এর পানি ব্যবহার অনিবার্য এবং যুগ যুগ ধরে কৃষকেরা এই পানি ব্যবহার করেই ফসল উৎপাদন করছেন। কিন্তু বিগত সরকার কৃষক তথা স্থানীয় জনগণের কল্যাণ বিবেচনা না করেই একটি মৎস্যজীবি সমিতিকে লাস গাং ইজারা দেয় (কপি সংযুক্ত) এবং ইজারাদার ইজারা বিষয়ক নিয়মনীতি ভঙ্গ করে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে সাব-ইজারা দেয় এতে ইজারাদাররা প্রতি বছর লাস গাং সেচের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পানি শুকিয়ে রাখে এবং বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরে বিক্রি করে যার ফলে পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি কৃষকরা বোরো ধান রোপনের মৌসুমে সময়মত পানি না পাওয়ায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন। যার ফলে এ নিয়ে এলাকার জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হযেছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাস নদীর ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রধান

আপডেট সময় ০৩:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ লাস নদীর ইজারা বাতিল নিয়ে মানববন্ধন করেছেন ৫,৬,৭ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়ন এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন এর নিকট স্মরকলিপি প্রদান করা হয়।

 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুল কাদির রিপন এর সঞ্চালনা ও  শেখ আলী হায়দার জুনেল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আ,স,ম সালেহ সোহেল,আহ্বায়ক কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দলোন কমিটি,খসরু চৌধুরী, সদস্য সচিব ( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি),আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব,( কাওয়াদিঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি) রাজিব সূত্রধর, সাধারণ সম্পাদক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা শাখা।রনি আহমদ মিজু ( লাস নদীর ইজারা বাতিল আন্দোলন এর অন্যতম সদস্য) প্রমুখ।

বক্তরা বলেন,মৌলভীবাজার সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের কৃষকবৃন্দ এবং একই সাথে কৃষকের-মৎস্যজীবীর স্বার্থে কাজ করা সংগঠন কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটিরও সদস্য। আমরা প্রতি বছর বোরো মৌসুমে উল্লেখিত লাস গাং এর উভয় পাড়ে প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর আবাদী বোরো জমি চাষাবাদ করে থাকি এবং এই নদীটি হচ্ছে আমাদের চাষাবাদের জন্য সেচের পানির একমাত্র উৎসস্থল। বর্ণিত অবস্থায় কৃষককূলের একমাত্র ভরসা বোরো ধানের উৎপাদন। বোরো ধানের উৎপাদন করতে হলে স্থানীয় লাস গাং (বদ্ধ) এর পানি ব্যবহার অনিবার্য এবং যুগ যুগ ধরে কৃষকেরা এই পানি ব্যবহার করেই ফসল উৎপাদন করছেন। কিন্তু বিগত সরকার কৃষক তথা স্থানীয় জনগণের কল্যাণ বিবেচনা না করেই একটি মৎস্যজীবি সমিতিকে লাস গাং ইজারা দেয় (কপি সংযুক্ত) এবং ইজারাদার ইজারা বিষয়ক নিয়মনীতি ভঙ্গ করে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে সাব-ইজারা দেয় এতে ইজারাদাররা প্রতি বছর লাস গাং সেচের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পানি শুকিয়ে রাখে এবং বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরে বিক্রি করে যার ফলে পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। পাশাপাশি কৃষকরা বোরো ধান রোপনের মৌসুমে সময়মত পানি না পাওয়ায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন। যার ফলে এ নিয়ে এলাকার জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হযেছে।