ঢাকা ১১:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রোভার স্কাউটসহ পায়ে হেঁটে ১৫০ কি. মি. পথ পরিভ্রমণে – ৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় মৌলভীবাজারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন শহিদদের প্রতি মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের শ্রদ্ধা মৌলভীবাজারে রুপান্তরের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ভারতীয় সিগারেট জব্দ বিজয় দিবস উপলক্ষে মোদীর পোষ্ট,নেই বাংলাদেশের নাম নতুন যে ভিসা চালু করল যুক্তরাষ্ট্র চিতলীয়া প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন এর শীতবস্ত্র বিতরণ ভুয়া মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে প্রতারণার চেষ্টা, সতর্ক থাকার আহবান জেলা প্রশাসন শ্রীমঙ্গলে শিক্ষক সম্মাননা ও এস এস সি ৯৫ ব্যাচের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময়ে বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।১৯৭১ সালের এ দিনে হানাদার পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ওপর নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালায়।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হত্যা করে।চূড়ান্ত বিজয়ের মাহেদ্রক্ষণে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গণকবরে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর নিকটাত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।অনেকের দেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে, যা থেকে হত্যার পূর্বে তাদের নির্যাতন করা হয়েছিল— সে তথ্যও বের হয়ে আসে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা

আপডেট সময় ০৪:১৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময়ে বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।১৯৭১ সালের এ দিনে হানাদার পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ওপর নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালায়।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হত্যা করে।চূড়ান্ত বিজয়ের মাহেদ্রক্ষণে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গণকবরে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর নিকটাত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।অনেকের দেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে, যা থেকে হত্যার পূর্বে তাদের নির্যাতন করা হয়েছিল— সে তথ্যও বের হয়ে আসে।