ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মহাসড়ক সংস্কারসহ ৪’দফা দাবীতে মৌলভীবাজার মানববন্ধন খালেদা জিয়া-তারেক রহমান জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন সিলেটে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভাগ্য নির্ধারণ রোরবার মৌলভীবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া আমাদের মূল লক্ষ্য” — নাসের রহমান জুলাই সনদের বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত কমলগঞ্জে প্রয়াত বিএনপি নেতা খসরুর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল মৌলভীবাজারে বিস্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী

শিক্ষার্থীকে পেঠানোর অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১২১২ বার পড়া হয়েছে

বিণেষ  প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার পৌর শহরের কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আকাশ দাসকে চেয়ার দিয়ে পেঠানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের আব্দুস সাত্তার নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আকাশ দাস এর পিতা নিপেন্দ্র দাস মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আকাশ দাস, তার সহপাঠি ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আকাশ নবম শ্রেণীর কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয়ের বাথরুমে যায়। এসময় বাথরুমের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থী দুষ্টামী করছিল। আকাশ বাথরুম হতে বের হয়ে সহপাঠিদের কাছে আসে। তখন বিদ্যালয়ের কলেজ শাখার ইংরেজি প্রভাষক আব্দুস ছাত্তার প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আকাশকে বাড়ি মারেন। আকাশ দাস বাম হাত দিয়ে বাড়ি প্রতিহত করতে চাইলে কনুইয়ে আঘাত পায়। পরবর্তীতে তার সহপাঠিরা তাকে শহরের লাইফ লাইন হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এক্সরে করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে আকাশের সহপাঠিরা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই সাত্তার স্যার মারধর করেছেন।

আহত আকাশের পিতা নিপেন্দ্র দাস বলেন, আমার ছেলে অন্যায় করলে শিক্ষক শাসন করবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সাত্তার স্যার কোনো কারণ ছাড়া আমার ছেলেকে মারধর করেছেন। তার কুনই পেটে গেছে। তদন্তপূর্বক সুষ্ট বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, পাঠদান চলাকালীন সময়ে বাহিরে শিক্ষার্থীরা উচ্চস্বরে কথা বলছিল। কয়েক বার সরে যাওয়ার কথা বললেও তারা সরে যায়নি। এক পর্যায়ে ধমক দিলে হয়তোবা আকাশ দাস কোথাও আঘাত পেয়েছে। তবে আমি তাকে মারধর করিনি।

পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজর সহকারী শিক্ষক লক্ষী কান্ত দেব বলেন, আকাশকে শিক্ষক মারেননি। সে বাথরুমে পড়ে আঘাত পেয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখেছি। কি ঘটেছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীকে পেঠানোর অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৩১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

বিণেষ  প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার পৌর শহরের কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আকাশ দাসকে চেয়ার দিয়ে পেঠানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের আব্দুস সাত্তার নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আকাশ দাস এর পিতা নিপেন্দ্র দাস মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আকাশ দাস, তার সহপাঠি ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আকাশ নবম শ্রেণীর কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয়ের বাথরুমে যায়। এসময় বাথরুমের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থী দুষ্টামী করছিল। আকাশ বাথরুম হতে বের হয়ে সহপাঠিদের কাছে আসে। তখন বিদ্যালয়ের কলেজ শাখার ইংরেজি প্রভাষক আব্দুস ছাত্তার প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আকাশকে বাড়ি মারেন। আকাশ দাস বাম হাত দিয়ে বাড়ি প্রতিহত করতে চাইলে কনুইয়ে আঘাত পায়। পরবর্তীতে তার সহপাঠিরা তাকে শহরের লাইফ লাইন হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এক্সরে করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে আকাশের সহপাঠিরা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই সাত্তার স্যার মারধর করেছেন।

আহত আকাশের পিতা নিপেন্দ্র দাস বলেন, আমার ছেলে অন্যায় করলে শিক্ষক শাসন করবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সাত্তার স্যার কোনো কারণ ছাড়া আমার ছেলেকে মারধর করেছেন। তার কুনই পেটে গেছে। তদন্তপূর্বক সুষ্ট বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, পাঠদান চলাকালীন সময়ে বাহিরে শিক্ষার্থীরা উচ্চস্বরে কথা বলছিল। কয়েক বার সরে যাওয়ার কথা বললেও তারা সরে যায়নি। এক পর্যায়ে ধমক দিলে হয়তোবা আকাশ দাস কোথাও আঘাত পেয়েছে। তবে আমি তাকে মারধর করিনি।

পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজর সহকারী শিক্ষক লক্ষী কান্ত দেব বলেন, আকাশকে শিক্ষক মারেননি। সে বাথরুমে পড়ে আঘাত পেয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখেছি। কি ঘটেছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।