ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় মৌলভীবাজারে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কোরবানির হাট হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) পৌর ঈদগাহে ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে তারেক জিয়া পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মান্না, সদস্য সচিব শাকিব নির্বাচিত হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ছি ন তা ই য়ে র নাটক ছি ন তা ই কৃ ত টাকাসহ গ্রে ফ তা র -২  কমলগঞ্জে ডা/কা/তি/র রহস্য উদঘাটন, ডা/কা/ত দলের ৩ সদস্য গ্রে/ফ/তা/র কোটচাঁদপুরে, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত ঈদুল আযহা ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সুশীল সমাজ, সাংবাদিকদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় বিআরটিএ’র অভিযানে মৌলভীবাজারে জরিমানা

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সাড়া দিয়েছে সরকার 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ১১৩ বার পড়া হয়েছে

টানা তিন দিনের আন্দোলনের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সাড়া দিয়েছে সরকার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়েছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, “সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন বাজেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবিটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আবাসন সংকট নিরসনে দ্রুত অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এছাড়া দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।”

শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং চলমান প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এ তিন দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি দল ইউজিসিতে গিয়ে আলোচনায় অংশ নেয়। তবে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় তারা ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

গত বুধবার (১৪ মে) শিক্ষার্থীরা লং মার্চ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এরপর থেকেই আন্দোলন আরও জোরালো ও গণসংযোগভিত্তিক রূপ নেয়।

দাবি আদায়ের ঘোষণার পর আন্দোলনস্থলে স্বস্তি ফিরে আসে।

শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন তারা।

একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, “এটি আমাদের আন্দোলনের প্রাথমিক সাফল্য। তবে আমরা চাই দ্রুততম সময়ে ঘোষণা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হোক, বিশেষ করে আবাসন সমস্যার সমাধান এবং বাজেট বরাদ্দের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হোক।”

উল্লেখ্য, রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনের অভাব দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই সংকট শিক্ষার্থীদের জীবনমান ও শিক্ষার মানে প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবারের আন্দোলন ছিল সেই সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের একটি ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সাড়া দিয়েছে সরকার 

আপডেট সময় ০৯:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

টানা তিন দিনের আন্দোলনের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সাড়া দিয়েছে সরকার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়েছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, “সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন বাজেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবিটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আবাসন সংকট নিরসনে দ্রুত অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এছাড়া দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।”

শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং চলমান প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এ তিন দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি দল ইউজিসিতে গিয়ে আলোচনায় অংশ নেয়। তবে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় তারা ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

গত বুধবার (১৪ মে) শিক্ষার্থীরা লং মার্চ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এরপর থেকেই আন্দোলন আরও জোরালো ও গণসংযোগভিত্তিক রূপ নেয়।

দাবি আদায়ের ঘোষণার পর আন্দোলনস্থলে স্বস্তি ফিরে আসে।

শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন তারা।

একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, “এটি আমাদের আন্দোলনের প্রাথমিক সাফল্য। তবে আমরা চাই দ্রুততম সময়ে ঘোষণা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হোক, বিশেষ করে আবাসন সমস্যার সমাধান এবং বাজেট বরাদ্দের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হোক।”

উল্লেখ্য, রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনের অভাব দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই সংকট শিক্ষার্থীদের জীবনমান ও শিক্ষার মানে প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবারের আন্দোলন ছিল সেই সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের একটি ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস।