ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগকে কোমায় রেখে গেছেন.. সাবেক এমপি নাসের রহমান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫০৩ বার পড়া হয়েছে

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পতিত ‘স্বৈরাচারীনির দোসর যারা গর্তের মধ্যে ঢুকে আছে তারা যেন আর মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে ‘সেদিকে খেয়াল রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।

নাসের রহমান বলেন-মৌলভীবাজার জেলা পরিষদে কোন আওয়ামী লীগ আসতে পারবে না। যদি আসে দলীয় নেতাকর্মীদের জবাবদিহি করতে হবে। পৌরসভাও বাতিল হবে। দুইনম্বরি করে, ভুয়া চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপি যেগুলি হয়েছে হাসিনা এগুলির আর কোনো স্থান নাই।

 

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য নাসের রহমান আরও বলেন-স্বৈরাচারীনির ওইসকল দোসররা যদি কোন রকমের দু: সাহস দেখায় তাহলে ছাত্র -জনতার হাতে মাইরের উপর কোনো ঔষধ নাই। কথাটা সবার খেয়াল থাকে যেনো।

 

তিনি বলেন- যদি কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ইমার্জেন্সি আমরা রাস্তায় নেমে যাবো। আমার নির্দেশনার জন্য যাতে কেউ বসে থাকে না। এবং সারা বাংলাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে যেনো কোনো আওয়ামী মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এরার খবর যদি পাওয়া যায় কোথাও লুকিয়ে আছে এ খবর দেয়া সকলের ঈমানি দায়িত্ব। এবং স্বৈরাচারীনির এসকল দোসরদের ধরার ছাত্র জনতার ঈমানী দায়িত্ব। বিগত সাড়ে ১৫ বছর অনেক নির্যাতন জুলুমের শিকার হয়েছো।

নাসের রহমান বলেন- ওই ডাইনি রাজত্ব কায়েম করেছে সাড়ে পনেরো বছর। সে ছিল শো। রাজত্ব করেছে ভারত। এই সাড়ে পনেরো বছর বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেয়নি। পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনী করে মিছিল মিটিং করতে দেয়নি। বিএনপি কে শেষ করার জন্য এই হাসিনা এবং ভারত সব অপচেষ্ঠা চালিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন কম হয়নি। এমনকি আমাদের দলের দেশনেত্রী কে জেলে রেখেও কিছুই করতে পারেনি। আজ ছাত্র -জনতা মিলে স্বৈরাচারীনিকে রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে দেশ ছাড়িয়েছে। ৪ আগস্ট পর্যন্ত হাসিনা এবং ভারত কি না অপচেষ্টা করেছে। তবুও বিএনপি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। আজ হাসিনা ইতিহাস হয়ে গেছে। তার দল ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ কোমায় আছে। পুরোপুরি মৃত্যু না হলেও কোমার ভিতরে আছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে পৌর মুক্তাঙ্গনে ছাত্র -জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনী হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে গত বুধবার থেকে চলমান কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনেরমতো মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অবস্থান কর্মসুচীতে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুকের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.ফখরুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা আশিক মোসাররফ,সহ সভাপতি মো.হেলু মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষক দলের আহবায়ক শামীম আহমেদ,সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার মজুমদার ইমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমেদ চৌধুরী মামনুন, জেলা যুবদল নেতা সিরাজুল ইসলাম পিরুন,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান সোহান,জেলা মহিলা দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুত্র ধর প্রমূখ।

এদিন সকাল থেকে সারাদিন শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ও তার দোসরদের বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে অবস্থান কর্মসুচী পালন করে।
নাসের রহমান আরো বলেন-৫ আগস্ট দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্থানের কাছ থেকে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ সাল থেকে দেশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সাড়ে ১৫ বছর শেখ হাসিনা ছিলো কেবল ননীর পতুল। সবই চালাত ভারত। আমরা ছিলাম ভারতের করদ রাজ্য। ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরুতে ভারত ৩শ বাহিনী পাঠিয়ে হাজারেরও অধিক মানুষ হত্যা করে। স্নাইপার দিয়ে ছাত্র,জনতা ও শিশু খুন করে। এর আগেও তাদের অবস্থান ছিলো বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সবকিছুই ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার এখন সবকিছু ঠিকঠাক করবেন।

তিনি আরও বলেন ডাইনির রাজত্বের সাড়ে ১৫ বছর পাড় হলো। ওই সময়ে নানা জুলুম আর নির্যাতন করে ওরা বিএনপির কিছুই করতে পারেনি। এইতো কিছু দিন আগেও বিএনপি ও জামায়াতকে জেলে ডুকিয়েছে। খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দকে জেলে দিয়ে মনে করেছিলো বিএনপিকে শেষ করে দিবে। কিন্তু তা কি সম্ভব হয়েছে? হাসিনা মনে করেছিলো বিএনপি চিরতরে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু হাসিনা নিজে নিজেকেই শেষ করে দিলেন। আর আওয়ামীলীগকেও কোমায় রেখে গেলেন। তার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সব মামলা তৈরি করেছে ও রায় লিখে দিয়েছে। আর আদলতের বিচারক শুধু রায় পড়ে শোনিয়েছেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগকে কোমায় রেখে গেছেন.. সাবেক এমপি নাসের রহমান

আপডেট সময় ০৯:২৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পতিত ‘স্বৈরাচারীনির দোসর যারা গর্তের মধ্যে ঢুকে আছে তারা যেন আর মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে ‘সেদিকে খেয়াল রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।

নাসের রহমান বলেন-মৌলভীবাজার জেলা পরিষদে কোন আওয়ামী লীগ আসতে পারবে না। যদি আসে দলীয় নেতাকর্মীদের জবাবদিহি করতে হবে। পৌরসভাও বাতিল হবে। দুইনম্বরি করে, ভুয়া চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপি যেগুলি হয়েছে হাসিনা এগুলির আর কোনো স্থান নাই।

 

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য নাসের রহমান আরও বলেন-স্বৈরাচারীনির ওইসকল দোসররা যদি কোন রকমের দু: সাহস দেখায় তাহলে ছাত্র -জনতার হাতে মাইরের উপর কোনো ঔষধ নাই। কথাটা সবার খেয়াল থাকে যেনো।

 

তিনি বলেন- যদি কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ইমার্জেন্সি আমরা রাস্তায় নেমে যাবো। আমার নির্দেশনার জন্য যাতে কেউ বসে থাকে না। এবং সারা বাংলাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে যেনো কোনো আওয়ামী মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এরার খবর যদি পাওয়া যায় কোথাও লুকিয়ে আছে এ খবর দেয়া সকলের ঈমানি দায়িত্ব। এবং স্বৈরাচারীনির এসকল দোসরদের ধরার ছাত্র জনতার ঈমানী দায়িত্ব। বিগত সাড়ে ১৫ বছর অনেক নির্যাতন জুলুমের শিকার হয়েছো।

নাসের রহমান বলেন- ওই ডাইনি রাজত্ব কায়েম করেছে সাড়ে পনেরো বছর। সে ছিল শো। রাজত্ব করেছে ভারত। এই সাড়ে পনেরো বছর বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেয়নি। পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনী করে মিছিল মিটিং করতে দেয়নি। বিএনপি কে শেষ করার জন্য এই হাসিনা এবং ভারত সব অপচেষ্ঠা চালিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন কম হয়নি। এমনকি আমাদের দলের দেশনেত্রী কে জেলে রেখেও কিছুই করতে পারেনি। আজ ছাত্র -জনতা মিলে স্বৈরাচারীনিকে রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে দেশ ছাড়িয়েছে। ৪ আগস্ট পর্যন্ত হাসিনা এবং ভারত কি না অপচেষ্টা করেছে। তবুও বিএনপি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। আজ হাসিনা ইতিহাস হয়ে গেছে। তার দল ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ কোমায় আছে। পুরোপুরি মৃত্যু না হলেও কোমার ভিতরে আছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে পৌর মুক্তাঙ্গনে ছাত্র -জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনী হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে গত বুধবার থেকে চলমান কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনেরমতো মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অবস্থান কর্মসুচীতে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুকের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.ফখরুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা আশিক মোসাররফ,সহ সভাপতি মো.হেলু মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষক দলের আহবায়ক শামীম আহমেদ,সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার মজুমদার ইমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমেদ চৌধুরী মামনুন, জেলা যুবদল নেতা সিরাজুল ইসলাম পিরুন,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান সোহান,জেলা মহিলা দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুত্র ধর প্রমূখ।

এদিন সকাল থেকে সারাদিন শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ও তার দোসরদের বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে অবস্থান কর্মসুচী পালন করে।
নাসের রহমান আরো বলেন-৫ আগস্ট দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্থানের কাছ থেকে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ সাল থেকে দেশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সাড়ে ১৫ বছর শেখ হাসিনা ছিলো কেবল ননীর পতুল। সবই চালাত ভারত। আমরা ছিলাম ভারতের করদ রাজ্য। ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরুতে ভারত ৩শ বাহিনী পাঠিয়ে হাজারেরও অধিক মানুষ হত্যা করে। স্নাইপার দিয়ে ছাত্র,জনতা ও শিশু খুন করে। এর আগেও তাদের অবস্থান ছিলো বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সবকিছুই ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার এখন সবকিছু ঠিকঠাক করবেন।

তিনি আরও বলেন ডাইনির রাজত্বের সাড়ে ১৫ বছর পাড় হলো। ওই সময়ে নানা জুলুম আর নির্যাতন করে ওরা বিএনপির কিছুই করতে পারেনি। এইতো কিছু দিন আগেও বিএনপি ও জামায়াতকে জেলে ডুকিয়েছে। খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দকে জেলে দিয়ে মনে করেছিলো বিএনপিকে শেষ করে দিবে। কিন্তু তা কি সম্ভব হয়েছে? হাসিনা মনে করেছিলো বিএনপি চিরতরে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু হাসিনা নিজে নিজেকেই শেষ করে দিলেন। আর আওয়ামীলীগকেও কোমায় রেখে গেলেন। তার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সব মামলা তৈরি করেছে ও রায় লিখে দিয়েছে। আর আদলতের বিচারক শুধু রায় পড়ে শোনিয়েছেন।