ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে সমাবেশ সফল করতে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
সরকার পতনের একদফা দাবিতে তারুণ্যের রোডমার্চকে ঘিরে মৌলভীবাজারে ফের চাঙ্গা বিএনপির তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতিবারের ভৈরব থেকে সিলেট অভিমুখে যাবার পথে শেরপুরের সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে সাবেক পৌর মেয়র ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুনের বাসভবনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিএনপির নেতারা জানান, সরকার পতনের এক দফা দাবির রোড মার্চটি আগে ছিল তারুণ্যের রোড মার্চ। এখন সেটা বিএনপির রোডমার্চে পরিণত হয়েছে। আর এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নিবেন।
বিশেষ করে যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী এ রোডমার্চকে সফল করতে সক্রিয় ভুমিকায় রয়েছেন। যৌথ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন – মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, সহ সভাপতি আশিক মোশাররফ, সহ সভাপতি মো. হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ফয়সল আহমদ, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসী মিছবাহুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি ও জেলা যুবদলের সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা জাকির হোসেন উজ্জ্বল, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো.ইদ্রিস আলী,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জিএমএ মুক্তাদির রাজু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত, জেলা ওলামাদলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হেকিম, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা আব্দুর রহিম,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান,সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হক রিপন,মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জনি আহমেদ, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউর রহমান,খলিল পুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক এমদাদ মাহমুদ সিরাজ,সদস্য সচিব আতাউর রহমান আতা,মনুমুখ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান,কামাল পুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব বদরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির যোগাযোগ সম্পাদক কাজল মাহমুদসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন জানান,তারুণ্যের রোডমার্চ ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠছে। পাশাপাশি সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের চুড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। শেরপুরের সমাবেশকে সফল করার জন্য এরই মধ্যে জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রচার প্রচারনা মাইকিং জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
ময়ুন বলেন – আশা করছি শেরপুরের সমাবেশ বড় সমাবেশে পরিণত হবে। কারণ এ আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন- সরকারকে আরেকটু ধাক্কা দিলেই তারা পড়ে যাবে। তাদের পতন টা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তারুন্যের রোড মার্চে দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষকে সফল করার আহবান জানিয়ে নাসের রহমান বলেন- আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার চুরি করেছে। ২০১৪ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০১৮ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু জনগণ এবার আর ভোট চুরি করতে দেবে না। গোটা বিশ্ব এখন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। নাসের রহমান আরো বলেন, ভোটের অধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র মুক্তির যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে হেরে গেলে বিএনপির খুব বেশি ক্ষতি হবে না। এই যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। এই যুদ্ধে হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শেরপুরে সমাবেশ সফল করতে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ১২:২৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সরকার পতনের একদফা দাবিতে তারুণ্যের রোডমার্চকে ঘিরে মৌলভীবাজারে ফের চাঙ্গা বিএনপির তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতিবারের ভৈরব থেকে সিলেট অভিমুখে যাবার পথে শেরপুরের সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে সাবেক পৌর মেয়র ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুনের বাসভবনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিএনপির নেতারা জানান, সরকার পতনের এক দফা দাবির রোড মার্চটি আগে ছিল তারুণ্যের রোড মার্চ। এখন সেটা বিএনপির রোডমার্চে পরিণত হয়েছে। আর এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নিবেন।
বিশেষ করে যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী এ রোডমার্চকে সফল করতে সক্রিয় ভুমিকায় রয়েছেন। যৌথ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন – মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, সহ সভাপতি আশিক মোশাররফ, সহ সভাপতি মো. হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ফয়সল আহমদ, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসী মিছবাহুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি ও জেলা যুবদলের সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা জাকির হোসেন উজ্জ্বল, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো.ইদ্রিস আলী,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জিএমএ মুক্তাদির রাজু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত, জেলা ওলামাদলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হেকিম, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা আব্দুর রহিম,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান,সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হক রিপন,মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জনি আহমেদ, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউর রহমান,খলিল পুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক এমদাদ মাহমুদ সিরাজ,সদস্য সচিব আতাউর রহমান আতা,মনুমুখ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান,কামাল পুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব বদরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির যোগাযোগ সম্পাদক কাজল মাহমুদসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন জানান,তারুণ্যের রোডমার্চ ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠছে। পাশাপাশি সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের চুড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। শেরপুরের সমাবেশকে সফল করার জন্য এরই মধ্যে জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রচার প্রচারনা মাইকিং জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
ময়ুন বলেন – আশা করছি শেরপুরের সমাবেশ বড় সমাবেশে পরিণত হবে। কারণ এ আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন- সরকারকে আরেকটু ধাক্কা দিলেই তারা পড়ে যাবে। তাদের পতন টা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তারুন্যের রোড মার্চে দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষকে সফল করার আহবান জানিয়ে নাসের রহমান বলেন- আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার চুরি করেছে। ২০১৪ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০১৮ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু জনগণ এবার আর ভোট চুরি করতে দেবে না। গোটা বিশ্ব এখন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। নাসের রহমান আরো বলেন, ভোটের অধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র মুক্তির যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে হেরে গেলে বিএনপির খুব বেশি ক্ষতি হবে না। এই যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। এই যুদ্ধে হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ।