ঢাকা ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে দুর্লভ প্রজাতির ক্যান্টরের কুকরি উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুলর্ভ প্রজাতির ক্যান্টরের কুকরি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৯ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গলের নওয়াগাঁও গ্রামের দেবপাড়া বিশ্ব বণিক এর মোদির দোকান থেকে দুর্লভ প্রজাতির সাপটিকে উদ্ধার করেন শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। সকালে বিশ বনিকের দোকান ঘরে সাপটিকে দেখে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে খবর দেওয়া হয়।

পরে বন বিভাগের সদস্যদের নিয়ে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল সাপটিকে উদ্ধার করেন।

জাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ডাঃ মনিরুল এইচ খান,ডাঃ কামরুল হাসান ও আদনান আজাদ নিশ্চিত করেন জানান, সাপটি দুলর্ভ প্রজাতির ক্যান্টরের কুকরি (এর বাংলা নাম এখনো জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, সাপটি নিশাচর প্রাণী এরা বেশিরভাগ সময় মাটির নিচেই থাকে। সম্ভবত মাটির নিচে কেঁচো ও লার্ভা পিঁপড়ার ডিম ও উইপোকার ডিম খেয়ে জীবন ধারণ করে। নরম মাটি পেলে মাটি খুঁড়ে ভেতরে চলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। মাটির ভেতরে থাকার জন্য রোসট্রাল স্কেল ব্যবহার করে সাপটি। রোসট্রাল স্কেল হলো সাপের মুখের সম্মুখভাগে অবস্থিত অঙ্গবিশেষ।

উদ্ধার করা সাপটির সাইজ ৯০-১১০ সেন্টিমিটারের। বর্তমানে সাপটি বলবিভাগের তত্বাবধানে রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীমঙ্গলে দুর্লভ প্রজাতির ক্যান্টরের কুকরি উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:৪১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুলর্ভ প্রজাতির ক্যান্টরের কুকরি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৯ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গলের নওয়াগাঁও গ্রামের দেবপাড়া বিশ্ব বণিক এর মোদির দোকান থেকে দুর্লভ প্রজাতির সাপটিকে উদ্ধার করেন শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। সকালে বিশ বনিকের দোকান ঘরে সাপটিকে দেখে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে খবর দেওয়া হয়।

পরে বন বিভাগের সদস্যদের নিয়ে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল সাপটিকে উদ্ধার করেন।

জাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ডাঃ মনিরুল এইচ খান,ডাঃ কামরুল হাসান ও আদনান আজাদ নিশ্চিত করেন জানান, সাপটি দুলর্ভ প্রজাতির ক্যান্টরের কুকরি (এর বাংলা নাম এখনো জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, সাপটি নিশাচর প্রাণী এরা বেশিরভাগ সময় মাটির নিচেই থাকে। সম্ভবত মাটির নিচে কেঁচো ও লার্ভা পিঁপড়ার ডিম ও উইপোকার ডিম খেয়ে জীবন ধারণ করে। নরম মাটি পেলে মাটি খুঁড়ে ভেতরে চলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। মাটির ভেতরে থাকার জন্য রোসট্রাল স্কেল ব্যবহার করে সাপটি। রোসট্রাল স্কেল হলো সাপের মুখের সম্মুখভাগে অবস্থিত অঙ্গবিশেষ।

উদ্ধার করা সাপটির সাইজ ৯০-১১০ সেন্টিমিটারের। বর্তমানে সাপটি বলবিভাগের তত্বাবধানে রয়েছে।