শ্রীমঙ্গলে প্রথমবারের মতো হাইব্রিড জাতের গোল্ডেন ওয়ান চিকন ধানের বাম্পার ফলন
- আপডেট সময় ০৬:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
- / ৫১৮ বার পড়া হয়েছে
এম.মুসলিম চৌধুরীঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরে দৌলত মিয়া নামের এক কৃষক তার ৪ কেয়ার জমিতে প্রথমবারের মতো লাল তীরের হাইব্রিড জাতের চিকন ধান গোল্ডেন ওয়ান চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন।
কৃষক দৌলত মিয়া জানান, হাইল হাওরে মোটা জাতের ধান চাষ করলেও চিকন জাতের ধান কেউ তেমন একটা চাষ করেন না। তাই তিনি প্রথম বারের মতো পরীক্ষামূলক ৪ কেয়ার জমিতে লালতীর সীডের হাইব্রিড জাতের চিকন ধান গোল্ডেন ওয়ান ধানের চাষ করেছেন। এ জাতের ধানের চাল চিকন হয়। চিকন চালের চাহিদা ও দর ভালো পাওয়ায় তিনি এ ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এ জাতের ধান চাষে খরচও কম। কোনো ধরণের সার ও কীটনাশক ছাড়া শুধুমাত্র পরিচর্যা, পানির সর্বরাহ এবং যতœ নিলেই প্রাকৃতিক ভাবেই ভালো ফলন মিলে বলে জানান কৃষক দৌলত মিয়া।
বাম্পার ফলনে তিনি চাষি দৌলত মিয়া খুশি দৌলত মিয়া আরও জানান, ইতিমধ্যেই তার জমিতে ধান ৮০ভাগ পরিপক্ক হয়ে গেছে। আর ৪/৫ দিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হবে। আগামীতে বড় পরিসরে এ জাতের হাইব্রিড চিকন ধান চাষ করার ইচ্ছে আছে।
এব্যাপারে লাল তীরের সিলেট ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী জানান, হাইব্রিড গোল্ডেন ওয়ান জাতের ধান একটি উচ্চ ফলনশীল। পাতা পোড়া এবং বøাস্ট সহনশীল চিকন জাতের হাইব্রিড ধান এ ধান চাষ করলে খরচ কম হয়। কৃষক লাভবান হন। এ জাতের ধান গাছের উচ্চতা হয় ১০৫-১১০ সেমি। বোরো মৌসুমে ১৪৫ থেকে ১৫০ দিনের মধ্যে ধান কর্তন উপেেযাগী হয়ে ওঠে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানান, পোকা এবং বøাস্ট রোগ না থাকায়। এবার হাইল হাওরে হাইব্রিড ধানসহ সব ধরণের ধানের ফসল ভালো হওয়াতে লক্ষমাত্রা অর্জনের প্রত্যাশা করছেন।